রিয়ান লুইস (Rhian Lewis) ৪৯ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ মহিলা। জন্ম থেকেই তিনি অন্ধ। এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখার ভাগ্য তার হয়নি। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানের কল্যাণে তার সেই ভাগ্য হল। অক্সফোর্ডের জন রেডক্লিফ হাসপাতালে ৮ ঘন্টার একটানা অপারেশনের পর ‘বায়োনিক আই’এর কল্যাণে লুইস তার দৃষ্টি ফিরে পিয়েছি। ঐ সময়টাতে যে তার অনুভুতিটা কেমন ছিল তা আর নাই বা বললাম।
এই বায়োনিক আইটি বানিয়েছে জার্মান কোম্পানী Retina Implant AG. এই কৃত্রিম চোখে প্রায় ১৫০০ আলো শনাক্তকারী সেন্সর রয়েছে। এই সেন্সরগুলো ইলেক্ট্রিক সিগন্যালের মাধ্যমে মস্তিস্কে সঙ্কেত পাঠায় আর মস্তিষ্ক সেভাবেই ছবি বানিয়ে নেয়। আর এসকল কাজ নিয়ন্ত্রন করার জন্য কানের পেছনে বসানো হয়েছে একটা অতি ক্ষুদ্র কম্পিউটার। রিয়ান এই কৃত্রিম চোখের কন্ট্রাস্ট আর শার্পনেস ইচ্ছামত বাড়িয়ে কমিয়েও নিতে পারে। এই চোখ ব্যাবহারে অভ্যস্থ হতে বেশ কয়েকদিন লাগবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এটা সফল হলে ভবিষ্যতে ব্যাপক আকারে এর ব্যবহার শুরু করা যাবে আর সারা বিশ্বের মানুষের অনন্ধত্বের অভিশাপ ঘুঁচবে।
কৃত্রিম চোখঃ অন্ধজনে দাও গো আলো

Comments are closed.