আমরা জানি আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ এবং সতেজ রাখার মৌলিক পদক্ষেপগুলি হলো স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং রাতে ভালোভাবে ঘুমানো। এছাড়াও আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ থাকা একটা অপ্রত্যাশিত উৎস দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে, তা হলো আমাদের “২য় মস্তিষ্ক”।
আমাদের মস্তিষ্ক এবং আমাদের পাচনতন্ত্র জটিলভাবে সম্পর্কযুক্ত। এরা এমন নিবিড়ভভবে সম্পর্কিত যে অভিজ্ঞরা মনে করেন এদেরকে একই তন্ত্র হিসেবে দেখা উচিত। আমাদের এই পাচনতন্ত্রের অন্ত্রকে বিজ্ঞানীরা অনেক সময় “২য় মস্তিষ্ক ” নামে অভিহিত করেন।
আমদের অন্ত্রে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের মস্তিষ্কের ছাঁচ গঠন করতে সাহায্য করে এবং সম্ভবত এরা আমাদের মন-মেজাজ এবং আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে।
” Can Bacteria Talk To Your Brain?“ শিরোনামে LabRoots নামের একটি বৈজ্ঞানিক সহযোগিতামূলক ওয়েবসাইট একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে। তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তারা দেখায়, আমাদের মস্তিষ্ক এবং আমাদের পাচনতন্ত্র কিভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আমদের অন্ত্র ভেগাস স্নায়ুর মাধ্যমে সরাসরি আমদের মস্তিষ্কের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ভেগাস একটি করোটিসঙ্ক্রান্ত স্নায়ু যা মস্তিষ্ক থেকে হৃদয়, অন্ননালী এবং ফুসফুস হয়ে উদর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি Gut-Brain Axis নামে পরিচিত। ভেগাস এর শতকরা ৯০ ভাগ ফাইবারই অন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে তথ্য সরবরাহ করে।
এই যোগাযোগ যেসব অণুর মাধ্যমে ঘটে তা অন্ত্রে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উত্পাদিত হয়ে রক্তস্রোতের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই অণুগুলো আমাদের আচরণের পরিবর্তন সাধন করার জন্য যথেষ্ট।
আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া বনাম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্যহীনতা “dysbiosis” নামে পরিচিত যেটি বিভিন্ন প্রকার মানসিক এবং স্নায়বিক রোগ, যেমন অটিজম, উদ্বেগ, বিষণ্নতা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কযুক্ত। এমনকি বিভিন্ন neurodegenerative রোগের ও কারণ এই “dysbiosis“।