১৯৬০ সালে এক্সিটোনিয়ামের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানী বার্ট হালপেরিন। সম্প্রতি University of Illinois এর গবেষক প্রফেসর পিটার এ্যামমোন্টের নেতৃত্বে নতুন এক গবেষণায় এক্সিটোনিয়াম (excitonium) নামে পদার্থের এই নতুন গঠণের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে ।
‘excitonium,’ হলো excitons এর একটি কঠিন স্ফটিক।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজব এক কোয়ান্টাম গঠনের কারণে তৈরি হয় এক্সিটন নামে এই কণা। পরমাণুর কক্ষ থেকে ইলেক্ট্রন বেরিয়ে যাওয়ার পর শূন্যতাই এর কারণ। বিশেষ পরিস্থিতিতে ইলেক্ট্রন পরবর্তী শক্তি স্তরে উন্নীত হওয়ায় পরমাণুর বন্ধনে তৈরি হয় এই শূন্যতা।
অণুর গঠনে ধনাত্মক যোজ্যতার মতো আচরণ করে এই শূন্যতা। যার ফলে আবার বেরিয়ে যাওয়া ইলেকট্রনগুলিকে ফিরিয়ে আনে। ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট ইলেকট্রন ফিরে এসে ওই শূন্যতার সঙ্গে জুটি বেঁধে যুগ্ম কণা বোসন ও এক্সিটন।
পদার্থের অত্যন্ত ঘনীভূত গঠনে দেখা মেলে এই এক্সিটোনিয়ামের। অতিপরিবাহীর আণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণেই কেবলমাত্র একে দেখতে পাওয়া যায়।
একইসাথে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া ও ইউনিভার্সিটি অফ বার্কলের যৌথ গবেষণাতে অতিপরিবাহীর চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রমাণ মিলেছে পদার্থের এই নতুন গঠন এক্সিটোনিয়ামের উপস্থিতির। ডাইচ্যালকোজেনাইড টাইটানিয়াম ডাইসেলেনাইড নামে এক অতিপরিবাহীর (সুপারকন্ডাক্টার) অণুর গঠন পর্যবেক্ষণ করে এই দাবি করেছেন গবেষকরা।
কি করে আধানহীন স্থান ধনাত্মক যোজ্যতার মতো কাজ করে তা দেখেই অবাক বিজ্ঞানীরা। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না মিললেও তাঁদের অনুমান, পারিপার্শ্বিক ইলেকট্রনের আচরণের জন্যই এমন আচরণ করে ওই শূন্যতা।
সূত্র: Sci-news.com
Leave a Reply