আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত এই নামটি প্রথমবার শুনেছি । বিশ্বাস করুন, যখন আমিও এই নামটি প্রথমবার শুনি, আমার লিউয়েনহুক সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিলনা। পরবর্তীতে যখন আমি তার সম্পর্কে জানতে শুরু করি, প্রতিবারই বিস্মিত হই।
তার জন্ম ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে নেদারল্যান্ডস এর রাজধানী এমস্টারডার্ম থেকে ৭০ কিমি দক্ষিণে ডেলফট নামক একটি শহরে। সেসময় হল্যান্ডে এই শহরটি বিখ্যাত ছিল দারুন মৃৎশিল্প ও বস্ত্রশিল্প কারুকার্যের জন্যে। আন্টোনির বাবা এই শহরেই একজন বস্ত্র ব্যাবসায়ী ছিলেন। তবে আন্টোনির ছেলেবেলাটা খুব একটা সুখময় ছিলোনা। মাত্র ৫ বছর বয়সে তার বাবা, ফিলিপস, মারা যান। নিজেদের কথা চিন্তা করেই পরবর্তীতে আন্টোনির মা, মারগারেথা, জ্যাকব মলিন নামক এক চিত্রশিল্পীকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে ভালো সময় কাটলেও, ১০ বছর বয়সে, আন্টোনি তার সৎ বাবকেও হারান। শেষে অসহায় অ্যান্টোনির দায়িত্ব নেন তারই আপন চাচা। চাচা ছিলেন পেশায় উকিল। আন্টোনিকে যথেষ্ট আদর ও সমীহই করতেন।
এরপর তার চাচার কাছে থাকা অবস্থায় আন্টোনির প্রথম স্কুলপাঠ শুরু হয়। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ না করতেই তাকে নিয়ে তার চাচা বেন্থাজেনে নামক আরেকটি ডাচ শহরে চলে যান। এসময় আন্টোনি আর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাননি। কেননা তখনকার সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্যে ল্যাটিন ভাষা জানা ছিল বাধ্যতামূলক। ওদিকে অ্যান্টোনি মাতৃভাষা ডাচ ছাড়া আর কোন ভাষায় কথা বলতে পারতেন না। পরবর্তীতে তার চাচা তাকে রোজগারের জন্য এমস্টার্ডার্মে পাঠিয়ে দেন। এখানে এসে অ্যান্টোনি এক কাপড়ের দোকানে কাজ জুটিয়ে নেন। বছর কয়েক যেতেই কাজের দক্ষতা প্রমাণ করে তিনি দোকানের ম্যানেজার হয়ে যান।
১৬৫৪ খ্রিস্টাব্দ। আন্টোনির বয়স তখন কেবল ২২। নিজ শহরের টানে ফিরে আসেন সেই ডেলফটে। এখানে এসে তিনি নিজের এক কাপড়ের দোকান খুলে বসেন। কিছুদিন পরেই বিয়ে করেন এক ব্যাবসায়ীর মেয়ে বারবারাকে। এই দম্পতির ঘরে একে একে ৫ টি ফুটফুটে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিধাতার নির্মম পরিহাসে কেবলমাত্র একটি মেয়েই বেঁচে থাকে। এরপর, ১৬৬৬ সালে জীবনসংগী বারবারাকেও হারান তিনি।
এরই মাঝে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টোনি ডেলফট শহরের রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এখানে যোগদান করে যতটুকু না কাজ করতেন, তার থেকে বেশি বেতন পেতেন। জীবনের এই সময়টা তার বেশ স্বচ্ছল কাটছিল। পাশাপাশি এই সময় তিনি মাইক্রোস্কপিক বা বিবর্ধক লেন্স নিয়ে কাজ করারও বিশাল সময় পেয়ে যান।
তবে এই বিবর্ধক লেন্স নিয়ে অ্যান্টোনি অনেক আগে থেকেই কাজ করতেন। সে বিভিন্ন সময় তার কাপড়ের দোকানে ছোট ছোট গোলাকৃতির কাচ বা লেন্স ব্যাবহার করে কাপড়ের গুনাগুণ ও সুইয়ের গুনাগুণ পরীক্ষা করতেন।
ওদিকে পৃথিবীর আরেক প্রান্তে বসে থাকা বিখ্যাত ইংরেজ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক ততোদিনে কোষের সংজ্ঞা দিয়ে ফেলেছেন। ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে তার প্রকাশিত বই ‘MICROGRAPHIA’-তে বর্ণনা দিয়েছেন তার চোখে দেখা প্রাকৃতিক জগতকে। নিজের তৈরিকৃত অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা জগতকে চিত্রায়িত করেছেন এই বইয়ে। এও বর্ণনা করেছেন যে একটা ছোট্ট গোল লেন্স দিয়ে যে কি পরিমাণ শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করা যেতে পারে।
ভাগ্যক্রমে আমাদের গল্পের নায়ক অ্যান্টোনি ১৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে বেড়াতে আসেন। তার হাতে পড়ে তৎকালীন সময় বেস্টসেলার বই MICROGRAPHIA. চোখে পড়ে হুকের বর্ণনা করা বিবর্ধক লেন্সকে আরো শক্তিশালী করার উপায়। মজার ব্যাপার, হুক নিজেই কখনো এই প্রক্রিয়ায় লেন্স তৈরি করতেন না। কেননা এই ব্যাপারটা ছিল বেশ কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। আর এই লেন্স দিয়ে পর্যবেক্ষণের সময় লেন্সের উপর একরকম প্রায় চোখ লাগিয়ে রাখতে হয়। বয়ষ্ক হুকের চোখে সমস্যা দেখা দেয়ায় তিনি এই লেন্স ব্যাবহার করতেন না। তিনি দুইটি লেন্স একত্রে লাগিয়ে একটি কাঠামো দাড়া করান যা বর্তমান সময়ে আমরা যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র হিসেবে চিনি।
ওদিকে আমাদের অ্যান্টোনি সাহেব একটা লেন্স নিয়েই খুশি ছিলেন। পরবর্তীতে আরো বহু সংখ্যক লেন্স তৈরি করেন। ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা হচ্ছে, আজও জানা যায়নি ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় তিনি এই লেন্সগুলো তৈরি করতেন। কেননা তার প্রক্রিয়াগত লেন্সের সাথে হুকের লেন্সের মিল প্রায় ছিলোই না বললে চলে। অ্যান্টোনির লেন্সগুলো হুকের চেয়ে আরো স্বচ্ছ ছিল। জানা যায়, অ্যান্টোনি সাহেব তার এই প্রক্রিয়া কোথাও লিখেও রেখে যাননি। সোজা ভাষায় তিনি এটা গোপনই রাখতে চেয়েছিলেন। তাই আজও আমরা ব্যাবহার করি হুকের বর্ণনা দেয়া তৈরিকৃত লেন্স। তবে অবশ্যই, আরও উন্নত প্রক্রিয়ায় তৈরিকৃত। আমরা আবার গল্পে ফিরে আসি।
অ্যান্টোনি ততোদিনে বুঝতে পেরেছিলেন, তার লেন্সের বিবর্ধক ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। আগে যা দেখতেন, তার চেয়ে আরো পরিষ্কার, আরো স্বচ্ছ সবকিছু দেখতেন। তার নতুন লেন্সগুলোও আকারে ক্রমশ ছোট হতে লাগল। তার অধীনের সবচাইতে ছোট লেন্সটির ব্যাস হচ্ছে ১ মি.মি.! এই লেন্সের বিবর্ধক ক্ষমতা সাধারণ লেন্সের চাইতে ৩০০ গুণ বেশি! ওদিকে হুকের লেন্সের ক্ষমতা ছিল মাত্র ৫০ গুণ!
অ্যান্টোনি তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করেন ১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দে। গল্পটা বেশ চমৎকার।
সেপ্টেম্বর মাসের এক মেঘলা বিকেল। হঠাতই নামল বৃষ্টি। অ্যান্টোনি আনমনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছিলেন। বৃষ্টির ফোঁটা জানালা দিয়ে এসে পড়ছিল তার টেবিলে রাখা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের উপর। আনমনে লেন্সের উপর চোখ রেখেই চমকে উঠেন। এ তিনি কি দেখছেন! সহস্র ক্ষুদ্র প্রাণী অসম্ভব জীবনীশক্তি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। হতভম্ব অ্যান্টোনি ধারণা করলেন সেগুলোর ১০০০০টির পরিমাণ হয়তোবা একটি ক্ষুদ্র বালুকণার সমান হবে! এই ক্ষুদ্র প্রাণীগুলো ছিল বর্তমান সময়ে আমরা যা চিনি ব্যাক্টেরিয়া নামে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরের বছরেই আবিষ্কার করেন শুক্রাণু ও ডিম্বাণু। এও বর্ণনা করেন যে, শুক্রাণু দ্বারাই ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়।
“আমি কিছু অতিক্ষুদ্র প্রাণিকণা পর্যবেক্ষণ করছি কয়দিন ধরে। এগুলোর ছোটাছুটি আমাকে হতবাক করে তুলছে। এদের দেহের সব অঙ্গাণু স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়!”
-অ্যান্থনি মাজিলাবেচি-কে পাঠানো ভন লিউয়েনহুকের একটি চিঠির একাংশ।
শুধু এখানেই থেমে নয়। ১৬৮৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মানবদেহের লসিকাতন্ত্রেরও সন্ধান পান। এই লসিকাকে তিনি আখ্যায়িত করেন ‘দুধের মত সাদা তরল’ হিসেবে। আসলেই তাই।
এছাড়াও তিনি মানবদেহের রক্তসংবহনতন্ত্রের উপর নিজের মতবাদ প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রয়াত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার উইলিয়াম হার্ভের মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বিজ্ঞানী রবার্ট হুক ও আমাদের গল্পের নায়ক অ্যান্টোনি ভন লিউয়েনহুকের সম্মিলিত কাজ জন্ম দেয় জীববিজ্ঞানের এক নতুন অধ্যায়ের; মাইক্রোবায়োলজি বা অণুজীববিজ্ঞান।
এবার আমরা একটু পিছনে ফিরে যাই। ১৬৬২ খ্রিস্টাব্দ। তৎকালীন ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ‘রয়েল সোসাইটি’ নামক এক প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা তাদের নতুন নতুন আবিষ্কারের স্বীকৃতি নিতেন সেখান থেকে। এলো ১৬৭৬ খ্রিস্টাব্দ। সুদূর হল্যান্ড থেকে এক প্রতিষ্ঠিত ও রয়েল সোসাইটির সদস্য ডাক্তার রেইনিইয়ার ডি গ্রা-এর চিঠি এল। চিঠিতে লেখা ছিল যে, তিনি এক ব্যাক্তির সাথে রয়েল সোসাইটির পরিচয় করিয়ে দিতে চান, যিনি কিনা এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যা দিয়ে সাধারণ দৃষ্টিক্ষমতার চেয়ে ৩০০ গুণ বিবর্ধিত দেখা যায়। আর এর সাহায্যে তিনি এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন।
স্বভাবতই সোসাইটির কর্মকর্তারা এমনভাবে হাসলেন যেন নতুন কোন মিম দেখেছেন। যন্ত্রের আবিষ্কারককে কেউই ছেড়ে কথা বলল না। বাদ পড়লেন না সম্মানিত সদস্য রেইনিয়ারও। তাকেও এই ধরণের কাজে সম্পৃক্ত হতে দেখে নিন্দা করা হয়। তবে বাধ সাধলেন কিছু কর্মকর্তারা।
তারা একটু অবাকই হলেন পুরো ব্যাপারটায়। তাছাড়া তারা এও জানতেন রেইনিয়ার যেমন-তেমন কেউ না। সে যখন কাউকে উল্লেখ করেছে, অকারণে করেনি। তাই তারা আরো বিস্তারিত জানতে চাইলেন ব্যাপারটা।
এতক্ষণে আমরা হয়ত জেনে গিয়েছি সেই হতভাগ্য আবিষ্কারক কে হতে পারে। ধরে নিলাম আমরা এখনো এনাকে চিনি না।
রয়েল সোসাইটি থেকে ফিরতি চিঠি পেয়ে আমাদের আবিষ্কারক সাহেব নতুন উদ্দমে কাজে লেগে গেলেন। নতুন নতুন নমুনা সংগ্রহ করতে লাগলেন। বৃষ্টির পানি থেকে শুরু করে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা সাদা আস্তরণও বাদ গেলোনা। এক সময় একগাদা নমুনা সংগ্রহ করে সেই যন্ত্রসহ পাঠিয়ে দিলেন রয়েল সোসাইটিতে। সাথে দিয়ে দিলেন তার গবেষণার প্রবন্ধগুলো।
বিজ্ঞানীরা এবার অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে একেক করে নমুনা পরীক্ষা করে দেখলেন। প্রত্যেক নমুনা পরীক্ষা করার সাথে সাথে তাদের চোয়াল একটু একটু করে ঝুলতে লাগল। শেষ পর্যায়ে তাদের চোয়াল প্রায় ছিড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হল।
ফলাফল?
১৬৭৭ খ্রিস্টাব্দ। আমাদের এই আবিষ্কারকের বাসার ফটকে কারা জানি কড়া নাড়ছিল। দরজা খুলে আবিষ্কারকেরও চোয়াল ঝুলে যায়। স্বয়ং রয়েল সোসাইটির উচ্চপদস্থ কয়েকজন সদস্য তার দরজার সামনে। হাতে একটা চকচকে রুপার বাক্স। তাতে ছিল রয়েল সোসাইটির সিলকৃত একটি মানপত্র।
আমাদের এই হতভাগ্য আবিষ্কারক তথা, অ্যান্টোনি ভন লিউয়েনহুককে সম্মান জানাতে সূদুর ইংল্যান্ড থেকে বিজ্ঞানীরা ছুটে আসেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের এক ঝলমলে সকালে এই মহান ব্যাক্তিকে রয়েল সোসাইটির সম্মানিত সদস্যপদে ভূষিত করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সোসাইটিতে তিনি ৫০০-র বেশি গবেষণা প্রবন্ধ জমা দিয়েছিলেন।
দুঃখের বিষয়, এই মহান ব্যাক্তির প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা না থাকায় তিনি কোনদিনই রয়েল সোসাইটির কোন সভায় উপস্থিত হননি। সবকিছুর পিছনে ছিল এক ল্যাটিন ভাষা। হায় ভাগ্য!
অ্যান্টোনির শেষ বয়সের সঙ্গী ছিলেন তারই একমাত্র মেয়ে মারিয়া। বাবাকে তিনি দিয়ে গেছেন তার সর্বোচ্চটুকু। যদিও অ্যান্টোনি আরেকবার বিয়ে করেন, সেই স্ত্রীও মারা যান যখন অ্যান্টোনির বয়স ৬১।
এতকিছুর মাঝেও স্বয়ং অ্যান্টোনিকেই ভর করেছিল এক অজানা রোগ। তিনি তার শেষ দিনটি পর্যন্ত কাটিয়েছেন এর সাথে যুদ্ধ করে। মাংসপেশির অজানা এই রোগটির বর্তমান নাম Myoclonus. মহান এই বিজ্ঞানির সম্মানে এই রোগের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Van Leuwenhoek’s disease.
“…আমি এখন যা সম্মান পাচ্ছি, তা মোটেও আমার এতদিনের করা এসব কাজের উদ্দেশ্য ছিলোনা। এ সবই ছিল আমার জ্ঞানের প্রতি এক তীব্র ক্ষুধার কারণে।”
স্বশিক্ষিত এই মহান বিজ্ঞানী ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে আগস্ট ৯০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিজ শহর ডেলফটের এক চার্চে তাকে সমাহিত করা হয়।।
“যখনই আমি অদ্ভূত কিছুর সন্ধান পেয়েছি, তখনই একান্ত কর্তব্য পালন করেছি। সেটা ছিল এই অদ্ভূত জিনিসটা সম্পর্কে খাতায় লিখে রাখা। কারো না কারো তো একদিন উপকারে আসবেই।”
অসম্ভব পরিশ্রমী ও মেধাবী এই লোকটির পরবর্তী ১০০ বছরেও কেউ আর তার মত আণুবীক্ষণিক জগত পর্যবেক্ষণ করতে পারেনি।।
References:
1. https://www.britannica.com/biography/Antonie-van-Leeuwenhoek
2. https://www.famousscientists.org/antonie-van-leeuwenhoek/
3. চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার- এনায়েত রসুল