ট্যাটু করা বর্তমানে আধুনিকতার প্রমাণ হলেও, শতাব্দি ধরে মানবসভ্যতায় রয়েছে ট্যাটুর ইতিহাস। তবে সেটা নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয় বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্তিতের প্রমাণ হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। অনেক গোপন সংস্থাগুলো তাদের লোকেদের পায়ের পাতা বা বুকে ট্যাটু করে দিতো। কিন্তু সেক্ষেত্রে কালি ব্যবহার করলেও তা ছিলো জৈব উপাদানের তৈরি কিংবা গরম লোহার ছাচের তৈরি। কিন্তু আধুনিকতার ছোয়ায় এখন ট্যাটু একটি নিতান্ত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

ক্ষতিকারক কালির ব্যবহারঃ
২০১৯ সালে ট্যাটু একটি সাধারণ ব্যাপার। এই সময়ে মানুষদের কালারফুল ট্যাটু করতেও দেখা যায়। ব্যবহার করা কালির খুব ক্ষুদ্র অংশ কেবল জৈব উপাদানের তৈরি কিন্তু অধিকাংশই তৈরি হয় টেক্সটাইল, প্লাস্টিক বা ইন অরগানিক পিগমেন্ট দিয়ে, যা আপনার চামড়ায় লাগার সাথে সাথে শুকাতে শুরু করে। কালির সবচেয়ে সাধারণ উপকরণটি হলো Polycyclic Aromatic Hydrocarbons (PAHs) .

শতকরা ৪০ থাকে এই কেমিক্যাল পাশাপাশি থাকে Azo pigments. এই দুই ক্যামিক্যালই যথেষ্ট ৩ বছরের মধ্যে আপনাকে স্কিন ক্যান্সারে জড়িয়ে ফেলতে। তবে উল্লেখ্য যে, ব্যবহার করা সব কালি একই রকম না। কারণ আপনারা হয়তো এতক্ষনে বলা শুরু করেছেন, “কই এতো মানুষ ট্যাটু করে তাহলে মরে না কেন?”। উত্তরে বলবো, আপনারা কেবল সেলিব্রেটিদের ট্যাটু ফলো করেন এবং তারা অবশ্যই দামী অরগানিক কালি ব্যবহার করে থাকে।
এখন নাহয় একটু প্রমাণ এর দিকে আসা যাক…
সুইস একটি জরিপ মোতাবেক, (জরিপ দেখতে এখানে ক্লিক করুন), ২২৯ রকমের কালিতে পাওয়া গেছে প্রিজারভেটিভ উপাদান (যেমনঃ benzo-isothiazolinone এবং formaldehyde)। তাছাড়াও পাওয়া গেছে সীসা, পারদ ক্রোমিয়াম এবং কোবাল্ট এর মতো ক্ষতিকারক ধাতু।
তাহলে ট্যাটু করা কি আসলেও উচিত নয়?
আমি আগেও উল্লেখ করেছি সব ট্যাটু খারাপ নয়। চলুন একটু বিস্তারিত জানা যাক…
বর্তমানে ব্যবহার করা হয় হাই-পিগমেন্ট কালার। যার অধিকাংশই তৈরি হয় ধাতব লবণ থেকে। তবে কোন রঙ এর কালি বেশি ক্ষতিকর? পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সবচেয়ে নিরাপদ কালি হচ্ছে কালো এবং সবচেয়ে ভয়ানক হচ্ছে লাল। কারণ লাল রঙ তৈরি করা হয় ক্রোমিয়াম বা মারকারী এর লবণ থেকে। তবে নীল এবং সবুজ কালিও নিরাপদ। তবে কিছু কিছু উৎপাদকরা নীল কালি তৈরি করে কোবাল্ট থেকে, যা কিনা আপনার চামড়ার দশা উপরের মতো করতে পারে।