অঙ্ক, গণিত বা ম্যাথম্যাটিকস যাই বলুন না অনেকের কাছেই যেন এক পাহাড়সম ব্যাপার এই অঙ্ক জিনিসটা কিন্তু সেই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল প্রমান করলো ৮ বছর বয়সী সোহিনী রায় চৌধুরী নামের এক ক্ষুদে অঙ্কের যাদুকর।
প্রতিবছরই ইল্যান্ড থেকে আয়োজন করা হয় “ওয়ার্ল্ড হল অফ ফেম” এর আর এবারে তাতে ছিল “ম্যাথলেটিক্স” নামের একটি অনলাইন গণিত জনপ্রিয়করণ সংস্থার অঙ্ক সমাধান প্রতিযোগীতার আয়োজন আর তাতেই অংশগ্রহন করে ৮ বছর বয়সী এই যাদু কন্যা।
ম্যাথলেটিক্স সাধারনত সারা বিশ্বের প্রাইমারী স্কুল পড়ুয়াদের অনলাইনে গণিত শিখায় আর এই প্রতিযোগিতায় তারা দেখতে চেয়েছিল কারা অতি দ্রুত ও নিখুঁত ভাবে অঙ্কের সমাধান করতে পারে। বিশ্বের অসংখ্য স্কুল গুলো থেকে প্রায় সহস্রাধিক প্রাইমারী পড়ুয়াদের মধ্যে সোহিনী অংশগ্রহন করে ছিল বার্মিংহামের নেলসন প্রাইমারী স্কুল থেকে আর সে শুধু অংশগ্রহনই করে নি বরং সে জায়গা করে নেয় সেরা ১০০ জনের মধ্যে তাও আবার অনেক উপরের সারিতে এতে শুধু “ওয়ার্ল্ড হল অফ ফেম” নয় সোহিনী জায়গা করে নেয় বিস্ময় শিশু প্রতিভা’র তালিকায়।
এ ব্যাপারে সোহিনী বাবা মৈনাক বলছেন, ‘প্রতিযোগিতাটায় সোহিনী বেশ স্বাভাবিক মনে করছিলো এবং স্বাভাবিক ভাবেই অনেক উৎসাহের সাথে সে অঙ্কগুলোর সমাধান করেছে। ’’ সোহিনীর বাবা মৈনাক রায় চৌধুরী পেশায় অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ফিনান্সে করেছেন এমবিএ।
তার প্রপিতামহ ডি এন রায় স্কটল্যান্ড থেকে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনা শেষে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন ভারতীয় রেলে। তার নাতনীর এরূপ সাফল্য তিনি জানান,‘‘আমাদের বংশগতির ধারাতেই এই প্রতিভা পেয়েছে সোহিনী।’’
আর এই গণিত কন্যার সাফল্যে যেন তার শিক্ষকরাও অানন্দিত তার এ সাফল্যে তার স্কুল শিক্ষক জানান,” সোহিনী সত্যি আমাদের গর্ব সে এবছরের প্রতিযোগীতায় বেশ কিছু উচ্চ ধাপের গণিত সমাধান করেছে আর তার এই কর্মপ্রচেষ্টাই তাকে এ সাফল্য এনে দিয়েছে এবং আমিও মনে করি সে এটার যোগ্য। ”
এমন অঙ্ক যাদু কন্যার সাফল্যে সবাই যখন গদগদ তখন নয়া দিল্লির মেয়ে সোহিনী কে জিঙ্গেস করা হয় তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?? উত্তরটা জানতে চান? এই অঙ্ক যাদুকর যাদুকন্যা বড় হয় ডাক্তার হতে চায় ও সেবা করতে চায় বিশ্ববাসীর।
Leave a Reply