অন্তত আণুবীক্ষণিক পর্যায়ে, সেক্স জিনিসটা সাধারন হওয়া উচিৎ। আমাদের মাধ্যমিক বায়োলজি বইয়ের মতে মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যে ১ জোড়া হল সেক্স ক্রোমোজোম। সাধারন অর্থে যা মেয়েদের জন্য হল XX এবং ছেলেদের জন্য হল XY। গারস্থ্য অথবা কৃষি, গোলাপি অথবা নীল। যাইহোক, ১ জোড়া ক্রোমোজোমের বাইনারি মান দ্বারা আমাদের লিঙ্গ এবং জেন্ডার নির্ধারিত করা সম্ভব না। সেক্স এবং জেন্ডার ২ টি ভিন্ন জিনিস। সহজে এভাবে বলা যেতে পারে যে, সেক্স হল আমাদের বায়োলজিক্যাল পরিচয় এবং জেন্ডার হল অনেকটা মানসিক সত্তা।
সেক্স ক্রোমোজোম
সামাজিক বাস্তবতা অনুযায়ী, যাদের এই সেক্স এবং জেন্ডার এর মধ্যে মিল থাকে না, আমরা তাদের নাম দেই ট্রান্সজেন্ডার, তৃতীয় লিঙ্গ অথবা হিজড়া। সম্ভবত ক্ষুদ্র কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে মর্ডান বায়োলজিতে। এসব ব্যাক্তিদের মেয়ে-সুলভ কিংবা ছেলে-সুলভ আচরণ এর জন্য সেক্স ক্রোমোজোমে অবস্থিত কিছু জটিল এবং সূক্ষ্ম জিনের নেটওয়ার্ক দায়ী। এই নেটওয়ার্কটি গর্ভধারণের এর পর গোনাড তৈরি হওয়ায় পূর্বেই হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এরকম বায়োলজিক্যাল হাইব্রিড হয়ে থাকেন। গবেষকেরা একটি ৯৪ বয়সী বৃদ্ধার মধ্যে XY ক্রোমোজোম খুঁজে পান। এর ধারাবাহিকতায়, একজন সার্জেন ৭০ বয়সী ব্যক্তি, ৪ সন্তানের পিতার মধ্যে XX ক্রোমোজোম খুঁজে পান। অন্য আরেক পরীক্ষায় সেই ব্যক্তিরই ব্রেইনে একধরনের “Mosaic” সেল এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে কিছু পুরুষ সিকোয়েন্স এর পাশাপাশি মহিলাদের সেলও রয়েছে।
এত গেলো আণবিক লেভেলে সেক্স নির্ণয় এর কথা। আবার কিছু মানুষের মধ্যে সাইকোলজিক্যাল জেন্ডার ইস্যু দেখা দেয়। জন্মগত সেক্স যাইহোক না কেন, মাঝেমাঝে কিছু মানুষের মানসিক জেন্ডার তাদের বায়োলজিক্যাল সেক্স থেকে আলাদা হয়ে থাকে (Gender Identity Disorder)। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও কারণ খুঁজে বাহির করতে সক্ষম হননি।
যাইহোক, বায়োলজিক্যালি সেক্স নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টর রয়েছে। এবং গবেষকেরা সেক্স নির্ণয় এর সাথে এসব ফ্যাক্টরের বিভিন্নভাবে বিভিন্নসময় যোগসূত্র স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। নিচের চিত্রটিতে এই ফ্যাক্টর গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
Leave a Reply