কাইমেরিজম: একই দেহে দুটি মানুষ

মনে করুন কোনো প্রয়োজনে হঠাৎ ডিএনএ টেস্ট  করতে হল আপনার । কিন্তু টেস্ট করার পর আপনি অবাক। টেস্ট করানোর  পরে যদি জানতে পারেন, আপনার শরীরে রয়েছে দুজন মানুষের অস্তিত্ব, কিংবা আপনার দেহের ডিএনএ সেট যার থেকে পেয়েছেন তার এ পৃথিবীতে কখনো জন্মই হয়নি, ব্যাপারটি সহজে মেনে নিতে পারবেন কি? সে কথায় পরে আসি। তারা আগে চলুন একটি সত্য  ঘটনা জেনে আসি।

ক্যালিফোর্নিয়ার  একজন মডেল ও গায়িকা হলেন  টেইলর মিউল। জন্ম থেকেই কিছু অস্বাভাবিকতা ছিল টেইলরের শরীরে। তার শরীরের বাম দিকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একটু বেশি বড় ডান দিকের চাইতে। শরীরের একদম মাঝ বরাবর চলে গেছে একটি লাইন, একদিকের ত্বকের রং গাড়, আরেকদিকের ত্বকের রং হালকা।এই দাগটাকে একটা জন্মদাগ বলেই মনে করতেন টেইলর। কিন্তু কাইমেরিজম(Chimerism) নামের একটি রোগের  ওপরে একটি টিভি ডকুমেন্টারি দেখার পর আমূল বদলে যায় তার ধারণা।

শুধু জন্মদাগ নয়, ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত অসুস্থ ছিলেন টেইলর। নিয়মিত ঠাণ্ডাজ্বর, প্রচন্ড মাথাব্যথা এবং অনিয়মিত মাসিক সবসময়েই তাকে পীড়া দেয়। এছাড়াও তার শরীরের একটি দিকে বিভিন্ন মেটালের প্রতি অ্যালার্জি আছে কিন্তু অন্য দিকে নেই।

২০০৯ সালে কাইমেরিজমের ওপরে একটা ডকুমেন্টারি দেখতে গিয়ে টেইলর আবিষ্কার করেন, সেখানে দেখানো এক শিশুর শরীরেও রয়েছে হুবহু একই রকমের একটি দাগ। এক সপ্তাহ পর ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় তার কাইমেরিজম আছে। তার কাইমেরিজমের সবচাইতে বড় লক্ষণ এটাই। সাধারণত কাইমেরিজমে আক্রান্ত মানুষের বাহ্যিক তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না বা থাকলেও ছোট হয়।

জীবনের ৩৩টি বছর নিজের যমজকে শরীরে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন- এমনটা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি । গর্ভে থাকা অবস্থায় তার শরীরের সাথে মিশে যায় তার যমজ বোনের শরীর। বছরের পর বছর পেরিয়ে ২০০৯ সালে আবিষ্কার করা হয়, তার রয়েছে কাইমেরিজম নামের এক দুর্লভ জটিলতা, যেখানে দুই যমজ একই শরীরে থাকে। এক্ষেত্রে একই শরীরে পাওয়া যায় দুইটি ভিন্ন ধরণের ডিএনএ, আলাদা রক্তপ্রবাহ এবং কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় জন্মদাগ।

এতো গেলো একটি ঘটনা। আরো বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং ঘটনা আছে। তবে তার আগে চলুন জেনে আসা যাক কাইমেরিজম সম্পর্কে।

কাইমেরিজম কাকে বলে?

বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে  যখন একটি স্বতন্ত্র জীবের মাঝে দুটি আলাদা জিনের সেট থাকে, সেই অবস্থাকেই  কাইমেরিজম (Chimerism)  বলে । একজন কাইমেরিজমে আক্রান্ত মানুষের শরীরের  কিছু কোষ তাদের নিজেদের নয়, বরং তাদের  যমজ  ভাই অথবা  বোনের, যার কখনো জন্মই হয়নি পৃথিবীতে! তবে  এই কাইমেরিজমের দৃষ্টান্ত মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হবার বহু পূর্বেই নানান রকম স্তন্যপায়ী প্রাণী ও উদ্ভিদে দেখা গিয়েছে।

কাইমেরিজম নামের উৎপত্তি গ্রিক পুরাণ হতে।  প্রাচীন গ্রিক পুরাণে কাইমেরা নামের এক ধরনের প্রাণীর উল্লেখ আছে, যার একটি মাথা ও ঘাড় সিংহের মতো, পিঠ ছাগলের মতো, আরেকটি মাথা এবং লেজ সাপের মতো। অর্থাৎ এক প্রাণীর শরীরে কয়েক প্রাণীর অস্তিত্ব। এ থেকেই মূলত জটিল এই শারীরিক অবস্থাটির এই নামকরণ করা হয়েছে।

টুইন বেবিদের ক্ষেত্রে যখন দু’টো জাইগোট পাশাপাশি মাতৃ জরায়ুতে অবস্থান করে, তখন অনেক সময়ই একটি জাইগোট অপর জাইগোট টিকে আংশিক বা পুরোপুরি ভাবে এবজোরব করে বসে। ফলে, আংশিক এবজোরব হওয়া জাইগোট থেকে ত্রুটিপূর্ণ (ক্ষণজন্মা) বাচ্চার জন্ম হয়। আর, যদি দ্বিতীয় জাইগোট টি পুরোপুরি এবজোরব হয়ে যায়, তবে তখন একটিমাত্র বাচ্চাই জন্মগ্রহণ করে। এখানে দ্বিতীয় জাইগোট টিকে এবজোরব করা প্রথম জাইগোট থেকেই জন্মলাভ করে কাইমেরিক বেবি।

উদ্ভিদের ক্ষেত্রে এমন ভিন্ন ভিন্ন জাইগোট ফিউশন হবার কোন ব্যাপারস্যাপার নেই। উদ্ভিদের বেলায় যা ঘটে, তা হলো- একটি নির্দিষ্ট ধরণের জাইগোট থেকেই ভিন্ন ভিন্ন রকমের টিস্যু গঠিত হয় মিউটেশনের প্রভাবে। কিংবা, আমরা বিভিন্ন উদ্ভিদে যে কলব করে থাকি ভিন্ন ভিন্ন রকমের ফল/ফুল পাবার জন্যে, তাও এক ধরণের কাইমেরিক প্ল্যান্ট  এর উদাহরণ।

কাইমেরিজমের বৈশিষ্ট্য:

কাইমেরিজমের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে সব বৈশিষ্ট্যই সবার মাঝে দেখা যায় না। ব্যক্তি ভেদে নানা রকমের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। সেগুলো নিচে দেয়া হলঃ

১। দুই রকমের রঙ পরিলক্ষিত হয় শরীরে। পুরো শরীরের ছোট অংশ জুড়ে কিংবা প্রায় অর্ধেকের মতো অংশে শরীরের বাকি অংশের চেয়ে গাঢ় রঙ হলে তা হাইপারপিগমেন্টেশন আর হালকা রঙ হলে তা হাইপোপিগমেন্টেশন।

২। রক্তে দুই ধরনের ডিএনএ সেট থাকা।

৩। দুই চোখের রঙ দুই রকম হওয়া।

৪। শরীরে দুই ধরনের ইম্যুনিটি সিস্টেম একইসাথে কাজ করে।

৫।  এদের দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এক পাশের কাঁধ অপর পাশের কাঁধের চাইতে অপেক্ষাকৃত উঁচু বা নিচুতে অবস্থান করছে।

বিভিন্ন ধরণের কাইমেরজমঃ

১।টুইন কাইমেরিজম ঃ  ভ্রূণ অবস্থায় মায়ের শরীরে যমজ ভ্রুনের   একটি ভ্রূণ অনেক সময় মারা যায়। এবং বেঁচে থাকা ভ্রূণটি মৃত ভ্রূণটিকে নিজের মধ্যে শোষণ (Absorb) করে নেয়। ফলে জন্ম নেওয়া মানুষটির শরীরে তার নিজের ও তার নিজের জন্ম না নেওয়া ভাই/বোনের, মোট দুই সেট ডিএনএ থাকে।

২। মাইক্রো কাইমেরিজমঃ গর্ভবতী অবস্থায় মা তার ভ্রূণের কিছু কোষ শোষণ করে নিতে পারে কিংবা উল্টোভাবে ভ্রূণটি মায়ের কিছু কোষ শোষণ করে নিতে পারে। এই কোষগুলো মা কিংবা শিশুর রক্তের মাধ্যমে কোনো অঙ্গে পৌঁছে স্থায়ীভাবে থেকে যায়।

৩। টেট্রাগ্যামেটিক কাইমেরিজমঃ মাতৃ গর্ভাশয়ে সাধারণত একটি শুক্রাণু দ্বারা একটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে জাইগোট তৈরি হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে  দুটি শুক্রাণু দুটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার পর একত্রিত হয়ে একটিমাত্র ভ্রূণে পরিণত হলেও এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়। জন্ম নেওয়া শিশুর শরীরে তখন দুই সেট ডিএনএ পাওয়া যায়।

৪। কৃত্রিম কাইমেরিজমঃ  ব্লাড ট্রান্সফিউশন, স্টেম সেল প্রতিস্থাপন কিংবা বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেও কোনো ব্যক্তির দেহে অন্য ব্যক্তির কিছু কোষ থেকে যেতে পারে। ফলে একজনের দেহে দুই সেট ডিএনএ দেখা যায়। যদিও বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এ ধরনের ঘটনা কম দেখা যায়। এ ধরনের কাইমেরিজমে শুধু রক্তে দু’ধরনের ডিএনএ সেট দেখা যায়। কিন্তু অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় না।

কাইমেরিজমের প্রভাবঃ

১। যে ধরনের কাইমেরিজমের প্রভাবে উভলিঙ্গতার বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, সেক্ষেত্রে প্রজননের ঝুঁকি থাকে।
২। টুইন কাইমেরার ক্ষেত্রে নানা ধরনের অটো ইমিউন রোগ দেখা যেতে পারে।
৩। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক হয়।

৪।ডিপ্রেশনসহ নানা ধরনের সাইকোলজিক্যাল সমস্যা দেখা যেতে পারে।

৫। প্রায়ই মাথা ব্যাথা হয়।

৬।  মায়ের গর্ভাশয়ে থাকা যমজ বাচ্চা দু’টোর জাইগোট একই লিঙ্গের হলে, জন্মলাভ করা কাইমেরিক বাচ্চাটিও একই লিঙ্গের হবে; শুধুমাত্র তার শরীরে দু’টো ভিন্ন ধরণের টিস্যু অবস্থান করবে। আর যদি, যমজ বাচ্চা দু’টোর জাইগোট ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গ প্রকাশ করে, এবং জাইগোট গুলোর মাঝে পরিপূর্ণ এবজোরবেশন ঘটে, তবে জন্মলাভ করা বাচ্চাটি হবে Intersex (উভলিঙ্গ) কাইমেরিক.

কাইমেরিজম নিয়ে সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনাটি হল ২০০২ সালে ঘটা লিডিয়া ফেয়ারচাইল্ডের ঘটনা।  ঘটনাটা ঘটেছিলো আমেরিকায়। ২০০২ সালের দিকে ‘লিডিয়া ফেয়ারচাইল্ড’ যখন তৃতীয়বারের মতো গর্ভবতী হয়েছিলেন, তখন স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। লিডিয়া আদালতে আবেদন করেন আগের দুই সন্তানের অভিভাবকত্ব পাবার জন্যে। আদালত নির্দেশ দেন লিডিয়ার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট জমা দেবার জন্যে। ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেয়া হয়। রিপোর্টে প্রমাণিত হয় ঐ দুই সন্তানের কারো সাথেই লিডিয়ার ডিএনএ ম্যাচ করেনি! আদালতে প্রতারণা মামলায় ফেঁসে যান লিডিয়া।  কিন্তু তার আইনজীবীর পরামর্শে আদালত লিডিয়াকে প্রতারক হিসেবে সাব্যস্ত করতে একটু সময় নেন ।  তবে এক শর্তে- তার তৃতীয় সন্তান জন্মদানের সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন। পরে সেই সন্তানের সাথে আবার লিডিয়ার ডিএনএ ম্যাচ করে দেখা হবে।

দেখতে দেখতে তৃতীয় সন্তানের জন্মদানের সময় চলে এলো। এক হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তৃতীয় সন্তান জন্মদান করেন লিডিয়া। পরে ডিএনএ টেস্ট করা হয় তাদের। ডিএনএ রিপোর্টে পাওয়া গেলো- এই সন্তানের সাথেও লিডিয়ার ডিএনএর কোনো মিল নেই! কিন্তু উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট তো রিপোর্ট করলেন তার চোখের সামনেই লিডিয়া সন্তান জন্মদান করেছিলেন। । আদালত রায় দিলেন- লিডিয়া যে শুধু প্রতারক, তাই নয়, সে টাকার বিনিময়ে অন্য দম্পতিদের থেকে ভ্রূণ নিয়েও নিজের গর্ভে পেলে-পুষে বড় করে সন্তান জন্ম দেয়।
.
ঠিক এমন সময় ঘটলো এক ঘটনা। লিডিয়ার আইনজীবী পেপারে পড়লেন লন্ডনের এক ঘটনা। সেখানে এক মা সন্তান জন্মদানের পর সন্তানের সাথে তার ডিএনএর কোনো মিল না পাওয়ায় গবেষকরা ব্যাপারটা নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছিলেন। সম্প্রতি তারা আবিষ্কার করেছেন- ঐ মা আসলে শরীরে কাইমেরিজম (Chimerism)-এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। লিডিয়ার আইনজীবীও কোর্টে গিয়ে দাবী করলেন- লিডিয়া একজন কাইমেরা। তার শরীরে আলাদা দুই সেট ডিএনএ আছে। আইনজীবীর দাবী অনুযায়ী আবার টেস্ট করে দেখা গেলো ঘটনা সত্যিই তাই। লিডিয়ার শরীরে আরেক সেট ডিএনএ পাওয়া গেলো যেটার সাথে তার সন্তানদের ডিএনএ মিলে যায়! শুধু তাই নয়। ঐ একই সেট ডিএনএ পাওয়া গেলো লিডিয়ার মা এবং নানীর শরীরেও। লিডিয়ার সন্তানদের ডিএনএ ম্যাচ করলো লিডিয়ার মা এবং নানীর ডিএনএর সাথেও। লিডিয়া বেকসুর খালাস পেলেন। সেই সাথে ফিরে পেলেন তার সন্তানদের।

এছাড়াও আরেকটি ঘটনা হল  কারেন কিগ্যান নামের এক মহিলার । ১৯৯৮ সালে বোস্টনে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য কারেন কিগ্যান নামের এক ভদ্রমহিলা তার দুই ছেলের টেস্ট করান। উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানেরা মা-বাবা উভয়ের থেকে ডিএনএ পেলেও, তার সন্তানদের কারো সাথে তার ডিএনএ কোডের মিল পাওয়া যায়নি, যার দ্বারা প্রমাণ হয় তারা কেউ-ই কিগ্যানের সন্তান না। বোস্টনের ডাক্তাররা এরপর বেশ কিছু অনুসন্ধান চালান। তার শরীরের নানা অংশের কোষ পরীক্ষা করে দেখা হয়। অবশেষে কিগ্যানের থাইরয়েডের কোষে তার সম্পূর্ণ শরীর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ডিএনএ সেট পরিলক্ষিত হয়, যা তার ছেলেদের সাথে মিলে যায়। এ ঘটনার পরেই কিগ্যান জানতে পারেন তিনি মূলত একজন কাইমেরা। এক অর্থে তিনি নিজেই নিজের জমজ, নিজের মধ্যে অন্য এক সত্ত্বাকে ধারণ করেছিলেন।

অতএব দেখা যাচ্ছে কাইমেরিজমের ঘটনা খুব একটা  বিরল নয়। ১৯৫৩ থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন কাইমেরিক পেশেন্ট পাওয়া গিয়েছে পুরো পৃথিবী জুড়ে। লিখিত আছে ৩০টি ঘটনা।  দেখা যাচ্ছে  কাইমেরা রোগীর অস্তিত্ব পৃথিবীতে আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক তেমন কোনো লক্ষণ না দেখা যাওয়ায় এই ব্যাপারে মানুষ তার জীবদ্দশায় জানতেও পারে না। বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ ব্লাড ও ডিএনএ টেস্ট করানোতেই জানতে পেরেছেন তারা আসলে কাইমেরা। তবে কাইমেরিজমের তেমন  কোনো প্রতিকার নেই। কাইমেরিজমের জন্য যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয় সেসবের জন্য ডাক্তারের পরামর্শমত ওষুধ সেবন করলে সেগুলো অনেকটা উপশম হয়।

তথ্যসূত্রঃ

১। https://www.britannica.com/science/chimera-genetics

২। https://abcnews.go.com/Primetime/shes-twin/story?id=2315693

 

Comments are closed.