বিজ্ঞাণু [পর্ব -১]

‘বিজ্ঞাণু’ শব্দটি কি নতুন লাগছে? বল তো?
‘বিজ্ঞা’ – এই অংশটি পরিচিত, তাই না? আর ‘ণু’ ? এই অংশটি আগে শোনা হয়নি নিশ্চয়!
সহজ করেই বলে দেই, বিজ্ঞান + অণু = বিজ্ঞাণু, বা যেমন বিজ্ঞান+আলোকবর্তিকা = বিজ্ঞানবর্তিকা

এখন একটু সহজ করেই বলি, বর্ণণা করে – আমরা সবাই বিজ্ঞানের ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী, তাই না? অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই! বিজ্ঞানের কারণে নতুন কিছু হলেই আমরা তা জানার জন্যে হম্বিতম্বি করে ছুটে যাই! তারপর কি করি?
তারপর আমরা সেই ‘নতুন কিছু’টিকে জানার জন্যে বিভিন্ন তাক লাগানো নিউজ, দারুণ আর্টিকেল, চমৎকার জার্নাল আর অবাক করা রিভিউ পড়ি! আর কেউ কেউ ইউটিউবে ভিডিও দেখে নেই, দু’চোখ ভরে! এমনটাই তো করি, তাই না?
কিন্তু অনেক সময় আবার আমাদের সময় থাকে না এসব করার, বেশ তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকা হয়।

তাই বলে কি বিজ্ঞানের চমৎকার ব্যাপারগুলি জানতে পারব না? না জেনে দুঃখ পেতে থাকব?
আচ্ছা, এমন করলে কেমন হয়, বিজ্ঞানের অবাক করা চমৎকার ব্যাপারগুলিকে ২/১ বাক্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে সবাইকে জানিয়ে দিলে?

অনেকটা এরকম – গাড়ি যদি ওপরে আকাশের দিকে চলত, তাহলে মহাশূন্যের বাইরের দিকটায় পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মত লাগত!
চমৎকার, তাই না? খুবই ছোট্ট, তার ওপর অবাক করার মত!
আরও একটি বলি, মানবশরীরের সব ডিএনএ জোড়া দিলে তার দৈর্ঘ্য হবে ২০ বিলিয়ন মাইল, যা পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে ৭০ বার যাওয়া ও আসার জন্য যথেষ্ঠ! [ ১ বিলিয়ন = ১০০ কোটি ]

এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন যে, “বিজ্ঞাণু” ব্যাপারটি কেমন! এক বাক্যে বললে, “২-১ বাক্যের মধ্যে বিজ্ঞানের অবাক করা তথ্য”।

বিজ্ঞাণু নিয়ে নিয়মিত পর্ব বের করা হবে, প্রতিটি পর্বে ১০ টি করে অবাক করার মত তথ্য থাকবে, আর হ্যাঁ, তা অবশ্যই বিজ্ঞানকে নিয়েই! একে ছাড়া আমাদের যে চলেই না!

তো চলুন শুরু করা যাক প্রথম পর্বের বিজ্ঞাণু-

১। টিভিতে কোন চ্যানেল টিউন করা না থাকলে যে ঝিরঝির ছবি দেখা যায়, তা আসলে অংশত ১৪ বিলিয়ন বছর আগে মহাবিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট ফোটনের তেজস্ক্রিয়তা থেকে সৃষ্টি। একে সংক্ষেপে CMBR (Cosmic Microwave Background Radiation) বলা হয়।

২। মানবশরীরের সব ডিএনএ জোড়া দিলে তার দৈর্ঘ্য হবে ২০ বিলিয়ন মাইল, যা পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে ৭০ বার যাওয়া ও আসার জন্য যথেষ্ঠ!

৩। আলমাস – দুনিয়ার সামুদ্রিক মাছের ডিমের মধ্যে এটি সবচেয়ে দামি। এর দাম প্রতি পাউন্ড ১০,০০০ ডলার!

৪। ম্যাচ উদ্ভাবনের আগে লাইটার উদ্ভাবিত হয়েছিল! [ বিস্তারিত ]

৫। গাড়ি যদি ওপরে চলত, তাহলে মহাশূন্যের বাইরের দিকটায় পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মত লাগত!

৬। বেয়ারক্যাটের সাথে বেয়ার (ভালুক) ও ক্যাটের (বিড়াল) কোন মিল নেই!

৭। কাঠবিড়াল বেশ বুদ্ধিমানই! বিশেষ করে ধূসর কাঠবিড়াল! এরা প্রতি শীতে প্রায় ৩ হাজার বাদাম মাটির নীচে পুঁতে রাখে! আর ৯০% যায়গাই সে মনে রাখতে পারে!

৮। প্রতি ১০,০০০ প্রাকৃতিক ঝিনুকের মধ্যে গড়ে কেবল ১ টিতে মুক্তা থাকে!

৯। এক একর পরিমাণ জমির ‘ঝিনুক প্রবাল’ দৈনিক ২৪ মিলিয়ন গ্যালন পানি পরিশ্রুত করে, যা দিয়ে অলিম্পিক এর ৩৬ টি সুইমিং পুল ভরে ফেলা সম্ভব!

১০। প্রাচীন গ্রিসে ধূমকেতু “লোমশ তারা” নামে পরিচিত ছিল!

বি.দ্র. : এই বিজ্ঞাণু সিরিজটি লিখার কারণ, আমরা যাতে খুব অল্প কথায় – অল্প সময়ে বিজ্ঞানের অবাক করা চমৎকার তথ্যগুলি জেনে নিতে পারি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>