ঘূর্ণিঝড় এবার তার সকল রহস্য উন্মোচন করবে। ঝড়ো বাতাসের মাধ্যমেই এখন ঘূর্ণিঝড় এর পূর্বাভাস দেওয়া হয়ে থাকে। কয়েকশত বছর ধরে ঘূর্ণিঝড় এর পূর্বাভাস এর একমাত্র উপায় হল ঝড়ো বাতাস এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সেটার জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিতে হয় সাহসী পাইলটদের।
Cyclone Global Navigation Satellite System (CYGNSS) নামে নাসার একটি নতুন মিশনের আওতাধীনে ৮ টি মাইক্রোস্যাটেলাইট আগামী ১২ ডিসেম্বর কেপ ক্যানাভেরাল ফ্লোরিডা থেকে উন্মুক্ত করা হবে। যদি তা সফল হয় এর সাহায্যে সহজেই বায়ুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং মেঘের আকার আকৃতি বিবেচনা করে ঘূর্ণিঝড় এর পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে “hurricane hunter” নামধারী একটি দল ঘূর্ণিঝড় এর পূর্বাভাস দিয়ে থাকেন। কিন্তু বিমান সংখ্যা কম থাকার কারণে তারা সকল ঘূর্ণিঝড় গুলোকে খুঁজে বাহির করতে পারেননা, বিশেষ করে আরটিক মহাসাগর এবং প্রসান্ত মহাসাগরের মাঝে থাকা ঘূর্ণিঝড় গুলোকে তারা খুঁজে বাহির করতে পারেননা, যা পরবর্তীতে লোকালয়ে এসে ধ্বংসযজ্ঞা চালায়।
কিন্তু এখন CYGNSS এর মাধ্যমে খুব সহজেই আশেপাশের সকল ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া সম্ভব। CYGNSS এ GPS সিস্টেম এর মাধ্যমে ঝড়ো হাওয়া নির্ণয় করতে পারবে, এবং প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতেও তা ফোন সিগ্নাল থেকে আটকে থাকা মানুষের সঠিক লোকেশন নির্ণয় করতে পারবে। এই GPS Signal গুলো সমুদ্রের পৃষ্ঠতলে ধাক্কা দিয়ে এর পৃষ্ঠতলের গতিবিধি সম্পর্কে ডাটা CYGNSS এ পাঠাবে,যা দ্বারা সহজেই বাতাসের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। যা থেকে সহজেই ঘূর্ণিঝড় এর পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।