দুনিয়ার আদিমতম অপরাধ (পর্ব -১)

বহুদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম। বিষয়টি অতি পরিচিত আর বর্তমানের সবচেয়ে ঘৃণিত ও আলোচিত বিষয়।
জ্বি হ্যা। আজ লিখব পরকীয়া নিয়ে। দুনিয়ার আদিমতম অপরাধ ধরা হয় একে।
(পর্ব-১)

আজ চেষ্টা করবো মানসিকতা ও মানসিক সমস্যার সাথে এই ঘৃণিত অপরাধের সম্পর্ক এবং তুলনামূলক আলোচনা। পাশাপাশি এই অপরাধের সাথে প্রযুক্তি ও মিডিয়া জগতের ভুমিকা নিয়েও কিছু কথা বলবো।
মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত মস্তিস্কের প্রানি যার যোগাযোগের ক্ষমতা খুবই শক্তিশালী। মস্তিস্কের চিন্তা চেতনা এবং সামাজিকতা থাকায় মানুষ স্বভাবত সংগী বা দোসর এর সাথে বাস করতে পছন্দ করে। এবং মানুষ সর্বদা পাশে কাউকে পেতে পছন্দ করে সংগী হিসেবে। যার থেকে বিয়ে/প্রেম বা আর যাই বলে থাকেন সেসবের সৃষ্টি।
পরকীয়া কি তা আশা করি আপনারা জানেন আসুন এবার মুল কথায় প্রবেশ করি।

প্রথমে আসি এই অপরাধে মিডিয়ার ভুমিকা :

আচ্ছা আপনাদের কি স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করেছেন কখনও?
জানেন মাল্টিমিডিয়া ক্লাস কেন করানো হয়?
কারণ Illustration এর মাধ্যমে ছবি ও শব্দ আমাদের মস্তিস্কে দ্রুত প্রভাব ফেলে ও মনে রাখতে সাহায্য করে যা পরে মস্তিস্কে গৃহিত হয়ে প্রক্রিয়াজাত হয়ে আমাদের হৃদয়ঙ্গম হতে সুবিধা হয়।
ঠিক তেমনি টিভিতে সম্প্রচারকৃত নাটক বা সিনেমা বা গানের দৃশ্য সহজেই আমাদের মস্তিস্কে জমা হয় এবং সেই অনুযায়ী প্রক্রিয়া হয় যেটাকে আমরা কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে এনক্রিপশন বলি এবং কাজের সময় বা পরবর্তিতে এই এনক্রিপশন ডিক্রিপ্টেড হয়ে মেইন ফাংশন অর্থাৎ আমাদের প্রত্যহ জীবনে প্রভাব ফেলে।
আমরা খেয়াল করলেই দেখবো বেশিরভাগ নাটক বা চলচিত্রের মুল ঘটনা হচ্ছে পরকিয়া বা অবৈধ প্রণয়। যা আমাদের অজান্তেই জমা হয়ে যাচ্ছে মস্তিস্কে। বেশিরভাগ নাটকেই দেখানো হয় স্বামী বা স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিক বা কোনো এক জ়ুটির মধ্যে কেউ একজন অপরজনের খেয়াল রাখে না বা অবহেলা করে বা প্রতারণা করে বা সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে বা মারা যায় ইত্যাদি। এক্ষেত্রে দুজন একজন আরেকজনের কাছে থেকে আলাদা হয়ে যায়। শুরু হয় বিরহ বা দুঃখ । মানুষ স্বভাবত বিরহ বা দুঃখ কে ভয় পায় বা এড়িয়ে চলতে চায়। সে নাটক বা চলচিত্র তাৎক্ষনিক হয়তো কোনো মানসিক পরিবর্তন হয় না। তবে দৃশ্য টি স্বাভাবিক ভাবেই তার মস্তিস্কে জমা হয়ে থাকে যা ধীরে ধীরে একসময় নিজের অজান্তেই প্রভাব ফেলে ব্যক্তিজীবনে যার ফলশ্রুতিতে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন।
কিন্তু যে এই বিষয়গুলোর শিকার হয় সে বুঝতে পারে না কেন তার মানসিক পরিবর্তন হচ্ছে, সে শুধুই আশেপাশের মানুষ কে অবিশ্বাস শুরু করে। সে বুঝার আগেই তার মস্তিস্কের চিন্তায় পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।

একসময় সে খেয়াল করে ………(চলবে….)

পরিশেষে সেই পুরনো কথা মনোবিদ্যা বিজ্ঞানের এমন এক আশ্চর্য শাখা যা সবসময় সুত্র আর নিয়ম নাও মেনে চলতে পারে। আর মনস্তত্ব ও মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারগুলো প্রায়ই নিয়মের বাইরেও অনেক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে থাকে। স্রষ্টার রহস্যময় সৃষ্টিকে জানতে হলে থাকুন বিজ্ঞানের সাথে। কাজ করুন বিজ্ঞান নিয়ে। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে ইনবক্স আর কমেন্ট সেকশন তো আছেই।

Comments are closed.