একটি ভালো খবর,আরেক খারাপ। ভালো খবরটাই আগে দেই। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। হরহামেশাই নতুন গ্রহের সন্ধান আসছে। কিন্তু এই গ্রহ হচ্ছে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে কনিষ্ঠ গ্রহ। অর্থ্যাৎ এখন পর্যন্ত পাওয়া গ্রহগুলোর মধ্যে এর বয়স সবচেয়ে কম। আর খারাপ খবর হচ্ছে গ্রহটি এখন মৃত্যুশয্যায়। মহাবিশ্বে তার অস্তিত্ব প্রায় ফুরিয়ে এসেছে।
তরুণ গ্রহ
রাইস ইউনিভার্সিটির একদল এস্ট্রোনমার সর্বকনিষ্ঠ গ্রহের সন্ধান করছিলো। আর এরই মাঝে তারা খুঁজে পেলো সর্বকনিষ্ঠ গ্রহের সন্ধান। গ্রহটির ভর জুপিটার গ্রহের দ্বিগুণ হবে। আর গ্রহটি এমন এক নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে যার বয়স মাত্র ২মিলিয়ন বছর। মানবজাতির প্রথম দিককার সদস্য হল হোমো। এই হোমোর জীবাশ্ম প্রায় ২.৮ মিলিয়ন বছর পুরানো। অর্থ্যাৎ এই গ্রহ, মানবজাতির আগমনের পরে গঠিত হয়েছে। গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে PTFO8-8695 b। গ্রহটি এখন গ্যাসীয় অবস্থায় আছে। গ্রহটি তার নক্ষত্রের খুব কাছ দিয়ে নিজের অরবিটে পরিভ্রমণ করছে। এই কারণে এই এক্সোপ্ল্যানেট টিকে শ্রেণিগত ভাবে উত্তপ্ত জুপিটার বা Hot Jupiter এর কাতারে ফেলা হয়েছে।
আমি আমার আগের একটি আর্টিকেলে এক্সোপ্ল্যানেট বুঝিয়ে বলেছিলাম। আপনাদের সুবিধার্থে আবারো বলছি। আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত অন্য সকল গ্রহ আমাদের জন্য এক্সোপ্ল্যানেট।
আমরা যা জানি,
এই নবাগত গ্রহ, PTFO8-8695 b, এর ব্যাপারে খুব ডিটেইলে এখনো জানা যায় নি। গ্রহটি তার কক্ষপথে অনেক দ্রুতগতিতে ঘূর্ণায়মান। মাত্র ১১ ঘন্টায় সে তার একবার পরিভ্রমণ সম্পন্ন করে। এই দ্রুতগতির কারণে গ্রহটির সর্ববহিস্থ লেয়ার বা স্তরের সাথে ভেতরের স্তরের একটি ক্রমাগত সংঘর্ষ হচ্ছে। ফলে স্তরগুলোর মাঝে ভাগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং গ্র্যাভিটিও অনিয়মিত হচ্ছে। বহিরাগত দিক থেকে দেখলে স্পষ্টই বোঝা যায় যে গ্রহটির অবস্থা খুব একটা ভালো না। এস্ট্রোনমাররা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না যে, গ্রহটি সর্বোচ্চ আর কতোদিন টিকে থাকতে পারবে। তবে এটা বলা যায় যে খুব বেশিদিন না। সময় প্রায় শেষের দিকে। এই নবাগত গ্রহটির জন্য একটি উক্তিই দেওয়া যায়, “The poor Fellow“।
এই গ্রহ সম্পর্কে খুব একটা তথ্য দেওয়া যায় নি। তবুও আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা এই গ্রহ সম্পর্কে আরো কোন তথ্যের প্রয়োজন হয় তবে আস্ক সাইটে জানাতে ভুলবেন না।
তথ্যসূত্র ও ছবি কৃতজ্ঞতা: Curiosity
Leave a Reply