হলোগ্রাফিক স্ক্রিন এ এক নতুন প্রযুক্তি

 

Star wars আর Avatar মুভির মধ্যে আমরা সবাই হয়ত হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে খেয়াল করেছি। একটা পাতলা কাচের উপর হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে প্রায় সব সাইফাই মুভিতেই দেখা যায়। বাস্তবে কি কখনো আপনি হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে দেখেছেন বা আপনার কি মনে হয় তা আদৌ তৈরি করা সম্ভব?

মানব-মস্তিষ্কের ইমেজিং ইলিউশান কে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয় হলোগ্রাফ বা থ্রিডি ভিউ। 3Dগ্লাস এর সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত এবং এটি খুব জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। কয়েকমাস আগে হলোলেন্স নামে একটি ডিভাইস মার্কেটে আসে যা কিনা চশমার মতো এবং সেটা পরার পর রিয়েল লাইফে ভার্চুয়াল ইফেক্ট তৈরি হয়।

কিন্ত সম্পূর্ণ নতুন ভাবে এসেছে হলোগ্রাফিক ভিউ। RMIT University এর একদল গবেষক একটি ফ্লিম তৈরি করেন যা কিনা আমাদের চুল থেকে ১০০০ গুন পাতলা এবং এটা হলোগ্রাফ তৈরি তে কাজ করে। মোটেও এই ফ্লিম সাধারণ ফ্লিম এর মতো না। টপোলজিকাল ইন্সুলেটর নামক পদার্থে তৈরি এই ফ্লিম, যা কিনা নোভেল কোয়ান্টাম মেটারিয়াল নামে পরিচিত। এই পদার্থের বিশেষ গুন হলও এটির সার্ফেসে রিফ্লেকশন খুবই কম কিন্তু অপর পিঠে রিফ্লেকশন এর হার অনেক অনেক বেশি। গবেষকরা জানায়, “নতুন এই ফ্লিমটি নিজেই আলোকে অনুনাদিত করবে “। অনুনাদ এর বিষয় টা হলও, আমরা যদি শব্দের ক্ষেত্রে চিন্তা করি তাহলে খেয়াল করে থাকবো যে, কাঠের কোনও ফ্রেমে কোনও শব্দের উৎস থাকলে তার তীব্রতা একটু বেশী হয়। আবার অনেকে আমরা অনুনাদী বক্স এর সাথে পরিচিত। বাদ্যযন্ত্রের ক্ষেত্রে গিটার এর বডি, হারমোনিয়াম এর ক্ষেত্রে এর কাঠের ফ্রেম অনুনাদে সাহায্য করে। ঠিক একই ভাবে সিগন্যাল হলোগ্রাফিক করতে অনুনাদ এর কাজ করবে ২৫ ন্যানোমিটার পুরুত্বের নতুন এই ফ্লিম।

RMIT এর গবেষকরা হলোগ্রাফ এর সাধারন ধারণাই পাল্টে  দিয়েছে। যেখানে আগে ইলিউশানের মাধ্যমে তৈরি করা হতো হলোগ্রাফ সেখানে ব্যবহার করা হবে নতুন এই ফ্লিম। নতুন এই প্রযুক্তিতে লাগবে না কোনও থ্রিডি গগলস। খালি চোখেই দেখা যাবে হলোগ্রাফ।  ” হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে মেডিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং এ নতুন মাত্রা তৈরি করবে। থ্রিডি গ্লাস বা গগলস পরে হলোগ্রাফিক ভিউ অনেকে ঝামেলা মনে করেন। আমরা একে আরও পাতলা করার চেষ্টা করছি। আরও গবেষণা করা হচ্ছে LCD ডিসপ্লেতে ফ্লিমটি ব্যবহারের মতো করে তৈরি করার।”- গবেষকদের মধ্যে একজন।

Comments are closed.