বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তারা অটিজম এবং রক্তে প্রোটিনগুলোর মধ্য একটি সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন। একটি নতুন পরীক্ষার মাধ্যমেই তারা অটিজমের লক্ষন সনাক্তকরণে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে ভাল উপায় বের করেন।
ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নালা রব্বানী দ্বারা পরিচালিত, একটি অনুসন্ধানী দল রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করে রক্ত ক্ষতিগ্রস্থ প্রোটিনের অনুসন্ধান করেন।’ Molecular Autism ‘ নামক একটি ম্যাগাজিনে গবেষক দলের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় যে, তাদের প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) সনাক্ত করা যেতে পারে।
ড.রব্বানি এমনটাই মত প্রকাশ করেন যে, অটিজম সমস্যা সমাধানে তাদের গবেষণা আগে নির্ণয়ের এবং পরবর্তীতে সমস্যাটি সমাধানের ক্ষেত্রে পরিচালিত হবে।
গবেষক দল আশা করেন যে, তাদের পরীক্ষাগুলি অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে নতুন কার্যকরী কারণগুলি প্রকাশ করবে। রক্তে বিদ্যমান প্লাজমা এবং প্রস্রাব প্রোফাইলে স্বাভাবিক প্রোটিনগুলোতে ক্ষতিকর পরিবর্তনের মাধ্যমে ASD নির্ণয় করা হয়।
একটি অটিজম স্কুলে অধ্যয়নরত ৩৮ জন ছেলেমেয়েদের (২৯ জন ছেলে ও ৯ জন মেয়ে) মধ্য বিজ্ঞানীরা তাদের নব্য আবিষ্কৃত প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করেন। তারা ৩১ জন সুস্থ শিশুর সাথে এই অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের রক্ত ও প্রস্রাবে বিদ্যমান প্রোটিনের পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
শিশুদের নমুনায় পাঁচ থেকে বার বছর বয়সী দুইটি গ্রুপের রাসায়নিক পার্থক্য ছিল। বিশেষত, তারা দেখেন যে ASD আক্রান্ত শিশুদের ডিট্রিওসাইন ( DT) নামে একটি Oxidation marker উচ্চ মাত্রায় থাকে এবং রক্তের Sugar সংশ্লেষণযুক্ত হয়ে থাকে, এটিকে Advanced Glycation Endproducts (AGEs) বলে।
গবেষক দল বলেন, রক্তে বিদ্যমান AGE এর মাধ্যমে অটিজম সনাক্ত করার পদ্ধতিটিই হল এখন থেকে আবিষ্কৃত সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি । এই পদ্ধতি প্রয়োগে ৯০ শতাংশ ফলাফলই সঠিক পাওয়া যায়।
গবেষণা একটি ক্ষুদ্র পর্যায়ে ছিল। তাই ফলাফলগুলো নিশ্চিত করার জন্য আরও পরীক্ষার প্রয়োজন হবে। যদি পরীক্ষাটি বৃহৎ পর্যায়ে চলিয়ে সুফল পাওয়া যায় তবে এটি অটিজম চিকিৎসায় বিপ্লব বয়ে আনবে।
অটিজম একটি আচরণগত সমস্যা। সারা বিশ্বের প্রায় ১ শতাংশের অটিজম এ আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে, যা চাকরি এবং দৈনন্দিন জীবনের সাথে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই সমস্যা সমাধানে এই গবেষণাটি যথাযথ ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply