Anatoli Bugorski, মাথা দিয়েছিলো পার্টিকেল এক্সেলারেটরে

পার্টিকেল এক্সেলারেটর এর কথা কমবেশি আমরা সবাই জানি। মেশিনের মধ্যে কোনো চার্জিত কণাকে প্রায় আলোর বেগে চলানো হয়ে থাকে। মেশিনটি আবিষ্কার করা হয়েছে, ১৯৩০ সালে,হিগস-বোসন এর মতো  পরমাণুর অস্থায়ী কণিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। কি হবে যদি চার্জিত কণার বদলে আপনার মাথা মেশিনের ভেতরে দেওয়া হয়? কেউকি আদৌ মাথা দিয়েছিলো?

নিজে চেষ্টা করবেন না!

উত্তর হলো হ্যা দিয়েছিলো। লোকটির নাম Anatoli Bugorski , High Energy Physics এর গবেষক। তিনি কাজ করতো তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এর পার্টিকেল এক্সেলারেটর Synchrotron U-70 তে। ১৩ জুলাই,১৯৭৮ ; যান্ত্রিক গোলযোগ এর কারণে তিনি পার মাথা মেশিনের ভেতরে ঢুকিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলো। সেফটি সিসটেম এর ফেইলার এর কারণে ভেতরে মাথা থাকা অবস্থায় মেশিন চালু হয়ে যায়। এবং আলোর বেগে চলল্মান প্রোটন কণা তার মাথার পেছন দিয়ে প্রবেশ করে নাকের দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। তাকে তখন দ্রুত ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরবর্তীতে, Anatoli Bugorski কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তিনি কোনো ব্যাথা অনূভব করেন নি এই ঘটনায়। আলো নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে Anatoli Bugorski বলেন, আলো দেখতে সূর্যের থেকেও হাজার গুণ উজ্জ্বল ছিলো। এই ঘটনার পর সবাই ধারণা করে নিয়েছিলো যে, বেশি হয়তো Anatoli Bugorski বাচবে না। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, ৭৫ বছর বয়স নিয়ে তিনি এখনো বেচে আছেন।

তার মাথায় প্রবেশ করা রশ্নি ছিলো ২০০০ গ্রে এবং যখন বের হয় তখন তার মাত্রা ছিলো ৩০০০ গ্রে। সাধারণ তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণিত হয় যে, ৫ গ্রে পরিমাণ কোনো রশ্নি মস্তিষ্কে পরলে ১৫ দিনের মধ্যে মারা যাবে। কিন্তু তিনি এখন বেচে আছেন এটা বরাবরই অবাক করার মতো।

কি কি প্রতিক্রিয়া হয়েছে?

মাথার পেছনে এবং নাকে এখনো দাগ আছে উনার। যেহেতু মাতাহ্র বাম পাশ দিয়ে রশ্নি প্রবেশ করেছিলো তার বাম কান এর শ্রবণ ক্ষমতা হারান তিনি। তাছাড়া মুখের বাম পাশ প্যারালাইজড নিয়ে তিনি বেচে আছেন। তিনি কিভাবে বেচে আছে তা এখনো বিজ্ঞান বিশ্লেষন করে বের করতে পারে নি।

 

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>