কেপলারের নাম মনে আছে?
উহু, হয়তো অনেকেরই নেই।
আমরা সচরাচর নতুন কোনো প্রযুক্তি আসলে তার দিকেই বেশি দৃষ্টি নিবন্ধিত রাখি।
পুরনো কিছুর বিদায় বেলায় কিন্তু অনেকে ভুলেই যাই প্রযুক্তিটা আমাদের কি দিয়ে গেছে!
কিন্তু আজ আপনাদের শোনাবো এমনি এক বিদায় নেয়া মহাকাশ প্রযুক্তির বিজয়গাঁথা…
যার নাম, Kepler Space Telescope…
একটা নতুন টেলিস্কোপ Launch করার সাথে যেমন বহু বিজ্ঞানী, গবেষক আর কর্মকুশলীদের গভীর আবেগ জড়ানো থাকে, তেমনি একটা টেলিস্কোপ বা মহাকাশ প্রযুক্তির বিদায়ের সাথেই আন্দোলিত হয় সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের গভীরে প্রোথিত অনুভূতি!
হ্যা, একজন বিজ্ঞানীরও আবেগ থাকে। থাকে একজন গবেষক বা কর্মকুশলীরও।
তারা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন এগুলোর পেছনে! এগুলোর সাথে সত্যিকার অর্থে তাদের গভীর মমতা মেশানো থাকে।
গত মাস মানে গত অক্টোবরের ৩০ তারিখে NASA আনুষ্ঠানিকভাবে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের অবসর বা Retirement ঘোষণা করে। কেপলারের কার্য পরিচালনার জন্যে বরাদ্দ ইন্ধন বা Fuel ফুরিয়ে যাবার ফলে নাসা অনন্যোপায় হয়ে মহাকাশের এই কিংবদন্তিকে অবসর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কেপলার এখন এক অবসরপ্রাপ্ত টেলিস্কোপ হিসেবে নীরব মহাকাশে ছুটে চলেছে নিরুদ্দেশ গন্তব্যের পানে!
মহাকাশ অভিযানের উদ্দেশ্যে কেপলার পৃথিবী ছাড়ে ২০০৯ সালের ৭ই মার্চ! যে দিনটা আমাদের, বাংলাদেশিদের জন্যেও ঐতিহাসিক!
আমেরিকার বিখ্যাত Cape Canaveral এর লঞ্চ সাইট থেকে Delta 2 রকেটে করে একে মহাকাশের উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়। ১০৩৯ কেজি মানে এক টনেরো বেশি ভর নিয়ে এটি উড়াল দেয় মহাকাশে। এর মিশনের পরিকল্পিত সময়কাল ছিল ৩.৫ বছর। তা সত্বেও এটি ৯ বছর ৭ মাস ২৩ দিন পৃথিবীবাসী বিজ্ঞানীদের তার সেবা দিয়ে গিয়েছে। এর মধ্য দিয়েই কেপলার তার চোখে আমাদের দেখিয়েছে অনেককিছু। যা হয়তো আমরা জেনেও জানিনা!
কেপলারের গঠন
১১০০ ওয়াট বিদ্যুৎশক্তিতে চলা কেপলারের টেলিস্কোপ ছিল Schmidt পদ্ধতির। এই পদ্ধতিতে Schmidt ক্যামেরাটি থাকে টেলিস্কোপের মাঝামাঝি। এ জাতীয় টেলিস্কোপ Reflecting ধরণের হয়, যাতে aberration এর সমস্যা দূর করার জন্যে সামনে থাকা Front Corrector Plate বা লেন্স দিয়ে আলো টেলিস্কোপের ভেতরে প্রবেশ করে একদম এর তলে থাকা অবতল দর্পণে পড়ে। এরপর সেখান থেকে আলোটা প্রতিফলিত হয়ে সামনে থাকা ফিল্ম বা ফটোসেন্সরের উপর পড়ে। এ প্রক্রিয়ায় টেলিস্কোপ প্রচুর আলো ধারণ করে, ফলে মহাকাশের তারকারাজির ছবি বেশ স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে! কেপলারের ফ্রন্ট প্লেট বা লেন্স এর ব্যাস ৩৭.৪ ইঞ্চি এবং এর রিফ্লেক্টর মিরর বা ভেতরের আয়নাটি ব্যাস এ ৫৫ ইঞ্চি ছিল যা ঐ সময়ে মহাকাশে কক্ষপথের বাইরে পাঠানো টেলিস্কোপগুলোর মধ্যে সবচাইতে বড় রিফ্লেকটরওয়ালা টেলিস্কোপ ছিলো!
টেলস্কোপটিতে থাকা ক্যামেরায় ২x১ ইঞ্চি ক্ষেত্রফলের মোট বিয়াল্লিশ (৪২) টা Charge-Coupled Device (CCD) ক্যামেরা সেন্সর দেয়া হয়েছিল যার প্রতিটার রেজোলিউশন ২২০০x১০২৪ পিক্সেল এবং মোট ক্যামেরা রেজোলিউশন ৯৪.৬ মেগাপিক্সেলের। এর ভিউয়িং এ্যাঙ্গেল মাত্র ১০৫ ডিগ্রী হলেও কেপলার সময় সময় পৃথিবীকে পাঠিয়েছে দারুণ সব ছবি আর দারুণ সব তথ্য। যার কিছু কিছু ছিল একেবারে ইতিহাস তৈরি করে ফেলার মত। এবং সত্যি বলতে তা ইতিহাস তৈরি করেছেও বটে! কেপলারে ব্যবহৃত রিফ্লেক্টর মিরর বা দর্পণটি ছিল বিখ্যাত গ্লাস তৈরির কোম্পানি Corning এর তৈরি ultra-low expansion (ULE) glass পদ্ধতির। জেনে অবাক হবেন যে এটি এর আয়তন অনুযায়ী অন্যান্য সাধারণ আয়নার ভরের মোটে ১৪% ভরবিশিষ্ট ছিল!
কেপলার তার সুদীর্ঘ ৯ বছরের মিশন জীবনে পৃথিবীকে নয়, সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরেছে। এবং ঘুরতে ঘুরতে ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব বেড়েই গিয়েছে। আপন কক্ষপথে নিরুদ্দেশের পানে চলা কেপলারের ১লা মে ২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে দূরত্ব ছিল ১৩৭ মিলিয়ন বা ১৩ কোটি ৭০ লাখ কিলোমিটার! অর্থাৎ ক্রমেই কেপলার নিজের কক্ষপথের পরিধি বাড়াতে বাড়াতে চলে গিয়েছে বহুদূর। যেতে যেতে আমাদের দিয়ে গিয়েছে অনেক তথ্য।
কেপলারের কার্যাবলি ও তার অর্জন
কেপলারকে নির্দিষ্ট কিছু কাজে মিশন দিয়ে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। যা নির্দিষ্ট হলেও যার মাঝে ছিল অনেক অনেক জটিল ব্যাপার স্যাপার৷ কেপলার ছিল মূলত একটা Out of Earth orbit এর Space Observatory যার কাজ ছিল আমাদের গ্যালাক্সি ছায়াপথ বা Milky Way এর বিভিন্ন নক্ষত্ররাজি আর Exoplanet বা দুর নক্ষত্রের গ্রহদের অবজারভেশন। এবং কেপলারের মাহাত্ম্য এদিকেই। কেননা এই কাজ কেপলার বেশ ভালভাবেই সম্পন্ন করেছে তার কার্য সময়ে। একে অপারেট বা পরিচালনা করা হয়েছে Ball Aerospace & Technologies এর কন্ট্র্যাক্ট এ থাকা Laboratory for Atmospheric and Space Physics (LASP) থেকে। কেপলারকে কক্ষপথে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল যেন তা সূর্যের কাছাকাছি অবস্থানকালে এর উপরে থাকা শেড একে সূর্যের তীব্র আলো থেকে বাচিয়ে রাখে। X Band যোগাযোগ ফ্রিকোয়েন্সিতে NASA প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে কেপলার থেকে আপডেট নিতো ও একে পরিচালনার নির্দেশ দিতো। খুবই উচ্চমাত্রার মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড Ka band (কায় আয়) তে এর থেকে প্রাপ্ত উপাত্তগুলো প্রতি মাসে একবার করে ডাউনলোড করা হতো। উল্লেখ্য এই কায় আয় ব্যান্ডের ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ হল সেকেন্ডে ২৬.৫ গিগাহার্জ থেকে ৪০ গিগাহার্জ পর্যন্ত! বুঝতে পারছেন আশাকরি তা কত উচ্চ পর্যায়ের!
মিশনের অর্জনের কথা বলতে গেলে বলতে হয় কেপলার তাকে নিয়ে করা আশার চাইতেও অনেক ভাল কার্যকারিতা দেখিয়েছে তার মিশন সময়ে। কেপলারকে মূলত আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কি ওয়ে’র নক্ষত্র আর গ্রহসমূহ খুঁজে বের করার জন্যে পাঠানো হলেও সে তার দৃষ্টি সম্প্রসারিত করেছে বহুদূর…
একেবারে আমাদের পঁচিশ হাজার কোটি (২৫০,০০০,০০০,০০০) তারকায় পরিপূর্ণ মিল্কি ওয়ে ছাড়িয়ে!
এপ্রসঙ্গে নাসার সায়েন্স মিশনের Associate Administrator Thomas Zurbuchen বলেন, “নাসার সর্বপ্রথম গ্রহ খোঁজার মিশন হিসেবে, কেপলার আমাদের প্রত্যাশাকে বহুদূর বিস্তৃত করেছে এবং তার খুঁজে চলার পথকে আমাদের গ্যালাক্সি আর তা ছাড়িয়ে আরো বহু দূর এগয়ে নিয়ে গিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বাইরের জগতে যে কি পরিমাণ গ্রহ থাকতে পারে এটা আমাদের কেবল সেটাই দেখায়নি, পাশাপাশি এ যেন এমন এক স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করেছে যা বিজ্ঞান কমিউনিটি জগতে ঝড় তুলে ফেলেছে! এর আবিষ্কার মহাবিশ্বে আমাদের গ্রহকে যেন এক নতুন রঙে রাঙিয়েছে! সাথেই এটা আলোকিত করেছে বহু ছলনাময়ী রহস্য আর তারকাদের মাঝে থাকা বহু সম্ভাবনাকে!
কেপলার তার কার্যকালে পাঁচ লক্ষ তিরিশ হাজার পাঁচশো ছয়টা (৫৩০,৫০৬) তারা আর মোটমাট দুই হাজার ছয়শো বাষট্টিটা (২,৬৬২) বহির্গ্রহ বা Exoplanet শনাক্ত আর নিরীক্ষণ করেছে। পাশাপাশি এটা এক লাখ পঞ্চাশ হাজার (১৫০,০০০) main sequence তারাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছে। হের্ৎসপ্রুং রাসেলের বর্ণালীবীক্ষণ তালিকায় এই মেইন সিকোয়েন্স তারারা হল সেইসব তারা যারা সাদা আর লাল বামন হিসেবে পরিচিত এবং যাদের উজ্জলতা অন্যান্য বড় তারাদের তুলনায় কম বা Low Luminosity র। কেপলার এই ধরণের তারাদের দিকে বেশি নজর রাখার কারণ ছিল হ্যাবিটেবল বা বসবাসযোগ্য পরিবেশের গ্রহ এই তালিকার তারকাদের দায়ড়াতেই পাবার কথা। বড় তারাদের ঘিরে আবর্তিত হওয়া গ্রহও থাকে তবে সেক্ষেত্রে তাতে প্রাণের আবির্ভাব ও টিকে থাকার মত পরিবেশ না হওয়াটাই স্বাভাবিক। এছাড়া উল্লেখ্য এই যে আমাদের প্রিয় সূর্য মহাশয়ই কিন্তু এই তালিকাতেই পড়ে। যে সূর্য সামান্য কাছে, দূরে, লম্ব আর তীর্যকভাবে কিরণ দিলে তাতেই আমাদের ঋতুর এত তারতম্য ঘটে!
কেপলার তাই মিশনকালে বামন নক্ষত্র খোঁজা ও পর্যবেক্ষণ করাতেই বেশি মনোযোগী ছিল।
২০০৯ সালে কেপলার কার্যক্রম শুরুর মাসকয়েকের মাথাতেই ৭,৫০০ তারা শনাক্ত করে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ঔজ্জ্বল্যের দিক থেকে অনির্দিষ্ট হওয়াতে বিভিন্ন কারণে গবেষক দল সেই তালিকা থেকে সেইসব Variable তারকাদের বাদ দেয়। এরপর একই বছরে কেপলার একটি বাইনারি বা জোড়া তারার খোঁজ দেয়, যাকে ঘিরে কাছ থেকে আবর্তিত হওয়া এক গ্রহের সন্ধান মিলে। যার নামকরণ করা হয় K-16 ।
২০১০ সালে কেপলার থেকে টার্গেট করা ৪০০ গ্রহজাতীয় বস্তুকে কেপলার লিস্ট এ নেয়ার চিন্তা করা হয়। এছাড়া এবছর কেপলার KOI 74 ও KOI 81 নামের আরো দুটো নক্ষত্র আবিষ্কার করে।
২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারী তারিখে কেপলার ২ মে – ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ এ পাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মোটমাট ১২৩৫ টা গ্রহের সন্ধান দেয় যারা মোট ৯৯৭ টা তারাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে!
এদের মাঝে ৯০% ই ছিল সুনিশ্চিত গ্রহ। যাদের মাঝে ৬৮ টা ছিল পৃথিবীর আকারের, ২৮৮ টা পৃথিবীর চাইতে বড়, ৬৬২ টা নেপচুনের আকারের, ১৬৫ টা বৃহষ্পতির আকার আর ১৯ টা আকারে বৃহষ্পতির প্রায় দিগুণ ছিল।
প্রকাশিত এই তালিকায় ৫৪ টা তারা Habitable Zone বা বসবাসযোগ্য অবস্থানে ছিল বলে জানা যায়।
২০১১ সালের প্রাপ্তি অনুযায়ী Seth Shostak এর মতে পৃথিবী থেকে এক হাজার আলোকবর্ষ দায়ড়ার মাঝে অন্তত তিরিশ হাজার (৩০,০০০) বসবাসযোগ্য গ্রহ থাকার কথা!
২০১২ সালের উপাত্ত হিসেবে কেপলারের প্রার্থী গ্রহ ছিল ২,৩২১ টি যার মাঝে পৃথিবীর সমান ২০৭ টি আর পৃথিবীরচে বেশ বড় ৬৮০ টি।
২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি আরো ৪৬১ টি প্রার্থী গ্রহের ঘোষণা দেয়া হয় যার মাঝে Kepler-69c নামের একটি গ্রহও থাকে যা পৃথিবীর আকারেরই একটি হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট এবং যার তারাটাও সূর্যের মতই আকারের!
২০১৩ সালের এপ্রিলে নাসা Kepler-62 ও Kepler-69 নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত হওয়া Kepler-62e, Kepler-62f, আর Kepler-69c নামের আরো তিন বসবাসযোগ্য গ্রহের ঘোষণা দেয়!
২০১৪ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি কেপলারের শর্টলিস্টে আরো ৭১৫ টা গ্রহ যোগ হয়।
একই বছরের ১৭ এপ্রিল তারিখে Kepler-186f নামের প্রথম পৃথিবীর খুব কাছাকাছি সাইজের কোনো গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কেপলারে থেকে পাওয়া একদম পাকাপোক্ত গ্রহের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে যায়। এদের মধ্যে Kepler-438b ও Kepler-442b নামের আরো দুটো বসবাসযোগ্য অবস্থার পাথুরে গ্রহ পাওয়া যায়।
এবছরই Kepler-444 নামের এক ১১০০০ কোটি বছর পুরনো তারকারও সন্ধান মিলে যার বয়স মহাবিশ্বের বয়সের ৮০ শতাংশ!
উক্ত বছরের মে তে কেপলার KSN 2011b এক নতুন অতিদানব তারার সন্ধান দেয়।
২০১৬ সালে এসে কেপলার ১,২৮৪ টা নতুন গ্রহের সন্ধান দেয় আর মাঝে ৫৫০ টাই পাথুরে। এদের মাঝে ৯টা গ্রহ হল বসবাসযোগ্য অবস্থান বা Habitable Zone এ থাকা।
এগুলো হল:
১. Kepler-560b
২. Kepler-705b
৩. Kepler-1229b
৪. Kepler-1410b
৫. Kepler-1455b
৬. Kepler-1544b
৭. Kepler-1593b
৮. Kepler-1606b
৯. Kepler-1638b
কেপলার তার মিশনে বহু বহু গ্রহকে আর তারাদের ফিল্টারের মত ছেঁকে দেখেছে। একই সাথে বিজ্ঞানীদের সামনে উন্মোচিত করেছে অকল্পনীয়রকমের সম্ভাবনার দুয়ার। কেপলার তার মিশন থেকে অব্যাহতি নিয়ে ছুটে চললেও রেখে দিয়ে গেছে মাথা খাটানোর মত বহু বহু লিগ্যাসি।
কেপলারের প্রজেক্ট বিজ্ঞানী Jessie Dotson এবিষয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন, “আমরা জানি মহাকাশযানটার (কেপলার) অবসরই এর শেষ নয়। আমি সত্যিই অনেক উত্তেজিত কেপলার থেকে পাওয়া উপাত্তের আবিষ্কারের ব্যাপারে আর এর উপর ভিত্তি করে কিভাবে আগামীর মিশনগুলো গড়ে উঠবে সেব্যাপারে ভেবে!
কেপলারের ফেলে চলা লিগ্যাসিগুলোই যেন হয়ে উঠবে আগামীর মহাকাশ আর বহির্গ্রহ গবেষণার পথ প্রদর্শক। কেপলার মুক্ত বিহঙ্গের মত ছুটে চলুক তার আপন মনে, ইচ্ছেমত নিরুদ্দেশ গন্তব্যে।
বিদায় কেপলার,
পৃথিবী তোমায় মনে রাখবে
প্রাণভরে।
মনভরে…
তথ্যসূত্রঃ