সারা বিশ্ব যখন আজ কোভিড-১৯ এর আতঙ্কে আতংকিত।
তখন চীন একটা ক্ষীণ আশার আলোর খবর প্রকাশ করল।
আর তাহল কোরনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য তাদের প্রথম অনুমোদিত ঔষধ ‘Favilavir’ যা কিনা এই মহামারীর সম্ভাব্য ঔষধ হতে পারে।
গত এক সপ্তাহ ধরে চীনের Taizhou শহরে প্রশাসন Favilavir কে এই মারাত্মক রোগের ব্যাপকতা থামানোর জন্য সর্বপ্রথম অনুমোদিত ঔষধ হিসাবে ঘোষণা দেয়।
যা কিনা একটি চাইনিজ মালিকানাধীন কোম্পানির ছত্রছায়ায় প্রাথমিকভাবে প্রনীত হয়েছিল।
যা বর্তমানে Avigan নামে প্রচারিত হচ্ছে।
চায়নার মিনিস্ট্রি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এর ভাষ্যমতে Hisun pharmaceutical কোম্পানির Favilavir ঔষধটি হল সেই তিনটি ঔষধের মধ্যে একটি যা কিনা, প্রথমিক পর্যায়ে কোভিড-১৯ এর মানব দেহে সংক্রামিত এবং ব্যপক ক্ষতি সাধনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করতে সফল হয়েছিল।
এই ঔষধ Guangdon প্রদেশের Shenzhen অঞ্চলে ৭০জন পরীক্ষা করা হয়েছিল যা থেকে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এর সম্ভাব্যতা পরীলক্ষিত হয়েছিল।
যদিও খুবই অল্প কিছু প্বার্শপতিক্রিয়ার কথাও রের্কড করা হয়েছিল।
তবে বর্তমানে চায়নাতে এধরণের ঔষধের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিভাবে কাজ করে Favilavir:
Favilavir কিভাবে কাজ করে তা মানুষকে জানাতে সম্প্রতি একটি আর্টিকেল ৩টি বিষয় তুলে ধরে।
প্রথমত এই Favilavir একটি কার্যকরী এন্টিভাইরাল ঔষধ যা আরএনএ এর পলিমারেজ বা RdRp কে ইনহিবিট করার মাধ্যমে কাজ করে।
দ্বিতীয়ত, বর্তমানে এই ঔষধটি জাপান এবং চায়নাতে প্রধানত ইনফ্লুয়েঞ্জার কার্যকরী প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তৃতীয়ত এবং সর্বশেষ, সম্প্রতি কিছু ট্রায়াল পরিচালিত হয়েছিল এটা দেখার জন্য যে, এই Favilavir কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী।
একটি আশাব্যঞ্জক ঔষধঃ
এই ফেব্রুয়ারিতে চায়না Favilavir কে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল।
তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট এডমিনিস্ট্রেশন থেকে এর অনুমোদন দেয়া হয়েছিল কারণ, কোভিড-১৯ এর এই খারাপ পরিস্থিতিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এটা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ফলাফল দিয়েছিল।
প্রথমত এবং প্রধানত এই ঔষধটি সর্দিকাশি বা নাক ও গলার জ্বালাপোড়ার জন্য তৈরি হয়েছিল।
তাছাড়াও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য আর একটি সম্ভাব্য কার্যকরী ঔষধ হল ‘Remdesivir’.
যা Gilead নামক আমেরিকার একটি ঔষধ প্রস্তুতকারক কম্পানির দ্বারা আরো উন্নত এবং কার্যকরী করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
যদিও এটি প্রধানত ইবোলা ভাইরাসের জন্য তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু তবুও আমেরিকায় এজন রোগীর চিকিৎসায় এই Remvesivir ব্যবহৃত হয়েছিল যে কিনা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
যদিও এ এটা ইবোলা নাকি কোভিড-১৯ কোনটির জন্য ব্যবহৃত তা জানার জন্য এখনো একে আরও কিছু মেডিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও সাউথ কোরিয়ার কিছু ডাক্তার ‘kaletra’ নামক একটি ঔষধের কথা বলেছেন যা কিনা সেখানে একজন ৫৫ বছর বয়সী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় সফল ভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
এছাড়াও চায়নার একদল গবেষক কোভিড-১৯ এর দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের রক্তের প্লাজমা ডোনেট করতে অনুরোধ করেছেন যেন তারা তা কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার গবেষণায় ব্যবহার করতে পারেন।
যদিও চায়না একটি ঔষধকে কোভিড-১৯ এর জন্য প্রথম অনুমোদন দিয়েছে কিন্তু তারপরও এর আরও অনেক কিছু পর্যবেক্ষণের বাকি আছে।
তবুও এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে তা কিছুটা আশাব্যঞ্জক।
আর তাই আমাদের সবার সচেতন থাকতে হবে করোনা প্রতিরোধে যে সাধারণ নিয়মগুলো আছে তা মেনে চলতে হবে।
হাচি কাশির সময় মুখ রুমাল, টিস্যু বা বাঁ হাতের কুনোই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
কফ বা থুতু রাস্তায় বা যত্রতত্র না ফেলে টিস্যুতে নিয়ে তা ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
এবং অবশ্য কিছুক্ষন পরপর সম্পূর্ণ হাত ২০ সেকেন্ড যাবত সাবান বা এলকোহল জাতীয় জিনিস দিয়ে ভালভাবে ধুতে হবে।
কারণ প্রতিরোধই প্রতিকারের চেয়ে সর্বত্তম পন্থা।
তথ্যসূত্রঃঃ
https://www.sciencetimes.com/articles/25053/20200317/favilavir-first-approve-drug-treat-coronavirus.হত্ম
https://112.international/ukraine-top-news/china-approves-the-first-ever-antiviral-medicine-49648.html
One Comment
আইফোন এস ই (২০২০):সাধ্যের মধ্যেই সবটুকু সুখ! | বিজ্ঞানবর্তিকা
[…] […]