Solar System বা সৌরমন্ডল বলতে সূর্য এবং এর সাথে মহাকর্ষীয়ভাবে আবদ্ধ সকল জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুকে বোঝায়। এর মধ্যে আছে: আটটি গ্রহ, তাদের ১৭৩টি জানা প্রাকৃতিক উপগ্রহ, কিছু বামন গ্রহ ও তাদের চারটি কিছু প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং কোটি কোটি ক্ষুদ্র বস্তু। শেষোক্ত শ্রেণীর মধ্যে আছে গ্রহাণু, উল্কা, ধূমকেতু এবং আন্তঃগ্রহীয় ধূলি মেঘ,।
আমাদের সৌরমন্ডলের মতোই আরও একটি সৌরজগৎ আছে ব্রহ্মাণ্ডে। দেখতে অবিকল আমাদের সৌরমন্ডলের মতোই। এই সৌরন্ডলেও আছে আটটি গ্রহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের সৌরমন্ডলের গ্রহগুলো ঠিক একের পর এক যেভাবে সাজানো। বুধ, মঙ্গল, শুক্র, পৃথিবীর মত পাথুরে
গ্রহগুলো যেমন আমাদের সৌরমন্ডলে রয়েছে সূর্যের কাছাকাছি আর বৃহস্পতি, শনি ইউরেনাস ও নেপচুনের মতো ব চেহারার গ্যাস ও বরফে ভরা গ্রহগুলো রয়েছে সূর্যের থেকে দূরে, সদ্য আবিষ্কৃত সৌরমন্ডলের আটটি গ্রহ ঠিক সেভাবেই রয়েছে। এর আগে আমাদের সৌরমন্ডলের মতো অবিকল চেহারার আর কোনো নক্ষত্রমন্ডলের হদিস মেলেনি।
NASA এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘যেহেতু এই সৌরমন্ডল দেখতে অবিকল আমাদের মতোই, সেখানকার আটটি গ্রহ সাজানো হয়েছে আমাদের সৌরমন্ডলের মতোই, তাই সেই মুলুকে প্রাণের হদিস পাওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে উঠলো। শুধু তাই নয়, নতুন এই সৌরমন্ডলের একটি গ্রহ ‘কেপলার-৯০ এইচ ‘ তার নক্ষত্রের থেকে ঠিক একই দূরত্বই রয়েছে, আমাদের পৃথিবী সূর্য থেকে রয়েছে যতটা দূরে। এই গ্রহটিতে পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে বা পৃথিবীর মতো পুরু বায়ুমন্ডলও থাকতে পারে। ‘
গত বছরের গোড়ার দিকে NASA এর তরফে আরও জানানো হয়েছে, নতুন সৌরমন্ডলের চেহারায় আরও একটি নক্ষত্র যার নাম ‘কেপলার -৮০’ আর সেই সৌরমন্ডলে যে ভিন গ্রহটির হদিস মিলেছে সম্প্রতি, তার নাম ‘কেলার -৮০ জি’। এই ভিন গ্রহটি ওই সৌরমন্ডলের ৬ষ্ঠ গ্রহ। ফলে আগামী দিনে ওই সৌরমন্ডলে আমাদের মতোই আটটি বা তার বেশি গ্রহের হদিস মিললেও মিলতে পারে। গত বছরের গোড়ার দিকে ‘ট্রপিষ্ট নক্ষত্র মন্ডলের হদিস মিলছিল, যেখানে সাতটি গ্রহ এবং তাতে পৃথিবীর জল বা বায়ুমণ্ডল আছে, এমন তিনটি গ্রহ রয়েছে।
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক অধ্যাপক বলেন, ‘ কেপলার টেলিস্কোপ এখনো পর্যন্ত আমাদের ৩০ হাজার সিগন্যাল পাঠিয়েছে। তার মধ্যে ৯৫ শতাংশ সিগন্যালই অত্যন্ত দূর্বল। পৃথিবীতে বসে সেই সিগন্যালগুলিকে বিশ্লেষণ করে তার মধ্যে কোনটা ভিনগ্রহ থেকে আসছে আর কোনটা আসছে অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তু থেকে তা বুঝে ওঠা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। Google Machine learning পদ্ধতি আমাদের সেই কাজকে সহজ করেছে বলেই নতুন সৌরমন্ডলের হদিস পাওয়া সম্ভব হলো। সন্ধান পাওয়া গেল আরও দুটি ভিনগ্রহের। এটা বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের কৃতিত্ব। ‘
Leave a Reply