ফাইভ জি’র কারণে পাখির মৃত্যু ; কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা?

গত কয়েক সপ্তাহযাবত হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বেশকিছু দেশি বিদেশি সাইট এই আলোচনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে যে নেদারল্যান্ড এর হেগ (Hegue) এ 5g বা ৫ম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করতে গিয়ে শত শত পাখি আকস্মিকভাবে মারা গিয়েছে। আর বরাবর যা হবার তাই হল। অনেকে থাকেই এমন যারা কোনো তথ্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই হুটহাট কিছু দেখামাত্রই একটা সীদ্ধান্তে চলে আসে। সেইসাথে সুযোগটা কাজে লাগাতে দেরী করলো না ইন্টারনেট জগতে ঘুরতে থাকা বহু নিউজ পোর্টালগুলো। ফলে, ফেসবুকের মত এমন বিস্তৃত গণমাধ্যমে যেমন ব্যাপারটা ছড়িয়ে যেতে সময় লাগলোনা, তেমনি সহজ সরল মানুষের মনে ভুলভাল যুক্তি দিয়ে ব্যাপারটা গেথে যেতেও সময় লাগলোনা। এমন ঘটনার ফলে সত্যি সত্যি ঘটে যাওয়া বহু গুরুতর আর ভয়াবহ ঘটনাকেও “মিথ্যে” র তকমা পেতে হয়।
সেই যাই হোক, ব্যাপারটার সুত্রপাত ঘটে Erin Elizabeth নামক এক ব্লগারের লেখা একটি সচেতনতামূলক প্রতিবাদি পোস্ট এর মধ্য দিয়ে। এই ভদ্রমহিলা কিন্তু আবার কনস্পাইরেসি ব্লগার। মেডিকেল কন্সপাইরেসির উপর উনার ব্লগ Health Nut News এ লিখালিখি করেন।

এরিন এ্যাট হেলথ ব্লগের লেখিকা এরিন এলিজাবেথ। ছবি : Joovv

আর এইরকম একটা বিষয় পাবার পর তো উনি থেমে থাকতে পারেননি। নিজস্ব সব যুক্তিতর্ক দিয়ে লিখে ফেললেন একটা আর্টিকেল, “Hundreds of birds dead during 5G experiment in The Hague, The Netherlands.”
অর্থাৎ নেদারল্যান্ডস এর হেগ এ 5G পরীক্ষা চালাকালীন সময়ে শতশত পাখি মারা পড়েছে।”
(আর্টিকেল লিংক : https://web.archive.org/web/20181113210548/https://www.healthnutnews.com/hundreds-of-birds-dead-during-5g-experiment-in-the-hague-the-netherlands/)
এরিনের ব্লগ আর তার ফেসবুক পেজ Erin at Health Nut News বেশ জনপ্রিয় হওয়াতে ব্যাপারটা খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছে। আর এদিকে গোটা লেখায় এরিন’তো একেবারে ইচ্ছেমত সমালোচনার বন্যা ভাসিয়ে দিলেন 5G “কন্সপাইরেসি” নিয়ে।
ব্যাস, আর যায় কই!
সেটা শেয়ার হল জনে জনে। সেখান থেকে দেখলো দেশ বিদেশের মানুষেরা। যারা বিনা বিচারেই যা দেখে তা বিশ্বাস করে ফেলার প্রবণতা রাখে। আর তাদের সুবাদে ছড়িয়ে পড়লো ব্যাপারটা রাতারাতি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঘটনাটার সত্যাসত্য না জেনে এরিন যে মনগড়া বিশ্লেষণ দিয়ে নিজের আর্টিকেলটা লিখলেন, সেটাও আসলে অন্য আরেকজনের ফেসবুক পোস্ট অনুসরণ করে দেয়া। John Kuhles নামের এক ব্যক্তির সিরিজ পোস্টের মাধ্যমেই তিনি জানতে পারেন ঘটনাটার ব্যাপারে। এই খুলস ভদ্রলোক হলেন আবার কনস্পাইরেসি থিওরিস্ট!
সকল নাটের গুরু UFO রিসার্চার জন কুহলস ; ছবি : কুলসহের ফেসবুক প্রোফাইল

Conspiracy Theorist কাদের বলে তা নিশ্চই বলা বাহুল্য। তো কথা হল জন কুহলস নামের প্রযুক্তির বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া এই বিদ্রোহী বীর (!) ব্যক্তি ফেসবুকে পালাক্রমে একের পর এক এমনসব পোস্ট দিয়েই যেতেন যেগুলোতে পৃথিবীর আর কোনো সুস্থ – স্বাভাবিক মানুষ রহস্যের গন্ধ না পেলেও বুঝি তিনি পান! ঘটনা বুঝতে পারছেন?!
5g নিয়ে বরাবরই জনাব কুহলস এর আপত্তি ছিল। এমনকি এর আগেও ক্যালিফোর্নিয়াতে এইযে গত নভেম্বর মাসে বনে আগুণ (Wildfire) লাগার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন এটা একটা চক্রান্ত ছিল। বিশেষ এনার্জি উইপন দিয়ে বনে আগুন লাগানো হয়, যা ছিল আসলে 5G প্রযুক্তি প্রবর্তনে ভেটো দেয়ার প্রতিশোধ!
শুধু কি তাই?
এই ভদ্রলোক আবার UFO রিসার্চারও! মানে এলিয়েন গবেষক!

সবচে হাস্যকর ব্যাপার হল আপনি এই ভদ্রলোকের ফেসবুকের About সেকশনে গেলে ( লিঙ্ক : https://m.facebook.com/JohnKuhles/about?lst=100000642515479%3A563048995%3A1544703101) দেখতে পারবেন সেখানে রকমারি স্কিলের তালিকায় প্রথমেই দেয়া আছে UFO Researcher…!
এবার ভাবেন! যার এবাউটের স্কিল বা দক্ষতায় দেয়া থাকে UFO বা এলিয়েনদের রিসার্চার তার কাছ থেকে কেমন তথ্য আশা করা যায়?
শুধু কি তাই?
এই ব্যক্তি নানারকম ঘটনাতে ষড়যন্ত্রের (Conspiracy) গন্ধ পান। এটা উনার প্রোফাইল ঘেটে দেখলেই বুঝতে পারবেন।
হিউজেন্সপার্ক এ মৃত শালিক

আর এই ব্যক্তি যেভাবে রঙচং চড়িয়ে ঘটনার বর্ণনা দিলেন, তাতে ভোলাভালা অনেকেই প্রথমে অবাক হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে হেগ এর উক্ত পার্কটার পাশেই রেলস্টেশনের ধারে রয়েছে এক নেটওয়ার্ক এর খুটি। যার থেকে 5G নেটওয়ার্কের শক্তিশালি তরঙ্গ বিচ্ছুরিত হতে না হতেই পার্কে বসে থাকা পাখি নাকি একের পর এক টুপটাপ মারা পড়ে কুপোকাত! এমনকি লেকে থাকা পাখিগুলোও নাকি অস্বাভাবিক আচরণ করছিল! আর ঘটনাটা তিনি এমনভাবে লিখলেন, যেন তিনি আদতে ঐখানে ঐসময়ে উপস্থিতই ছিলেন।
অথচ এমন ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শীই নেই!
তবে যাইহোক, হুজুগ যেহেতু স্বার্বজনীন ব্যাপার, উনার আর এরিনের কল্যাণে ব্যাপারটা অতি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়লো বিশ্বজুড়ে।
হাতে নেয়া একটা মৃত শালিক

আর মানুষও সত্যতা যাচাইয়ের তোয়াক্কা না করেই অন্ধবিশ্বাসে শেয়ার করে গেল এইসব পোস্টের পিঠে করা পোস্ট।

তবে কি হয়েছিল আসলে?

তো প্রশ্ন আসে, কি হয়েছিল আসলে?
সত্যিই কি পাখি মরেনি? নাকি মরেছে, অন্য কোনো কারণে?
নাকি এরিন আর কুহলস এর এ্যান্টি 5G দাবীই ঠিক!

হ্যা, এটা সত্যি যে হেগ এর Huijgenspark এ পাখিদের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু তা একদিনে হয়নি। আর ওভাবে হুট করেই টুপটাপ একটার পর একটা মারা পড়েনি। ওখানকার মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট এর ভাষ্য অনুযায়ী পার্কে পাখিরা মারা যেতে শুরু করে ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ থেকে। অর্থাৎ এ ঘটনা ঘটা শুরু করে এসব নিয়ে লেখালেখির বহু আগে থেকেই। ঘটনা নগর পরিচালকের নজরে আসার পর পার্কটিতে সাবধানতাবশত কুকুরদের আনা নিষেধ (Dog Ban) করা হয়। এবং এই পাখির মরার ঘটনাটা একদিনে হুটহাট করে না ঘটে সময় সময় ঘটেছে। ১৯ অক্টোবর ২০১৮ থেকে শুরু করে ৩ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংখ্যক পাখি মারা পড়েছে যার এই কয়দিনে মোট সংখ্যা ছিল শালিক জাতীয় পাখি (Starling) ৩৩৭ টা আর কবুতর জাতীয় পাখি (Common Wood Pigeon) ২টা। এই ঘটনার সম্পৃক্ততায় সংক্রমের ব্যাপার থাকতে পারে ভেবেই মিউনিসিপালিটি কুকুরদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরবর্তী গবেষণা হিসেবে নেদারল্যান্ড এর Food and Consumer Product Safety Authority দুই ধরণের ভাইরাসের ব্যাপারে বলেছে যার একটি হল নিল ভাইরাস (Nile Virus) আর আরেকটি উসুতু (Usutu) ভাইরাস। তবে যেহেতু এখনো পাখিদের মৃত্যুর সাথে এইসকল সংক্রামক অণুজীবের সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি সেহেতু ব্যাপারটা এখনো গবেষণ ও তদন্ত দলের কাছে চিন্তা ভাবনা করে দেখার বিষয়।
তবে তাই বলে যে এটাকে ফাইভ জির কারণে প্রাণহানি বলা হবে তাও ঠিক নয়। কেননা পাখিদের হঠাৎ করেই মারা যাবার ঘটনা এই প্রথম নয়। আরকানসাস, লুসিয়ানা আর সুইডেনের কিছু অংশে পাখিদের মৃত্যুর এমন নজির আগেরো রয়েছে। যেগুলোকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে স্রেফ তাদের সংবাদ আর পোস্ট কাটতির জন্যে নানারকম রংচং মেখে ছড়িয়েছে। আমেরিকার Wisconsin এ থাকা U.S. Geological Survey এর অন্তর্ভুক্ত National Wildlife Health Center সেই ১৯৭০ সাল থেকেই পাখিদের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু লক্ষ্য করে এসেছে। রয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে এমন মৃত্যুর বহু নজির যা অনেকেই হয়তো জানেন। এগুলোর মাঝে কোনোটা রোগ সংক্রমণের কারণে তো কোনোটা পারিপার্শ্বিকতার কারণে। আবার কোনোটার কারণ অজানাই রয়ে গিয়েছে। তবে এ থেকে এতটুকু সুস্পষ্ট হয়েই যায় যে 5G প্রযুক্তির সাথে এর কোনো সম্পৃক্ততা আদতে নেই।

পরীক্ষার জন্যে সংগ্রহ করা কতগুলো মৃত শালিক

তারচাইতেও বড় কথা, যে 5G টেস্ট নিয়ে এত হৈ চৈ করা হয়েছে সেই 5G টেস্ট কি আদতেই করা হয়েছিল হিউজেন্সপার্ক এর আশেপাশে?
হ্যা করা হয়েছিল বটে। তবে আঁৎকে ওঠার কিছুই নেই। কারণ সেটা করা হয়েছিল চলতি বছর, মানে ২০১৮ সালের ২৮ জুন তারিখে।
আর পাখি মারা পড়ার ঘটনা ঘটা শুরু করলো অক্টোবর থেকে।
কই জুন মাস, আর কই অক্টোবর!
আর সবচে বড় কথা হল জুন মাসে নাইবা এমন কোনো পাখি মারা যাবার খবর এসেছিল। আর না ই বা পরবর্তীতে পাখি এক এক করে মারা গেল। অথচ জনাবা এরিনের আর্টিকেলের ভাষ্যমত টেস্ট চালানো মাত্রই পাখি যেন আকাশ থেকে, গাছ থেকে আর বিভিন্ন স্থান থেকে টপাটপ মরে পড়া শুরু করলো!
আরো মজার ব্যাপার হল এটা ছিল স্রেফ টেস্ট। অর্থাৎ খুব বড়সড় এলাকা জুড়ে খুব বেশি সময় নিয়ে করা কিছু নয়।
টেস্টটা করেছিল জনপ্রিয় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী Huawei (হুয়াওয়ে) হেগ এর Voorburg এলাকাতে। তাও যেহেতু 5G নেটওয়ার্ক প্রচলিত কিছু না তাই সেটা পরীক্ষা করে দেখার জন্যে স্রেফ আর স্রেফ একটা দিনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তাদের টেস্টিং তরঙ্গ ছিল ১০০ মেগাহার্টজ এর এবং C – ব্যান্ড এ 3.5 গিগাহার্জ। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ফ্রিকোয়েন্সির চাইতেও উচ্চমাত্রায় স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেম কাজ করে থাকে। মারা পড়লে তবে এতদিনে পৃথিবীতে পাখি না শুধু, জনমানবের অস্তিত্বও অনেক কমে যেত। যার কিছুই ঘটেনি বলে আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছি। তার উপর নেদারল্যান্ড এর সবচাইতে বড় মোবাইল অপারেটর কোম্পানী KPN বেশ দৃড় নিশ্চয়তার সাথেই বলেছে যে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি ওই সময়ে। ব্যাপারটা স্রেফ খাটি গুজব।
এছাড়াও গোটা হেগ জুড়ে এবং ফাইভ জি টেস্ট টার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মের বিবরণ ঘেটে এমন কিছুই, কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি পরে আর একটিও এমন কোনো 5G টেস্ট চালানোর৷ নাইবা হিউজেন্স পার্কের পাশে এলিয়েন বিশেষজ্ঞ কুহলস মহাশয় আর প্রতিবাদী এরিন এলিজাবেথ এর দাবীর মত কোনো নেটওয়ার্ক টাওয়ার বা এ্যান্টেনা জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব বা কিছু থাকার কোনো নজিরও পাওয়া গেছে।
অতএব কুহলস এর দাবিতে তোলা ব্যাপারটা প্রমাণাদির স্বাপেক্ষে হোক, ঘটনার বিবরণ স্বাপেক্ষে হোক বা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে হোক, সব দিক দিয়ে অযৌক্তিক, হাস্যকর, আর মিথ্যে – বানোয়াটই প্রতীয়মান হয়েছে।

ফাইভ জি প্রযুক্তি কি আসলেই ক্ষতিকারক?

এতোকিছুর পরেও অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, “আচ্ছা এ তো গেল পাখিদের ব্যাপার। কিন্তু ফাইভ জি প্রযুক্তি কি আসলেই ক্ষতিকারক? আদতে কি এটা আমাদের উপর স্লো পয়জনের মত কাজ করবে?

প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। যেহেতু ইতোমধ্যেই নেটওয়ার্ক এর তরঙ্গের রেডিয়েশন নিয়ে বহু কন্সপাইরেসি থিওরি আর হাবিজাবি আছে, সেক্ষেত্রে এমন কিছু চিন্তায় আসা বা এমন কথা দ্বারা কারো ভাবাটা প্রভাবিত হওয়াটাও খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু না।
তবে তার আগে আমাদের অবশ্যই রেডিয়েশনের ধরণ জানা দরকার। রেডিয়েশন বা বিকিরণ আয়নিত (Ionizing) আর অনায়নিত (Non – Ionizing) এই দুই প্রকারে বিভক্ত। আয়নাইজ রেডিয়েশনে বিভিন্নরকম সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু নন আয়নাইজিং রেডিয়েশনের এমন কোনো শক্তপোক্ত প্রমাণ আজ পর্যন্ত একাধিক গবেষণা করেও পাওয়া যায়নি।
ইউরোপে 5G প্রচলনের ক্ষেত্রে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ এ কাজ করা হবে।
৭০০ মেগাহার্জ এর একটি “কভারেজ লেয়ার”, ৩.৪ – ৩.৮ গিগাহার্জ এর ব্যান্ডউইথ এ যা কাজ করবে। আর আরেকটি হচ্ছে ” সুপার ডেটা লেয়ার”, যা ২৪.২৫ – ২৭.৫ গিগাহার্জ এর ব্যান্ডউইথে কাজ করবে। তবে মজার ব্যাপার হল এর কোনোটাই নন আয়নাইজিং ফ্রিকোয়েন্সির মানদন্ডের প্রবর্তক International Commission on Non-Ionizing Radiation Protection (ICNIRP) কর্তৃক কোনোধরণের ঝুঁকিপূর্ণ ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যে পড়েই না! এর সর্বনিম্ন ফ্রিকোয়েন্সি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি পুরোটাই অনায়াসে নিরাপদ স্কেলের মধ্যেই রয়েছে।
তার উপর এই গবেষণাগুলো শুধুমাত্র বিশ্বের একদিকে কোথাও হয়না।
সুতরাং, সব দিক থেকেই এরিন আর কুহলসের অ্যান্টি ফাইভ জি “সংগ্রাম” ধোপে টিকার মত না।

অতএব, ব্যাপারটার বিস্তৃত পর্যালোচনা থেকে আমরা সহজেই এটা অনুধাবন করতে পারি যে 5G নেটওয়ার্ক টেস্ট এর সাথে পাখি মারা যাবার আদতে কোনো সম্পৃক্ততাই নেই।
এমনকি দুটো ঘটনা সুদীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ঘটা। তার উপর একটা খুবই স্বল্প সাময়িক আর এককালীন ছিল, অপরদিকে পাখিদের মৃত্যু ছিল ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘটা।

ফাইভ জি’র ব্যাপারে আমাদের আজকের আলাপ আলোচনা আজ এ পর্যন্তই।
পরবর্তীতে হয়তো আবারো ফিরবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজের খেয়াল রাখুন।

তথ্যসূত্রঃ

Did a 5G Cellular Network Test Cause Hundreds of Birds to Die?

https://www.thequint.com/amp/story/news%2Fwebqoof%2F5g-radiation-causes-bird-death-in-netherlands-fake-news

Comments are closed.