ল্যাবরেটরী-প্রস্তুতকৃত মানব-ডিম্বক যা বিপ্লব ঘটাবে চিকিৎসাক্ষেত্রে

সম্প্রতি “ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ” এর একদল বিজ্ঞানী প্রাথমিক পর্যায় হতে পূর্ণ পরিপক্কতা হওয়া অবধি মানবডিম্বকের বিশেষ পর্যবেক্ষণ করেন, এবং আশা করা যায় এটি মানব-ডিম্বক এবং মানব-প্রজননের উপর পরবর্তী গবেষণাগুলোর সফলতা আনায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

 

নিষেকের জন্য প্রস্তুত পরিপূর্ণ মানব-ডিম্বকের বিবর্ধিত রূপ

৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৮ এ সম্পন্নকৃত এ গবেষণায়, ডিম্বাশয় টিস্যু হতে কর্তিত অংশ যা নিষেকের জন্য প্রস্তুত, এমন ডিম্বক-অংশ গবেষনার জন্য নির্বাচন করা হয়। ল্যাবরেটরীতে গবেষণারত অবস্থায় উপর্যুক্ত অংশটি বিকাশ কালের প্রথম পর্যায়েই কর্তন করা হয়।

গবেষণাটি বিশেষ করে মেয়েদের ক্যানসার নির্মূলে ‘কেমোথেরাপি’ ছাড়াও বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির সূচনা করবে বলে আশা করা যায়। অপরিপক্ব ডিম্বক যা মাতৃ-ডিম্বক টিস্যু হতে সংগ্রহীত হয়, এমন মানব-টিস্যু এ গবেষণার মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো ল্যাবরেটরীতে পরিপূর্ণতা-প্রাপ্ত হয়।

সাধারণভাবে, ক্যানসার-রোগীদের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি চিকিৎসার পূর্বে সাময়িকভাবে তাদের ডিম্বক-টিস্যুর কিছু অংশ আলাদা করে রাখা হয়। চিকিৎসা শেষে যার পুণরায় প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে, এই পুণঃপ্রতিস্থাপন পুনরায় তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

উপর্যুক্ত গবেষণার অন্যতম একটি সাফল্য ছিল- কীভাবে মানব-ডিম্বক টিস্যু বিকাশিত হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। প্রাপ্ত তথ্য ও উপাত্ত নিষেক-সম্পর্কিত চিকিৎসা এবং পুনরূত্থানকারী ঔষুধ এর উচ্চতর গবেষণায় নিশ্চিত ভাবে সাহায্য করবে।

 

বিজ্ঞাণী এবং মেডিক্যাল অভিজ্ঞদের একদল নিরিলস কর্মী যৌগভাবে টিস্যুর বিকাশ সাধনের জন্য একটি উপর্যুক্ত মাধ্যম এর ব্যবস্থা করেন- যা “কালচার মিডিয়াম” বা “কালচার মাধ্যম” নামে পরিচিত। গবেষণায় নিয়মিত চিকিৎসারত একজন মহিলার কাছ হতে তার ডিম্বক-কোষ সংগ্রহ করা হয়। এক্ষেত্রে, গত ৩০ বছরের গবেষণাকৃত তথ্য উপাত্তকে যাচাই-বাছাই ও করা হয়।

 

গবেষণাটি সম্পন্ন করতে যৌথভাবে নিউ-ইয়র্ক এর “দ্যা রয়েল ইনফিরমেরি এডেনবার্গ” এবং “রয়েল হস্পিটাল, এডেনবার্গ” সাহায্য করে। এবং সম্পন্ন রিপোর্ট টি “মোলিকুলার হিউম্যান রি-প্রোড্যাকশোন” শিরোনামে গবেষণাদল- কতৃক প্রস্তুত করা হয়।

গবেষণা পরিচালক-পর্ষদের প্রধান, “দ্যা স্কুল অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্স”- এর “প্রফেসর এভেলিন টেলফার” এ বিষয়ে বলেন, “ল্যাবরেটরীতে একটি মানব-ডিম্বক এর পরিপূর্ণ পর্যোবেক্ষণ ‘নিষেক সম্পর্কিত’ পরর্বতী গবেষণা বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।” বর্তমানে তারা মানব-ডিম্বক এর পরিপূর্ণতা এবং প্রতিটি পর্যায়ে তার সুস্থতার ব্যাপারে নজর দিচ্ছেন বলে তিনি আরো জানান। ল্যাবরেটরী তে প্রস্তুতকৃত এ সকল ডিম্বক এর ল্যাবে নিষেক সম্ভব কি না- এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণাই এখন গবেষণা-দলের মূল উদ্দেশ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>