যদি কথা হয় প্রতিযোগিতার তবে সবার আগে আসে প্রযুক্তি। যেমন: Google Vs Siri Vs Cortana , Android Vs iPhone, Windows Vs Mac. তবে ইদানীং গুগলও Amazon Echo প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মার্কেটে ছেড়েছে Google Home.
২০১৪ সালে Amazon তার ইন্টেলিজেন্ট হোম এসিসট্যান্ট হিসেবে মার্কেটে Amazon Echo সবার দৃষ্টি কেড়েছিল। তখন থেকে Google এর নজর যায় Intelligence Home Appliance এর দিকে। ২০১৬ শেষের দিকে Google Home মার্কেটে আসে।
৩.৭৯ ইঞ্চি প্রস্থ আর ৫.৬২ ইঞ্চি লম্বয় ছোট টাওয়ার এর মতো দেখতে হলেও Google Home এর রয়েছে অনেক ফাংশন। প্রথমত এটি একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিভাইস। মালিকের প্রতিদিনের কাজ কর্ম ও প্রতিদিনের রুটিন বিশ্লেষণ করে সঠিক সিধ্যান্ত দিতে পারে। তার আগে বলে রাখি, আপনি যদি ভেবে থাকেন বরাবরের মতো এটিও অনলাইন ছাড়া অচল তবে আপনি ভুল। অনলাইন অফলাইন দুইভাবেই কাজ করতে পারে Google Home. Weather , Route Plan and Road Traffic এই তিনটি দিক বিবেচনা করে Google Home আপনার জন্য মিটিং বা ছুটির দিন সিলেক্ট করতে সাহায্য করবে। ভয়েজ একটিভেট এই ডিভাইস মালিকের ভয়েজ শোনার সাথে সাথে একটিভ হয়ে যাবে। বাকি সময় এটি থাকবে Stand By মোড এ। ঘরের সকল স্মার্ট ডিভাইস এটি নিজের সাথে কানেক্ট করে রাখা আর ভয়েজ কমান্ডের ফলে ডিভাসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা এর প্রথম কাজ। টাওয়ার এর মতো দেখতে ডিভাইসটির নিচে রয়েছে দুইটি হাই কোয়ালিটির স্পিকার আর দুইটি মাইক্রোফোন। Google Home এর কণ্ঠ গুগল এসিসট্যান্ট এর মতো। ভয়েজ কমান্ডের মাধ্যমে গান শোনা,মেইল চেক,টাইমার সেট সহ ছোট খাটো কাজ তো থাকছেই।
“এটি virtual healthcare হিসেবেও কাজ করতে পারবে। Health tracking ডিভাসগুলোর সাথে নিজেকে কানেক্ট করে প্রতিদিন মালিকের হেলথ ডিটেইলস স্টোর করে রাখতে পারবে। পরবর্তীতে মালিকের কোনো প্ল্যান ঠিক করার সময় Health report এনালাইসিস করে ফলাফল দিবে। ” – Google
এখন যদি Echo এবং Google Home এর মধ্যে তুলনা করি তবে সবার আগে যে প্রশ্নটা আসবে তা হলো বাজার মূল্য। Echo মার্কেটে এসেছে প্রায় ১৮০ ডলারে আর Google Home এসেছে ১২৯ ডলারে। এরপর আসা যাক হার্ডওয়্যার এর ব্যাপারে। Echo এর মধ্যে রয়েছে 7-Microphone Array অন্যদিকে গুগল তার প্রোডাক্ট এর মাইক্রোফোন সম্পর্কে শুধু জানিয়েছে “integrated high-excursion speaker“. ডিভাইস কে একটিভ করার জন্য Echo কে শুধু “Alexa” আর Google Home কে “Hey Google ” অথবা “OK Google”. কথা যদি হয় মাল্টি টাস্কিং এর সেক্ষেত্রে গুগল এগিয়ে। Multiple room controlling এর জন্য Google Home বিশেষভাবে প্রোগ্রাম করা।
সবশেষে বলতে হয় আপনি যদি কোনো কিছু সার্চ করার জন্য বলেন তবে সেক্ষেত্রে Google Home সবার আগে। যেমন: Play Faded Song From soundcloud. বলার পরপরই অনলাইন থেকে গানটি প্লে করবে। যদি নেট কানেক্ট থাকে তবে রিমোট সার্ভার থেকে Auto আপডেট নিবে। Intellegent এর হোম এসিস্ট্যান্ট আপনার নিত্য দিনের কাজ গুছিয়ে আপনাকে চিন্তা মুক্ত রাখতে সবসময় প্রস্তুত।