মনে করুন আপনি ঘুমিয়ে আছেন। আর ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন মর্গে শুয়ে আছেন এবং আশেপাশের সবাই আপনার ময়না তদন্ত করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে! সেই মুহূর্তে আপনার কেমন অনুভূতি হবে?
ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত হলেও ঠিক এরকম একটা ঘটনাই ঘটেছে এই সপ্তাহে। Gonzalo Montoya Jiménez নামক এক বন্দীকে গত রবিবারে কারাগার থেকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সেটা নিশ্চিত হবার জন্য ৩ জন ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর তার দেহকে প্যাকেট করে Institute of Legal Medicine in Oviedo এর মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার ময়না তদন্ত করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। এমনকি ময়না তদন্ত করার জন্য শরীরে যেসব দাগ টানা হয় সেগুলোও তার শরীরে আঁকা হয়ে যায়। ঠিক এমন মুহূর্তে তার দেহে জীবনের লক্ষণ দেখা দেওয়া শুরু করে এবং সে সামান্য নড়েচড়ে উঠে। এই অবস্থা দেখে মর্গ থেকে তাকে দ্রুত ICU তে নিয়ে যাওয়া হয়।
এক জন নয়, তিন জন ডাক্তার দেখার পরেও কিভাবে এমন ভুল হয় তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায় নি। তবে এই বন্দীর ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করা যায় পক্ষাঘাতের মাধ্যমে। পক্ষাঘাত মূলত মৃগীরোগের একটা

ফলাফল। পক্ষাঘাত হলে দেহের অংশবিশেষ কর্মক্ষমতা হারায়। এই রোগে মূলত মানুষ তার মাসলের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস অস্বাভাবিক রকমের ধীর হয়ে যায়। এতই ধীর হয় যে প্রাথমিকভাবে রোগীকে দেখে মৃত বলে ভুল হতে পারে।
গোনাজোর ক্ষেত্রে এমনটাই কিছু হয়েছিল। আসলে এরকম ঘটনা এটাই প্রথম না। এর আগেও বেশ কয়েকবার এরকম ঘটনা ঘটতে শোনা যায়। তারমধ্যে, ২০১৪ সালে একজন ৯১ বছরের পোলিশ মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে যখন মর্গে নেয়া হয় তখন দেখা যায় যে সে আসলে জীবিত। ঐ মহিলার জেগে উঠার কারণ ছিল অত্যধিক শীত। মর্গের শীতে ঐ বৃদ্ধা জেগে উঠেছিল, নয়তো সেবার সে আসলেই গিয়েছিল!
তথ্যসূত্রঃ https://goo.gl/Lx3Dkb