ভয়ংকর লেজার গানঃ ZKZM-500

আধুনিক বিশ্ব রাজনীতিতে চীন সত্যি-ই এক বিস্ময়ের নাম । বিশ্ব রাজনীতির মাঠে তারা এক বিশাল পরাশক্তি হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে । তাদের এই নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার বিশ্ববাসীকে হতবাক করে তুলেছে তো বটেই সাথে সাথে রাজনীতির মাঠে তাদেরকে প্রতিপক্ষের কাছে সমীহের পাত্র করে তুলেছে ।

বর্তমানে তাদের এই বিস্ময়কর আবিস্কারের বইতে যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি নাম । এটি সাধারণ ভাবে একটি লেজার বন্দুক হিসেবেই পরিচিত । যার বাণিজ্যক নাম দেয়া হয়েছে  ZKZM-500 । আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এই ZKZM-500 সম্পর্কে ।

         চীনের তৈরি এই শক্তিশালী নতুন লেজার  রাইফেল যা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি লক্ষ্যকে নির্মূল করতে পারে। অস্ত্রটি প্রায় তিন কিলো বা ৬.৬ পাউন্ড ওজনের । দেখতে প্রায় এক কে -৪৭ এর মতো । এটির প্রায় ৮০০ মিটারের (প্রায় ১.৫ মাইলের মতো ) পরিসীমা রয়েছে । উল্লেখ্য যে বর্তমান বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বন্দুকগুলোর মধ্যে একটি  হলো  এ কে-৪৭ । মাত্র এক মিনিটে ৫৮০ টি ফায়ার করতে পারে এই মারণ বন্দুক ।

এটিকে যানবাহনগুলিতে যেমন কার, জলযান এমনকি প্লেনেও এটিকে মাউন্ট করা যেতে পারে। 

চীনা গবেষকদের মতে, ZKZM-500 একটি লেজার অ্যাসল্ট রাইফেল যা মানব ত্বক এবং টিস্যুগুলি “অবিলম্বে কার্বনাইস” করতে পারে । এটি একটি ব্যক্তিকে “আগুনে ফেলতে পারে” এবং “ধৈর্যের বাইরে ব্যথা” অনুভব করাতে পারে।

   একটি লেজার অস্ত্র বিজ্ঞানী বলেন যে ডিভাইসটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কাপড় পোড়াতে সক্ষম । যদি ফ্যাব্রিক্সটি জ্বলন ক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তাহলে পুরো ব্যক্তির শরীরে আগুন লেগে যাবে (দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্ট রিপোর্ট) ।

গবেষকরা বলেন, তার অদৃশ্য ফ্রিকোয়েন্সির কারনে এটি কোন শব্দও উৎপন্ন করে না ।  গবেষকদের মধ্যে একজন গবেষক বলেন  “এটি দেখতে একটি দুর্ঘটনার মত মনে হবে । তাই এই আক্রমণটি কোথা থেকে এসেছে তা জানার সুযোগ থাকে না  ” ।

অস্ত্রটি একটি রিচার্জেবল লিথিয়াম  ব্যাটারি দ্বারা চালিত হবে বলে মনে করা হয় এবং প্রতি চার্জে ১০০০ বার ফায়ার করতে পারে । প্রতিবার ফায়ারিং এ সময় লাগবে মাত্র ২ সেকেন্ড !  অর্থাৎ মাত্র ২ সেকেন্ডে ১০০০ বার ফায়ার করা যাবে !!

        প্রায়  $১৫০০০ ডলার (বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১২,৫৬,২৫৭ টাকা) খরচে উৎপাদিত প্রতিটি অস্ত্রকে যদিও বর্তমানে “ননলিথাল” ( অমারাত্মক ) হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে ,তবে এর রয়েছে স্নাইপার-এর মতো পরিসীমা। এটির উপর কাজ করে এমন বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে এটি দাবি করেন যে এটির ছোট আকারের কারণে চীনা সেনাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদে  পরিণত হতে  চলেছে। অনেকের মতে, অদূর ভবিষ্যতে এটিই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্নক হাতে বহনযোগ্য অস্ত্র ।

চীনের এইরূপ ভয়ংকর অস্ত্রের বিপরীতে তার বিশ্ব রাজনীতির প্রতিপক্ষরা বিশ্ববাসীর সামনে আরও কত ভয়ংকর অস্ত্র উপস্থাপণ করে এখন সেটি-ই একমাত্র দেখার পালা ।

তথ্যসূত্র ঃ  news.com.au

এক নজরে সেরা ৫ টি পারমাণবিক চুল্লিঃ 

সেরা ৫ : সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি পারমাণবিক চুল্লী

 

 

Comments are closed.