চীনা বিজ্ঞানীর উদ্ভট ঘোষণা : জিনগতভাবে এডিট করা শিশুর জন্মদান।

চীনারা পৃথিবীর যাবতীয় উদ্ভট কাজের উদাহরণ তা নিশ্চই বলা বাহুল্য। এইতো কিছুদিন আগেই তারা ঘোষণা দিলো আকাশে কৃত্রিম চাঁদ বসানোর। মানুষের অবাক হবার রেশ কাটার আগেই এর মাসখানেক পরে আবার ঘোষণা দিলো গবেষণাগারে মিনিয়েচার সূর্য বানিয়ে বসার, যা আদতে এক প্লাজমা বলয় ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় চীনা বিজ্ঞানীরা এবার এমন এক ঘোষণা করে বসলো যা পিলে চমকে যাবার মত!
এবং সত্যি বলতে অনেকখানিই রাক্ষুসে ব্যাপারো…

চীনারা এবার দাবি করলো বিশ্বের সর্বপ্রথম জেনেটিক্যালি এডিট বা সম্পাদনা করা মানব সন্তান জন্মানোর!

মানে সহজ কথায় Custom Made বা ডিজাইন দিয়ে নিজের মত প্রিন্ট করিয়ে নেয়া টি শার্ট, মগ বা পেইন্টিংয়ের মত!

ব্যাপারটা যতটা না অবাক করা তার চাইতে বেশি ভয়াবহ। মানুষ পৃথিবীর আর সকল প্রাণির চাইতে ভিন্ন কেননা জাতিগতভাবে স্বাভাবিক নিয়মে মানুষের রয়েছে বিকশিত হবার মত চেতনা, বুদ্ধি, আবেগ, মানসিকতা আর গোটা একটা সত্তা। বুদ্ধিমত্তা, মনের ভাব প্রকাশ ও পরিপূর্ণ সত্তার দিক বিচারে মানুষের ধারেকাছে তো দূর, মানুষের অনুপাতে, এমনকি শতভাগের একভাগ সমতাতেও নেই অন্য কোনো প্রাণি। তাই সকল বিবেচনায় মানবদেহ নিয়ে চাইলেই ইচ্ছেমত কোনো গবেষণা করে ফেলা যায়না। বিশেষকরে জলজ্যান্ত আগাম মানবশিশুকে নিয়েতো না ই।

কিন্তু এইসব ধারণাকে একদিক সরিয়ে দিয়ে রেখে চায়নার Southern University of Science and Technology এর অন্তর্ভুক্ত He Jiankui অধিকৃত The Jiankui He Lab থেকে প্রাথমিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয় যে তারা তাবৎ দুনিয়ার প্রচলিত সর্বাধুনিক জিন এডিটিং পদ্ধতি CRISPR ব্যবহার করে পৃথিবীর সর্বপ্রথম এমন দুই জমজের জন্মদান করিয়েছেন যাদের দেহ জেনেটিক দিক দিয়ে Altered বা Switch করা, অর্থাৎ এডিট করা এবং যেগুলোর মাধ্যমে নাকি তারা সবার পরিচিত এইডস রোগের বাহক HIV ভাইরাসের ব্যাপারে প্রতিরক্ষা করার মত কিছু পেয়েছেন। The Jiankui He Lab টি থেকে বলা হয়েছে যে তারা শীঘ্রই এব্যাপারে পরিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। কিন্তু যেহেতু ব্যাপারটা অনেকটাই পরীক্ষণ আওতায়, সেহেতু এখনো পৃথিবী অন্যান্য বিজ্ঞানী দ্বারা এর সত্যতা যাচাই এর ধাপটি অবশিষ্ট রয়েছে।
উল্লেখ্য এই যে চীনাদের এই উদ্ভট শোনা কর্মকান্ডের ব্যাপারে Massachusetts Institute of Technology (MIT) তাদের Technology Review তে আগেই বলেছে।

গোটা গবেষণার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়ানকুই হি ল্যাবটির মালিক হি জিয়ানকুই।

জিয়ানকুই এর এমন কর্মকান্ডকে ১২২জন বিজ্ঞানীরা আস্ত একটা বিশাল দল সমালোচনা জানিয়ে “Crazy” বা “উন্মত্ত” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কেননা জীন এডিট করা মানে হচ্ছে একটা দেহের গঠণ ও বৈশিষ্ট্যের একেবারে কলকাঠি ধরে নড়াচড়া করা। সামান্য ভুলে জন্ম নিতে পারে একটা ত্রুটিপূর্ণ প্রাণ, যার দুই চোখ দুই রঙা হতে পারে, আবার হতে পারে বিকলাঙ্গ বা মানসিক প্রতিবন্ধী। অথবা থাকতে পারে দৈহিক আর মানসিক অনেক অক্ষমতাও। তবে জিয়ানকুই সেই সবার সব আখ্যা – ব্যাখ্যা – সমালোচনা আর দুশ্চিন্তাকে অনায়াসেই একপাশে রেখে দিয়ে বলেছেন যে তিনি গর্ভধারণের পূর্বসময়ের ৭ জোড়া ভ্রুণ নিয়ে এই গবেষণাটি করেছেন। যার মাঝে একজোড়া ভ্রুণ গর্ভকালীন অবস্থায় উৎড়ে গিয়ে মডিফাই করা জিন নিয়ে পূর্ণ বিকশিত স্বাস্থ্যবান দুই মেয়ে শিশুর রুপে জন্ম নিয়েছে।
এদের নাম রাখা হয়েছে লুলু (Lulu) এবং নানা (Nana) , আর ডক্টর হি এর মতে উভয়েই স্বাভাবিক স্বাস্থ্য নিয়েই জন্মগ্রহণ করেছে।
এই কাজের উদ্দেশ্য বলতে গিয়ে তিনি যা বলেছেন তা অবাক করে দেয়ার মত নয় কেবল, খুব ভালভাবে অবাক করে দেয়ার মত।
তিনি এপ্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে তিনি এর মাধ্যমে HIV এর কোনো কিউর বা ঔষধ বের করার কোনো চেষ্টা করেননি। বরঞ্চ তিনি প্রাণের বিকাশকে স্বাভাবিকভাবেই চলতে দিয়ে স্রেফ কিছু জায়গায় এমন সুইচিং করেছেন যে জন্মানো শিশু স্বাভাবিক দৈহিক বৈশিষ্ট্য হিসেবেই এইডসকে তথা HIV ভাইরাসকে ধ্বংস করতে বা সেটার মোকাবেলা করতে পারে!
মানে বুঝতে পারছেন?
অর্থাৎ সে প্রক্রিয়ায় তিনি কোনো ঔষধ খোঁজার চেষ্টা করেননি, বরঞ্চ শিশু দুটিকেই ঔষধের রুপ দিয়ে বসেছেন! জ্বলজ্যান্ত কিউর! যাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হয়তো বহু রোগের মতই স্বাভাবিকভাবে HIV এর মোকাবেলা করতে পারবে, এবং সফলতার সাথেই হয়তো পারবে।
এ যেন কোনো সায়েন্স ফিকশন মুভির পাগলাটে বিজ্ঞানীর উদ্ভট এক্সপেরিমেন্ট!

এইতো, গত সোমবারেই অর্থাৎ ২৬শে নভেম্বরেই তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।

আর ঘোষণার পর থেকেই তাবৎ দুনিয়ার নজর গিয়ে পড়েছে ডঃ হি এর উপর! অনেকেই এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তো অনেকেই কি ছেড়ে কি বলবেন কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। আবার অনেকে ব্যাপারটাকে গঠণমূলক আর ভিন্ন দৃষ্টিতে ইতিবাচক রুপেই দেখেছেন।
উল্লেখ্য এই যে, আমেরিকা, ইউরোপে মানব ভ্রুনের জিন এডিটিংয়ে বহু বাধা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চায়নার আইন কানুন হিসেবে এই কাজ বে-আইনি হিসেবে পরিগণিত হয়না। ফলে হি’ও কাজটা নির্বিঘ্নেই চালিয়ে যেতে পেরেছেন।
কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা ব্যাপারটার সমালোচনা করে বলেছেন যে চায়নার এমন গবেষণা সারা পৃথিবীর দৃষ্টিতে চায়নার বিজ্ঞান চর্চাকে ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
যদিও ডাঃ হি এব্যাপারে কোনো তথ্য প্রমাণ আর চুড়ান্ত গবেষণাপত্র, পরিসংখ্যান ইত্যাদি প্রকাশ করেননি তবে তার আগের করা কাজগুলোর উপর ভিত্তী করে তাকে কাছ থেকে চেনেন এমন অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবকিছুর স্বাপেক্ষে তার পক্ষে এটা একদমই সম্ভব হতে পারে!

অপরদিকে San Francisco’র University of California এর Gene Editing বিশেষজ্ঞ Dr. Alexander Marson এপ্রসঙ্গে বলেন, “এটা ভীতিকর”

আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটা ভীতিকরই বটে।

ভাবছেন শুধু বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেয়ার ভয় সেইসব?
উহু, তা নয়।

বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের আতঙ্ক আরো সুদুরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে।
হয়তো জিন এডিটিং পদ্ধতি খুব ভালভাবে মানুষের হাতে এসে পড়বে এবং তাতে ব্যর্থতা বা ত্রুটির হার অনেক অনেক কমে আসবে ঠিকই৷ কিন্তু সেটা অন্যদিক দিয়ে হবে হিতে বিপরীত!
সফলভাবে জিন এডিটিংয়ের মাধ্যমে শিশুদের মাঝে ভ্রুণ অবস্থাতেই বিভিন্ন সক্ষমতা, দক্ষতা দিয়ে জন্মানোর ফলে মানুষের মাঝে বিশেষ করে ধনীদের মাঝে হিড়িক লেগে যাবে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বা GM সন্তান গর্ভে ধারণ করার। ব্যাপারটা সৃষ্টির স্বাভাবিক নিয়মের লঙ্ঘন তো হবেই, সাথে সমাজে শ্রেণী বৈষম্য আরো অনেক অনেক বেশি বাড়িয়ে দিবে। ধনীরা ধনীও হবে, সেই সাথে বেছে বেছে সন্তান ধারণ করবে যেগুলোকে কৃত্রিমভাবেই বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জন্মানো হবে। ফলে সমাজের মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তেরা হবে খোটার শিকার, আরো বেশি তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর শোষনের শিকার।
শুধু যে সমাজের শ্রেণি বৈষম্যে তফাৎ চলে আসবে তা নয়, দেখা গেল একই স্কুল বা কলোনি বা এলাকাতে দুই চারজন কৃত্রিম বুদ্ধিমান শিশুরা নিজেদের দাম্ভিকতায় সাধারণ পর্যায়ের IQ বা বুদ্ধিমত্তা যাদের তাদের হেনস্তা করবে, তাচ্ছিল্য করবে। হয়তো অনেকক্ষেত্রে কিছু করারও থাকবে না। ভাবতে পারেন ব্যাপারটা কতটা ভয়ানক হতে পারে? আজকাল মানুষ যেমন টাকার জোরে আগে থেকেই নির্ধারণ করে নিতে চায় যে তারা ছেলে সন্তান নিবে না মেয়ে, তখন কি অবস্থা হবে যখন টাকার জোরে কৃত্রিম মেধা নির্ধারণ করা যাবে, দেয়া যাবে বিশেষ বৈশিষ্ট্য?!

তবে ডাঃ হি আপাতত সেই ব্যাপার নিয়েও ভাবছেন না। যেমনটা তিনি আগেই ইঙ্গিত করেছেন। আর তাছাড়া Hong Kong এ অনুষ্ঠিত Human Genome Editing এর দ্বিতীয় বাৎসরিক সামিট এ তিনি স্পষ্টভাবে বলেই দিয়েছিলেন যে CRISPR-CAS9 পদ্ধতিটি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে HIV’র মত ভাইরাসকে ঠেকানো নয় বরঞ্চ তার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম দেহ গঠণের কাজেই ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ এই গবেষণার উদ্দেশ্যটা বরাবরই উনার ভাষ্যমতে চিকিৎসা সম্বন্ধীয়।

ডাঃ জিয়ানকুই হি

পরীক্ষণটির ইতিবাচক দিকের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন যে মেয়ে দুটোর বাবা এখন বেচে থাকার জন্যে অনেকগুলো কারণ একসাথেই পেয়ে গিয়েছেন। তাছাড়া চায়নার মত দেশে HIV সংক্রামিত ব্যক্তিদের প্রতি খুব বৈষম্য করা হয়।

গোটা গবেষণাটার ব্যাপারে বলতে গিয়ে ডাঃ হি বলেন তিনি তেমনভাবেই ভ্রুণের বিকাশ ঘটতে দিয়েছেন যেমনটা আর দশটা গর্ভধারণেও regular IVF পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। তারা বদলের মধ্যে যা বদল করেছেন, তা হল শুক্রাণু আর ডিম্বানুর মিলনের সময় তাতে তারা স্রেফ একটা CRISPR Protein যোগ করে দিয়েছেন, ভাষ্যমতে যা CCR5 জিনকে অল্টার করে দেয়। ফলে যে পথে HIV দেহেরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় হানা দিবে, তার সেই পথের দরজাটাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আলোচনা সমালোচনার ঝড়কে একপাশে রেখে ডাঃ হি বলেছেন যে এসম্পর্কে তিনি আশাবাদী যে এই পদ্ধতিটা ভাল উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, “আমি এই ব্যাপারে একটা দায়িত্ববোধ করছি যে এটা যে শুধু প্রথমবার তা নয়, একই সাথে এটা এক দৃষ্টান্তও বটে। ”
তিনি বলেন, “সমাজই নির্ধারণ করবে তারা এ প্রযুক্তি দিয়ে কি করবে।”

কিন্তু ডাঃ হি যতই যা বলুক না কেনো, তবু তার এই গবেষণা কোনোধরনের একাডেমিক যোগসাজশ আর রিভিউ ছাড়াই এভাবে করা আর সেব্যাপারে এমন খাপছাড়াভাবে ঘোষণা দেয়াটা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে চরম অস্বাভাবিক এক ঘটনা বটে। কিন্তু এব্যাপারে পার্মিশনের কথা জীজ্ঞেস করাতে তিনি বলেন, তিনি কাজটা করার জন্যে Shenzhen Harmonicare হাসপাতালের ইথিকস বোর্ডের অনুমতি আগেই নিয়ে রেখেছিলেন। অথচ হার্মোনিকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার Cheng Zhen ব্যাপারটাকে সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়ে উলটো পুলিশকে বলেন এব্যাপারে তাদের ঘেটে দেখতে। Beijing News তো ব্যাপারটাকে ভাওতাবাজির নামেই আখ্যা দিয়ে বসেছে।

এমনকি ডাঃ হি এর সাথে পূর্বের সম্পৃক্ত Southern University of Science and Technology ও এব্যাপারে হি এর একাডেমিক সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।

গত সোমবারেই চায়নার China’s national health commission এর দেয়া আরেক বিবৃতিতে বলা হয় যে তারা দক্ষিণ Guangdong প্রদেশের Health Commission’কে বলেছে ডাঃ এর দাবী করা ব্যাপারটাকে তদন্ত করে দেখতে।

ডাঃ হি এর এমন উদ্ভট আর ঝোকের সাথে করা কাজের সমালোচনা করতে গিয়ে Oregon Health and Science University তে অবস্থিত Center for Embryonic Cell and Gene Therapy এর পরিচালক Shoukhrat Mitalipov বলেন, “এটা সম্পূর্ণ রকমের উন্মাদনা”
তিনি উল্লেখ করেন যে এটা তার নিজের কাজের মত না, যেখানে মিউটেশন দ্বারা ঘটিত সমস্যাকে নির্মূল করার জন্যে আর অন্য কোনো উপায়ই থাকেনা!
কিন্তু এক্ষেত্রে ডাঃ হি অন্যান্য উপায় হাতে থাকা সত্বেও সেগুলো ব্যবহার না করে একটা মানব ভ্রুণ এর জিনকে এডিট করতে গেলেন!

এটা এখনো সুনিশ্চিত নয় যে ঠিক কোন কারণেই বা জিন এডিটিংয়ের মাধ্যমে HIV’কে ঠেকানো হবে। আর কিভাবেই বা! যেখানে বাহক একজন পুরুষ৷ সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একজন HIV আক্রান্ত পুরুষের শুক্ররস কোনোভাবেই ভ্রূণকে সংক্রামিত করবে না। এমনকি মেয়েটার সংক্রামিত হবার ঝুঁকি থাকলেও বীর্য থেকে শুক্রাণু আলাদা হয়ে যাবার বেলায় সেই ঝুঁকিটাও থাকেনা।
তাহলে কেন শুধু শুধু এমন একটা কাজ করতে গেলেন ডাঃ হি HIV প্রতিরোধের নাম দিয়ে?
নাকি উনার এই কথাগুলোর আড়ালে অন্য কোনো সত্য লুকিয়ে রয়েছে?

মজার ব্যাপার হচ্ছে এ্যাডভান্স বায়োলজির ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করা ডাঃ হি এর PhD ছিল কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানে, Rice University থেকে। এরপর তিনি Post Doctoral করেন স্ট্যানফোর্ডে, যেখানে উনার সঙ্গী ছিলেন Stephen Quake, যিনি ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর ছিলেন এবং যিনি জিন এর সিকোয়েন্সিং করেছিলেন, কিন্তু এডিটিং নয়।

তবে বিশেষজ্ঞদের মাঝে যারা হি কে চেনে, তারা সুস্পষ্টভাবেই বলেছে যে CRISPR ব্যবহার করে জিন এডিট করা ডাঃ হি এর মত মানুষের জন্যে খুবই সোজা ব্যাপার।

তবে বিভিন্ন জল্পনা কল্পনার আড়ালে সত্যটা এখনো ধোঁয়াশাই রয়ে গেছে। এখন কেবল আমাদের অপেক্ষা করার পালা, আগামীতে গিয়ে কি চমক দেখাবেন ডাঃ হি আর তার “যুগান্তকারী” কর্মকান্ড!
নাকি বেলা শেষে পুরোটাই বেরুবে স্রেফ ভাঁওতাবাজি।

আজকের তবে আমাদের এই আয়োজন এ পর্যন্তই। হয়তো আবারো ফিরে আসবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে। ততক্ষণে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজের খেয়াল রাখুন
আর বিজ্ঞানবর্তিকার সাথেই থাকুন…

তথ্যসূত্রঃ

https://www.iflscience.com/health-and-medicine/chinese-scientist-claims-to-have-created-first-geneedited-babies/

https://www.apnews.com/4997bb7aa36c45449b488e19ac83e86d

Comments are closed.