বাংলাদেশের কিছু শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও তাদের আবিস্কারঃ পর্ব -২

প্রথম প্রকাশনায় আমরা ৩ জন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকে আমরা  আরও ৩ জন বিজ্ঞানীকে নিয়ে আলোচনা করব, যারা বাংলাদেশের সম্মানকে পৃথিবীর বুক উঁচু করেছেন । কেউবা তার নতুন গবেষণার মাধ্যমে নতুন রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার করেছেন, কেউবা পৃথিবীর নিরাপত্তা বলয়কে করে তুলেছেন আরও নিচ্ছিদ্র । চলুন, জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের সেসব সূর্য সন্তানদের সম্পর্কে কিছু তথ্য –

ড. শাহ এম ফারুকঃ

জন্মঃ ১৯৫৬, যশোর জেলা

শিক্ষাজীবন: তিনি যশোর জিলা স্কুল ও ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন  ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান  বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালে বিএসসি ও ১৯৭৯ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন ।

কর্মজীবন ও গবেষণা:  ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে কিভাবে মারাত্মক কলেরা হয় তার কারণ আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানী। আন্তর্জাতিক কলেরা রোগ গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআরবি’র আণবিক জেনেটিক্স বিভাগের প্রধান ডাক্তার শাহ এম ফারুক ও তার গবেষণা দল এটি আবিষ্কার করেছেন। যখন বিশ্বব্যাপী কলেরার কারণ হিসেবে নতুন ধরণের ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী বলে ধারনা করা হত তখন গবেষক দলটি এ সাফল্য অর্জন করেছিলেন। তাদের মতে, ‘ভিবরিও’ নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মানুষ আক্রান্ত হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ গবেষণায় দেখানো হয়েছে কিভাবে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ভিবিরিও’র সংস্পর্শে এসে একে আরো কার্যকরী বা শক্তিশালী করে তোলে।

অর্জন:   তিনি ২০০৫ সালে উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে (TWAS Prize-2005) সর্বোচ্চ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিকভাবে এই স্বীকৃতি অর্জনের নেপথ্যে রয়েছে সায়েন্টিফিক জার্নালের পাবলিকেশন। তিনি এ পর্যন্ত বিশ্বমানের ১০০’র উপরে পিয়ার রিভিউ গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তাঁর গবেষণার মান পৃথিবীর ঐ সমস্ত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন হার্ভার্ড, কেমব্রিজ) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (NIH) কর্মরত বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের সাথে তুলনীয়। সম্প্রতি (২০১০) তার গবেষণালব্ধ তথ্য বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা সায়েন্টিফিক জার্নাল নেচার (Nature)-এ প্রকাশিত হয়েছে।

ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে কীভাবে কলেরা ছড়ায় সেটা আবিষ্কারের পর এই বিজ্ঞানীর নতুন প্রত্যয় এই রোগকে চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় দেওয়া। কলেরার কারণ আবিষ্কারের ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মোকাবিলায় নতুন ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া হলো। তার গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে কলেরা প্রতিরোধক ওষুধ আবিষ্কারের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

ডঃ আনিস রাহমানঃ

জন্মস্থান: পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নৌবাড়িয়া গ্রামে ।

শিক্ষা জীবন:

ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী ছাত্র। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পর ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিষয় ছিল পদার্থবিজ্ঞান। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে লাভ করেন ব্যাচেলর ডিগ্রি। হন প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয়। মাস্টার্সও করেন একই বিষয়ে। এবার হন প্রথম শ্রেণীতে প্রথম। উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য এরপর বৃত্তি নিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মার্কুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস করেন সলিড-স্ট্যাট ফিজিক্সে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেন ১৯৯৪ সালে। পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি লাভের জন্য এরপর ভর্তি হন নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর এখানে লেখাপড়া করেন।

ড. আনিস রহমান বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের রেডিয়েশন কন্ট্রোল অফিসার হিসেবে নন ডিগ্রি সার্টিফিকেট অর্জন করেন। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ার এমআইএনটি থেকে নন ডিগ্রি সার্টিফিকেট লাভ করেন ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন অ্যান্ড সেফটি প্রোগ্রাম ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেডিওগ্রাফি’ বিষয়ে। আনিস রহমানের ঝুলিতে আরো আছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেডিয়েশন প্রোটেকশন অ্যান্ড ওয়েস্ট সেফটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিষয়ে নন ডিগ্রি সার্টিফিকেটও।

কর্মজীবন ও গবেষণা:

কেবল শিক্ষাগত জীবনেই নয়, আনিস রহমান সাফল্য পেয়েছেন কর্মজীবনেও। পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি নেওয়ার পর যোগ দেন আমেরিকার ‘পটোম্যাক ফটোনিক্স মেরিল্যান্ড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। এ প্রতিষ্ঠানে থাকার সময় ‘লেজার ডিরেক্ট রাইট ওয়ার্ক-স্টেশন’ নিয়ে কাজ করেন। লেজার শক্তিকে আরো উন্নত করা ছিল যার মূল লক্ষ্য। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় উদ্ভাবন করেন পলিমারিক ও ন্যানো পার্টিক্যাল থিন ফিল্ম ফ্যাসিলিটি।

২০০০ সালে যোগ দেন পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গের টয়কো ইলেকট্রনিক্স ফাইবার অপটিকস ডিভিশনে। এরপর ক্যালিফোর্নিয়ার স্যানিভ্যালির ইন্টেলিজেন্ট ফাইবার অপটিক সিস্টেমে কাজ করেন। এখানে ছিলেন পরামর্শক, ২০০২ সাল পর্যন্ত।

ড: আনিস রহমান ত্বকের ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করেন। মেলানোমা ক্যানসারের অগ্রিম নির্ণয়ের একটা পদ্ধতি তিনি আবিষ্কার করেছেন।

ড: আনিস  রহমান Applied Research & Photonics Inc কোম্পানির প্রেসিডেন্ট এবং প্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান অফিসার।

অর্জন:   গতানুগতিক নিরাপত্তা বলয় সাধারণত আকারে অনেক বড় হয়। সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায় না। খরচও করতে হয় প্রচুর। কিন্তু এর পরও এর মাধ্যমে মেটালিক বিস্ফোরক ছাড়া অন্য কোনো ধরনের বিস্ফোরক ধরা পড়ে না। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় বেড়েছে কেমিক্যাল পাউডারজাতীয় বিস্ফোরক-দ্রব্যের ব্যবহার।

নিকট অতীতে ডেল্টা এয়ারলাইন্সে নাইজেরিয়ার এক সন্ত্রাসী আন্ডারওয়্যারে পাউডার-জাতীয় বিস্ফোরক পরিবহণ করছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শত শত যাত্রী । তাকে গ্রেফতার করা হয় তার সন্দেহজনক আচরণের জন্য ।অথচ প্রচলিত  নিরাপত্তা বলয় তা সনাক্ত করতে পারে নি।

এসব বিস্ফোরক ধরা পড়ে না গতানুগতিক নিরাপত্তা বলয়ে। কিন্তু স্পেকট্রোমিটার যেকোনো ধরনের বিস্ফোরকদ্রব্যই শনাক্ত করতে পারে। এ ছাড়া এ মেশিন যেন ভুল সিগন্যাল না দেয় অথবা সন্ত্রাসীরা যাতে সিগন্যাল আড়াল করতে না পারে, সে জন্য বিশেষ ধরনের প্রাযুক্তিক কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে অপটিক্যাল ফাইবার, নানা ধরনের সেন্সর ও ন্যানো প্রযুক্তির আলোকরশ্মি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো স্পেকট্রোমিটারের আকার- মেশিনটি সহজেই একটি টেবিলে বসানো সম্ভব। বহনেও খুব একটা সমস্যা হয় না।

স্পেকট্রোমিটারের প্যাটেন্ট ড. আনিসের হলেও যুক্তরাষ্ট্রের হয়েই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করছেন তিনি। অনেক রাষ্ট্রের কাছেই পাঠানো হয়েছে স্পেকট্রোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব ও ভারত। প্রযুক্তিটির সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আরো অনেক দেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন  বা নাসার  বিশ্বসেরা ৫০ বিজ্ঞানীর তালিকার অন্যতম বিজ্ঞানী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আনিস রহমান। নাসা তাঁকে ফেলোও মনোনীত করেছে।

স্বীকৃতি:

* ১৯৯৭ সালে তালিকাভুক্ত হন ‘হুজ হু’ অব দ্য প্রফেশনাল’ হিসেবে।
* কাজ করেছেন বিশ্ববিখ্যাত কম্পিউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের ‘ইন্টেল ট্যালেন্ট সার্চ’-এর মেন্টর হিসেবে।
* গেল বছর থেকে কাজ করে যাচ্ছেন ‘দ্য স্মল কেমিক্যাল বিজনেস ডিভিশন অব দি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’র       প্ল্যানিং চেয়ার ও বুথ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে।
* ২০১২ সাল থেকে জড়িত রয়েছেন টেকনোলজি ট্রান্সফার সো-কেস ‘সিএলইও’র কোর কমিটির সদস্য হিসেবে।
* ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন ‘সাউদার্ন পেনসিলভানিয়ান সেকশন অব দি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি’র প্রধান হিসেবে।
* ২০১১ সালের এপ্রিলে ‘সিএলইওর ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার লাভ করেন।

লেখালেখি

রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ন্যানো টেকনোলজি, কেমিস্ট্রি, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, বায়োটেকনোলজি, থিন ফিল্ম, লাইফ সায়েন্স, সার্ফেস কেমিস্ট্রি পলিমার, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, অপটিক্স, ক্যারেক্টারাইজেশন, স্পেকট্রোকপি, ডিজাইন অব এক্সপেরিমেন্ট বিষয়ে গবেষণা রয়েছে আনিস রহমানের। গবেষণামূলক কাজের পাশাপাশি লেখালেখিও করেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত রচনা প্রায় ৭০০। যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত গবেষণাধর্মী লেখা আছে সাতটি, একক কনফারেন্স পেপার রয়েছে ৩০টিরও বেশি।

অ্যাওয়ার্ড জয়
২০০৮ সালে জয় করেন নাসার ‘টেক ব্রিফ ন্যাশনাল ফিফটি ন্যানো অ্যাওয়ার্ড’, (ডানে) ২০১১ সালে লাভ করেন ‘লেজার ফোকাস ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’।

আয়েশা আরেফিন টুম্পা

ডাক নাম টুম্পা। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম মহানগরীতে। নগরীর ঈদগাঁ বড়পুকুর পাড় এলাকায় তাদের বাসা। টুম্পার বাবা বেলায়েত হোসেন ছিলেন ঠিকাদার। বর্তমানে তিনি অবসর যাপন করছেন। মা রোকেয়া বেগম গৃহিনী।

শিক্ষাজীবন

জিন-বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোতে ন্যানো-সায়েন্সের উপর ডক্টরেট- এর ছাত্রী। একই সাথে লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে চলছে তাঁর গবেষণা। আয়েশা আরেফিন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কর্মজীবন

২০১১ সালে আমেরিকার আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির গবেষক ক্রিস ডেটার বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত এক কাজে এসে এই সম্ভাবনাময় জিন-বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিনের দেখা পান। ডেটার ও তাঁর সহকর্মী ল্যান্স গ্রিনের একান্ত সহযোগিতার ফলেই আয়েশা লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ পান।

জিন-বিজ্ঞানী আয়েশা তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির বায়ো-সিকিউরিটি বিভাগে। এরপরেই ঐ ল্যাবের ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট রাশি আইয়ার আয়েশাকে অপ্টোজেনিক্স সংক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য নিয়োগ দেন। আয়েশা ও রাশি আয়ারের দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু বা কলা  তৈরি করা সম্ভব। তাঁর একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুস  তৈরি করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমনারি ডিজিজ-এর সময় ফুসফুসের কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা জানা ও  এর  প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা।   আয়েশা একই সাথে বিভিন্ন স্নায়বিক ব্যাধি ও মস্তিষ্কে রক্ত-ক্ষরণ নিয়েও গবেষণা করছেন।

দেশে থাকাকালীন সময়ে জিন-বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন বাংলাদেশের নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি এইচ আই ভি/এইডস নিয়ে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করেছেন।

চলমান…

প্রথম পর্ব যারা মিস করেছেন তাদের জন্যঃ 

বাংলাদেশের কিছু শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও তাদের আবিস্কারঃ পর্ব-১

Comments are closed.