জাপানের Osaka University এর প্রফেসর কেনটারো টেরেডা (Professor Kentaro Terada) এর নেতৃত্বে একটি গবেষক দল আবিষ্কার করেছেন সৌর বায়ু এবং পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র অামাদের গ্রহের বায়ুমন্ডল থেকে চন্দ্র পৃষ্ঠে বায়োজেনিক অক্সিজেন ও উচ্চ শক্তির অায়ন পরিবর্তন করতে পারে।
উপরের চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে অক্সিজেন আয়ন পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রবাহিত হয়।
এব্যাপারে অধ্যাপক টেরেডা বলেন,” পৃথিবীর এই চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীকে সৌর বায়ু এবং মহাজাগতিক রশ্মী (Cosmic Ray) থেকে রক্ষা করে”।
পৃথিবীপৃষ্ঠে যে অংশে রাত সংগঠিত হয় সে অংশের দিকে এই চৌম্বকক্ষেত্রটি ধুমকেতুর লেজের মত প্রসারিত হয়। এবং একটি উজ্জ্বল আলোক রশ্মির সৃষ্টি করে। এটাকে বিজ্ঞানীরা জিওটেইল নামকরন করেন।
আর এই জিওটেলের উপর গবেষণা করে টেরেডা ও তার দল জানান, “জিওটেলের কেন্দ্রস্থলে গরম প্লাজমার মত একটি জায়গা রয়েছে।”
জাপানের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা Nature Astronomy তে প্রকাশ করা হয় একটি বিস্ময়কর তথ্য সেটি হচ্ছে জাপানের মহাকাশযান কাগুয়া থেকে দেখা যায় চাদের অবস্থান যখন জিওটেলের কেন্দ্রস্থলের দিকে অবস্থান করে তখনই উচ্চ শক্তির অক্সিজেন আয়ন চাঁদে প্রবাহিত হয়।
পরবর্তীতে গবেষক দলটি জানায়,” পৃথিবীর আয়োনস্ফিয়ার থেকে অক্সিজেন আয়ন ২৩৬,০০০ মাইল বা ৩৮০,০০০ কি. মি দূরে চাদেঁ অবতরণ করে সেটি আমরা সফল ভাবে অবলোকন করেছি।”
এবং এ উদ্দেশ্যে দলটি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬২ মাইল (১০০ কি. মি.) উপরে কাগুয়ার চৌম্বক ক্ষেত্র,প্লাজমা পরীক্ষা/প্লাজমা শক্তির কৌণিক পরীক্ষা ও কম্পোজিশন পরীক্ষা চালান এবং বিশেষ এই পরীক্ষা শেষে টেরেডা জানান,” উচ্চ শক্তির অক্সিজেন আয়ন তখনই পরিবহণ করে যখন চন্দ্র ও মহাকাশযানটি সেই প্লাজমা অঞ্চলকে অতিক্রম করে।”
তাদের সনাক্তকৃত অক্সিজেন আয়ন ছিল 1-10 KeV উচ্চ শক্তির।
ধারনা করা হচ্ছে এই অক্সিজেন চাঁদে ইমপ্লান্ট করা সম্ভব হবে।এছাড়াও চন্দ্রগতিও অক্সিজেনের জটিল সমীকরন বোঝার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ন আবিস্কার বলে অনেকেই মনে করছেন।
তবে বিজ্ঞানীরা চন্দ্রপৃষ্ঠে অক্সিজেন O(16) এর অভাব জনিত কারন গুলো পর্যবেক্ষণ করেন। এবং অক্সিজেনের স্থিতিশীল আইসোটপ ওজন স্তর পর্যবেক্ষণের পর তারা ধারনা করছেন পৃথিবীর স্ট্রাটস্ফিয়ারের একটি অঞ্চল চন্দ্রপৃষ্ঠে তৈরী সম্ভব তা স্থাপনের জন্য দশ ন্যানোমিটার গভিরতার চন্দ্রপৃষ্ঠ উপযুক্ত হতে পারে।
এতে করে টেড়েডা মনে করছেন আমাদের পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রবাহিত অক্সিজেন গুলো খুব সহজেই চন্দ্রে পৃষ্ঠে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং বিশেষ করে চন্দ্রে পৃষ্ঠে বসতি গড়ার ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
চাঁদে সন্ধান মিললো পৃথিবীর অক্সিজেন

Comments are closed.