পানির বিকল্প ওহো!

ফুরিয়ে এসেছে বোতলে করে পানি খাওয়ার দিন! এখন থেকে পানি খাওয়ার জন্য আপনাকে আর বোতলে পানি নিয়ে ঘুরতে হবেনা! বিশ্বদরবারে সগৌরবে হাজির হয়ে গেছে ওহো! অদূর ভবিষ্যতেই হয়তো আর প্লাস্টিকের বোতলে পানি খেতে হবে না। যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী আবিষ্কার করছেন এমন পদ্ধতি, যাতে পানি আর কোনো পাত্রে রাখতে হবে না। পকেটে নিয়েও ঘুরতে পারবেন; তৃষ্ণা পেলে খেয়ে নেবেন।

সমীক্ষা বলছে, বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি টন প্লাস্টিক তৈরি হয় প্রতিবছর। এর মধ্যে ৮৮ লাখ টন প্লাস্টিক সাগরে গিয়ে মেশে, যা সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ক্ষতি করে বাস্তুতন্ত্রেরও। এই ভাবনাই তাড়না দিচ্ছিল লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের স্কিপিং রকস ল্যাবে গবেষণারত রদ্রিগো গার্সিয়া, পিয়েরি পাসলিয়র আর গুইলামি কৌচেকে। আর এই তাড়না থেকে তাঁরা বানিয়ে ফেললেন ‘ওহো’।

রদ্রিগো বলেন, ‘ওহো দেখতে পানির বড় একটা বুদবুদের মতো। প্লাস্টির বোতলের বদলে এই পানির বুদবুদ গুলো নিয়েই বেড়ানো যাবে রাস্তাঘাটে। তেষ্টা পেলে বুদবুদ গুলো খেয়ে ফেললেই হলো। এতে একদিকে যেমন দূষণও রোধ হবে, আবার শরীরে ক্ষতিকর পদার্থও কম ঢুকবে। ’

অন্যদিকে পিয়েরি জানালেন, কোথাও গেলে খুব সহজেই সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় এই ‘পানির বুদবুদ’। তেষ্টা পেলে পুরোটাই খেয়ে ফেলা যাবে। প্রতি ওহোয় থাকবে ২৫০ মিলিলিটার পানি। পাশাপাশি ওহো তৈরির খরচও খুব কম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, ‘ওহো’ হাতে নিলে অনেকটা জেলির মতো নরম মনে হবে। ওহো-তে রয়েছে সোডিয়াম অ্যালগিনেট দিয়ে তৈরি দু’টি পাতলা পর্দা। সামুদ্রিক ব্রাউন অ্যালগি ও ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দিয়ে তৈরি করা হয় এই সোডিয়াম অ্যালগিনেট। এই পাতলা পর্দার মধ্যেই থাকে তরল পানীয়। সম্পূর্ণ বুদবুদটাকেই জেলিফিকেশন করা হয়েছে। এই সময় পানিের মধ্যে এডিবল জেলিং এজেন্টও দেওয়া হয়েছে। এমনিতে ‘ওহো’ খেতে সাধারণ পানির মতোই লাগবে। তবে ইচ্ছে মতো এতে নানা রকম ফ্লেভারও যোগ করা

পিয়েরি পসলিয়রের আশা, খুব শীঘ্রই ‘ওহো’ প্লাস্টিক বোতলের বিপুল দূষণের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে পারবে।

Comments are closed.