চায়না থেকে নিউইয়র্ক, দুরুত্ব হলো ৭১০০ মাইল। মোটেও কম দুরুত্ব নয়। মিগ-২৯ দিয়ে গেলেও লাগবে ৩-৪ ঘন্টা। কিন্তু যাত্রীবাহী প্লেন হিসেবে মোটেও মিগ উপোযোগী নয়।
চাইনীজ এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা এনেছে যাত্রিবাহী হাইপারসনিক বিমান। সর্বোচ্চ সময় লাগবে ২ ঘন্টা, চায়না থেকে নিউইয়র্ক পৌছাতে। যেখানে সাধারণ যাত্রীবাহী বিমান সময় নেয় ১৪ ঘন্টা।
আদৌ কি এটা যাত্রীবাহী?
হ্যা, এটি যাত্রিবাহী বিমান, যা কিনা ঘন্টায় ৩৮০০ থেকে ৫৩৭০ মাইল বেগে চলতে পারে। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ইঞ্জিনিয়াররা সিদ্ধান্তে আসেন যে, বিমানটি ২০ টন ভর নিয়ে এই বেগে চলতে পারবে বা সর্বোচ্চ ২০০ জন যাত্রী নিয়ে একই গতি ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে চায়না এই প্রথম নয়, বরং এর পূর্বে একটি মিসাইল তৈরি করেছে যা কিনা ৭০০০ মাইল প্রতি ঘন্টায় ছুটে চলতে পারে। US Navy হাইপারসনিক মিসাইল আপডেট করছে যেনো পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় ১ ঘন্টার মধ্যে মিসাইল হামলা করা করা যায়।
আগের বছর নাসা এর মেটারিয়াল ইঞ্জিনিয়াররা বোরোন নাইট্রাইট ন্যানোটিউব এর আবিষ্কার করেন। তাদের মতে, বিমান এর উইন্ড টানেল এ এই ন্যানোটিউব ব্যবহার করলে হাইপারসনিক যাত্রা আরো দ্রুত এবং আরামদায়ক হবে।
তথ্যসুত্রঃ sciencealert
Leave a Reply