২০১৮ সাল টা হুয়াওয়ের জন্যে যতটা ভালো গেছে ১৯ এর শুরুটা ইংগিত করছে ততটাই খারাপ যাবে।
২০১৮ সাল থেকে হুয়াওয়ের ৫জি টেকনোলজি নিয়ে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র আপত্তি এবং গুপ্তচরবিত্তির অভিযোগ নিয়ে আসছে যে, তারা সম্ভবত চিনের সাথে যোগসাজগ করে পার্সোনাল ইনফো পাচার করে দিচ্ছে। হার্ডওয়্যার ব্যাকডোর এর মাধ্যমে তথ্য ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির কাছে পাচার হয়ে যেত, বেশ কিছু কোম্পানি বলছে তারা হুয়াওয়ে প্রডাক্ট এ ব্যাকডোর খুঁজে পেয়েছে যা পুরোপুরি নিরাপত্তার বিপরীত যার ফলে যেকোনো থার্ড পার্টি সিস্টেমে ঢুকে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে, কিন্তু ব্যবহারকারী তা বুঝতে পারবে না।
অ্যা সিরিয়াস ক্রাইম
ইউরোপিয় ইউনিয়ন ডিসাইড করেছে তারা হুয়াওয়ের ৫জি প্রযুক্তি বয়কট করবে, ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এর মত বেশকিছু দেশ তাদের টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ককে বলে দিয়েছে হুয়াওয়ের ৫জি প্রযুক্তির সাথে কোনোভাবেই কানেক্টেড থাকা যাবে না।
হুয়াওয়ের স্মার্টফোন গুলো গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নির্ভরশীল।
হুয়াওয়ে আর ইউএস সরকারের ঝামেলা কিন্তু নতুন নয়, কয়েক মাস পূর্বে থেকেই এগুলো শোনা যাচ্ছিলো। তবে এই আওতায় হুয়াওয়ের আলাদা কোন প্রোডাক্ট অ্যাফেক্টেড ছিল না। ঝামেলা হয়েছিলো হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি নিয়ে, মানে বলতে পারেন ৫জি মোবাইল টাওয়ার বা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যেসকল ডিভাইজ এবং প্রযুক্তির প্রয়োজন পরে হুয়াওয়ে হচ্ছে সবচাইতে বড় নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি প্রভাইডার, এরা সম্পূর্ণ দুনিয়ায় মোবাইল অপারেটর গুলোকে তাদের নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি সাপ্লাই করে থাকে।
এখন কোন কারণে ইউএস সরকার মনে করছে হুয়াওয়ে তাদের নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে ব্যাকআপ তৈরি করে রাখে এতে ইউএস ইউজারদের সকল ডাটা চায়নার কাছে সেন্ড করা হতে পারে। হুয়াওয়ের কাছে এই মুহূর্তে ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরি করার সবচাইতে বেস্ট যন্ত্রপাতি লভ্য রয়েছে, হয়তো কয়েক মাস বা বছরের মধ্যেই ৫জি গোটা দুনিয়াতে বেশ সারা ফেলতে পারে।
এই গ্লোবাল ইনসিকিউরিটিজ হুয়াওয়েকে অনেক বড় ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে কেননা হুয়াওয়ের যাত্রা শুরুই হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক কোম্পানি হিসেবে।
এখন দেখার বিষয় হুয়াওয়ে কিভাবে এই বিষয় সামাল দেয়।
সেদিক থেকে হুয়াওয়ের কপাল খারাপ বলতেই হবে,মার্কিনমুলুকের রোষানলে পড়ে গেছে। যাই হোক এখন দেখা যায় এই মারাত্নক সমস্যা থেকে কিভাবে উদ্ধার পায় হুয়াওয়ে।
টুবি নোটেড দ্যাট : চাইনিজ সরকার তাদের সকল টেলিকম অপারেটর দের সাথে চুক্তি করছে যে তারা তাদের কাছে যেকোনোসময় গ্রাহকের তথ্য প্রদানে প্রস্তুত থাকবে যা কিনা গ্রাহকের প্রাইভেসি নষ্টের মূল।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স জানিয়েছে যে এখন থেকে মার্কিন টেক জায়ান্ট দের সাথে আর ব্যবসায় বসতে পারবে না,ফলে গুগলের সাথে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক শেষের ইংগিত দেয়।
কিছুদিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসন হুয়াওয়েকে ব্ল্যাকলিস্টেড বানিয়েছে, সেটা রাজনৈতিক কিংবা অ্যাপলের ২য় স্থান হারানোর জন্যেই হোক,সামনে যে হুয়াওয়ের জন্যে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইতোমধ্যে Qualcomm ও ARM(যারা হুয়াওয়ের জন্যে কিরিন চিপ্সেট প্রস্তুতকারক) ঘোষনা দিয়েছে তারা আগামীবছর থেকে হুয়াওয়ের সাথে চুক্তি নবায়ন করবে না, ফলে হুয়াওয়েকে এখন স্থানীয় চিপ্সেট নির্মাতাদের দ্বারে আসতে হবে। হুয়াওয়ে বলেছে তাদের কাছে আগামী ১ বছরের সকল ফোনের জন্যে চিপ্সেট মজুত রয়েছে,তাদের চিন্তা হবে আগামী বছরের জন্যে তারা কি পদক্ষেপ নেয়। যদিওবা মার্কিন আদালত গুগল ব্যানের ৯০ দিন স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তবুও এই তিনমাসে আশংকা থেকেই যায়, হুয়াওয়ে ইন ডেঞ্জারজোন।
মাত্র কয়েকদিন আগেই গুগল ব্যানের পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে হুয়াওয়ের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরির খবর লিক হয়ে যায়, ফলে হুয়াওয়ের চিফ অফিশিয়ালস যা ঘোষনা দেয় তারা হুয়াওয়ের জন্যে নতুন অপারেটিং সিস্টেম ” হংমেং” রিলিজ করবে আগামী বছরের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ধাপে।।
আপাতত বর্তমানে বাজারে থাকা এবং ব্যবহারকারীদের হাতে থাকা হুয়াওয়ের ফোনগুলো গুগল প্রডাক্ট আপডেট ও আন্ড্রয়েড সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট পাবে। তাই হুয়াওয়ের ফোন যারা ব্যবহার করছেন তাদের জন্যে টেনশন নাই যত টেনশন তাদের জন্যে যারা আগামী হুয়াওয়ের ফোন ব্যবহার করতে চাচ্ছিলেন।
এই ব্যানের ফলে অ্যান্ড্রয়েড কিউ আপডেট থেকে বঞ্চিত হবে এবং
ম্যাপ্স,ইউটিউব সহ জিমেইল অ্যাপ সহ অনেক ধরনের গুগল প্রডাক্ট ব্যবহারের অনুমতি হারিয়েছে।
ফলস্বরুপ লাভবান হয়েছে অ্যাপল যাদের সাথে হুয়াওয়ের প্রতিযোগিতা দিনকেদিন চরম পর্যায়ে যাচ্ছিল।
মার্কিন প্রশাসনের এই নীতিগত সিদ্ধান্ত অ্যাপল স্যামসাং সহ নন-চাইনিজ কোম্পানির জন্যে আশীর্বাদস্বরুপ এবং একই সাথে অপ্পো, শাওমি এদের জন্যেও এটা এক ধরনের সতর্কতামূলক হিসেবে কাজ করবে কেননা এদের অপারেটিংসিস্টেম সম্পূর্ন কোয়াল্কম ভিত্তিক যেখানে হুয়াওয়ে নিজস্ব কিরিন প্রসেসর ইউজ করে তাই কোয়ালকমের সাথে ঝামেলায় হুয়াওয়ে খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না যতটা না বাকিদের সাথে চুক্তি হারানোয় হচ্ছে।
ইউএস সরকার হুয়াওয়ের উপর ব্যান লাগিয়ে দিয়েছে এর মানে শুধু নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি নয়, অ্যামেরিকান যেকোনো কোম্পানি হুয়াওয়ের সাথে যেকোনো প্রকারের ডিল করতে পারবে না, পারবে তবে তার জন্যে সরকারের অনুমতি লাগবে, যেটা পাওয়াই যাবেনা আপাতত।
ইউএস নির্ভর যেকোনো কোম্পানি হুয়াওয়েকে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সাপ্লাই করতে পারবে না, বিশেষ করে সরকারের কাছে অনুমতি ব্যাতিত। আর এটা সত্যিই মারাত্মক এক সমস্যা। কেননা প্রত্যেকটি টেক কোম্পানি কোন না কোন ভাবে আলাদা কোন টেক কোম্পানির উপর নির্ভরশীল, হোক সেটা হার্ডওয়্যার সাপোর্ট বা সফটওয়্যার সাপোর্ট।
শুধু গুগল একা নয় সাথে মাইক্রোসফট, কোয়ালকম, ইনটেল ,আর্ম ইত্যাদি কোম্পানি গুলো ও হুয়াওয়েকে ব্যান করেছে। এর মানে হুয়াওয়ের আলাদা বিজনেস যেমন, চিপ্সেট,এদের নতুন ল্যাপটপ বিজনেস জাস্ট শুরু না হতেই শেষ। কেননা প্রসেসর আর অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া ল্যাপটপ গুলো চলবে ও বা কিভাবে? আর বর্তমান সময়টা তো পুরাই উইন্ডোজ আর অ্যান্ড্রয়েড এর উপর চলে।

ব্যানের ভবিষ্যৎ এখনই জাজ করা যাচ্ছে না, হতে পারে টেম্পোরারি আবার পার্মানেন্ট ও হতে
পারে।
তবে এর মধ্যেই চীন- আমেরিকার সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ আকার ধারণ করেছে, আমরা জানি চীন তাদের
নিজস্ব নিরাপত্তা নিয়ে সুপার সিরিয়াস যার কারণে তারা তাদের দেশে ফেসবুক,ইউটিউব,
হোয়াটসঅ্যাপ, জিমেইল, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি অ্যাপ ইউজ না করে এদের
চাইনিজ ভার্সন বানিয়ে নিজেদের মধ্যে ইউজ করে এবং গুগলের মতই নিয়মিত আপডেট দেয়।
সেকাজটি এখন আমেরিকা করতে যাচ্ছে ফলে বলা যায়: ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়।
যাই হোক আমাদের কথা এখন যে হুয়াওয়ে এখন কি করবে:
আপাতত ৩ মাস টেনশন ফ্রি থাকতে পারবে হুয়াওয়ে, তার পরেও হুয়াওয়ের চিফ অফিশিয়ালরা এন্সিউর করছে যে হুয়াওয়ে ব্যবহারকারীদের কোন সমস্যা পড়তে হবে না, কি হিসেবে বলছে কে জানে।। আপডেট পাওয়া যাবে সেটা মেবি সিকিউরিটি প্যাচ এর টা , অ্যাপ আপডেট এর ব্যাপারে তাদের ভাষ্য এখনো জানা যায় নাই।
তাদের এখন যা করারঃ
তারা তাদের ফোনগুলোতে গুগলের সার্ভিস এর মত নিজস্ব সার্ভিস চালু করবে অ্যাপ ডেভেলপার দের নিয়ে যা তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম এর সাথে কম্পাটিবল থাকবে। যেটা যারপরনাই অনেক কঠিন হয়ে যাবে আবার অ্যান্ড্রয়েড মোটামুটি স্ট্যাবল হয়ে গেছে তাই এখন এর যোগ্য সমকক্ষ হতে গেলে বেশ কাঠখড় পুড়াতেই হবে হুয়াওয়ে কে, তাও মানুষ যে কিভাবে নিবে বিষয়টাকে তা বলা যাচ্ছে না।
আপনি নিজে হলে কি করতেন:
সারাজীবন ইউটিউব,জিমেইল,গুগল ফটোস ইত্যাদি ইউজ করে অভ্যস্ত থেকে আপনি এমন এক্টা ফোন কিনবেনযেটাতে গুগলের পপুলার কোনো প্রডাক্ট ই নেই।
হঠাৎ করে কোনো এক সকালে দেখবেন একটা আপডেট এসেছে, আপনি খুশি মনে আপডেট দিলেন, তারপর দেখলেন গুগল প্লেস্টোর, ইউটিউব, গুগল ফটোস ইত্যাদি হাওয়া হয়ে গেছে।
কেমন লাগবে বলুন তো
ব্যানের ফলে মার্কেটের এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে হুয়াওয়ে এখন থেকেই নেতিবাচক ফলাফলের মুখোমুখি হয়ে গেছে যা তাদের আগামীদিনের জন্যে খারাপ সংবাদ। গ্লোবালি হুয়াওয়ের সেল কমে যাচ্ছে+ হুয়াওয়ের রানিং ফোনগুলো বেচে অন্য কোম্পানির ফোন নেওয়ার হিরিক পড়ে গেছে শুধুমাত্র সোস্যাল মিডিয়ার ব্যান টাকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করার জন্যে।
যখন এটা সত্যি ঘটবে তখনকার অবস্থা সহজেই অনুমেয়, ৩ মাস পর।
নোকিয়া,জেডটিই এর মত আবার হুয়াওয়ে হারিয়ে যেন না যায়।
এর ফলে হুয়াওয়ে যে যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে:
১. গ্লোবাল কম্পিটিশনে পিছিয়ে পড়বে, বলে রাখা ভালো হুয়াওয়ে বর্তমানে ২য় মোবাইল সেলের দিক অ্যাপলকে হটিয়ে।
২. নিজস্ব ওএস বের করার পরেও আরো অনেক বড় সমস্যায় পড়তে হবে যেহেতু ARM তাদের চুক্তি সাস্পেন্ড করেছে যে তারা আর হুয়াওয়ের জন্যে হাইসিলিকন কিরিন চিপ বানাবে না, ফলে আরেক স্থানীয় / অন্যদেশিয় চিপনির্মাতার দারস্থ হতে হবে
৩. কোয়ালিটি মেইন্টেইন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে
৪. গুগলের প্রডাক্ট এর সমমানের সার্ভিস দিতে গেলে হুয়াওয়ের নিজস্ব অ্যাপ ডেভেলপ করতে হবে সিমিলার কোডিং দিয়ে, যা একরকম কঠিন কাজ ই বলা চলে
৫. ইন্টেল, মাইক্রোসফটও তাদের চুক্তি বাতিল করছে ফলে হুয়াওয়ের সদ্য নতুন ল্যাপটপ ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলে গেছে।
৬. বৈশ্বিক প্রতিরোধের মুখে পড়তে যাচ্ছে
৭. অনেক দেশে ব্যবসা করার লাইসেন্স হারাতে হতে পারে।
৮.ফলে হুয়াওয়ে সাথে সাথে গুগলের কাছে থেকে সাপোর্ট হারাবে। তবে এর মানে এটা নয় হুয়াওয়ে সম্পূর্ণ রুপে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে পারবে না, জাস্ট গুগলের সাথে লাইসেন্স টার্ম গুলো কাজ করবে না, এতে হুয়াওয়ে যেভাবে তাদের ফোনে অ্যান্ড্রয়েড প্রদান করতো সেভাবে সেটা আর সম্ভব হবে না। যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্ট তাই একে সবাই-ই ইউজ করতে পারবে, কিন্তু গুগলের কিছু সার্ভিস লভ্য থাকবে না।
৯. নিজস্ব প্লেস্টোর বানাতে হবে যা একদুইদিনের কাজ নয়, তাছাড়া অ্যামাজনের একটা প্লেস্টোর আছে কিন্তু সেটাও আমেরিকার কোম্পানি তাই হুয়াওয়ের নিজস্ব প্লেস্টোর তৈরি করতে হবে।
১০. অনেক থার্ডপার্টি অ্যাপ যারা গুগলের সাথে কোলাবোরেট করে কাজ করে তারা তখন হুয়াওয়ের ফোনে সাপোর্টেড হবে না, যেমন: বিকাশ।
এখন এই সমস্যা গুলোকে ফিক্স করার জন্য হুয়াওয়ে ডেভেলপারদের গুগল প্লে সার্ভিস বা আলাদা সার্ভিস গুলোকে রিপ্লেস করে কোন কোড লিখতে হবে তারপরে ঐ অ্যাপ ডেভেলপারদের আবার হুয়াওয়ে ফোনের জন্য বিশেষ করে অ্যাপ ডেভেলপ করতে হবে, যেটা ঘটার সম্ভবনা অনেক অংশেই কম!
এবার আসি গুগল কি হারিয়েছে:
যে যাই বলুক, গুগল এই ব্যানের দ্বারা কিছুটা নেগেটিভ নাম কামিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের শর্ত তাদের মেনে চলাই লাগতো।
ব্যানের কথা হুয়াওয়ে আগে থেকেই অনুমান করে তাদের নিজস্ব ওএস “হংমেং” তৈরি করে রেখেছে, এর ফলে বাকি কোম্পানি গুলোও এখন থেকে নিজেরা নিজস্ব চিপ্সেট বানানোয় নজর দিবে+ গুগলের সিমিলার প্রডাক্ট বাজারজাত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে।
ফলে গুগল এই প্রথম গ্লোবাল প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে, রেভিন্যিউ কমে আসতে পারে।
তবে গুগলের সমকক্ষে আসতে হলে বাকিদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, ততদিন টিকে থাকলেই হবে।
ব্যানের ভবিষ্যৎ এখনি বলে দেওয়া যাচ্ছে না, এটা ডিপেন্ড করছে আমেরিকার মেন্টালিটির উপর। তারা চাইলে পার্মানেন্ট করতে পারে আবার কিছুদিন পরে চীন-আমেরিকার সম্পর্ক যদি উষ্ণ হয়ে যায় তাহলে ব্যান উঠেও যেতে পারে, যদিওবা তার সম্ভাবনা নিতান্তই তুচ্ছ।
চীন- আমেরিকা উভয় ই গ্লোবাল সুপারপাওয়ার, তাই এখন দেখার বিষয় সামনে কি ঘটে।
চীনের মানপাওয়ার সবচেয়ে সস্তা এবং দক্ষ, ফলে অ্যাপলের কিছুটা সমস্যা হতে পারে।