“প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে আসা Lerina Garcia”

 

                         চিত্রঃ Lerina Garcia Gordo

আচ্ছা কখনো কী একবার ভেবে দেখেছেন, গতকাল রাতে আপনি যেই রুমের বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন তার পরের দিন আপনি সেই রুমের বিছানায় নেই। আপনি ঠিক অন্য কোনো রুমের অন্য কোনো বিছানায় শুয়ে আছেন। এমনকি বিছানার চাদরের রংটিও বদলে গেছে। আশেপাশের কাউকেই আপনি ঠিক চিনতে পারছেন না। সবকিছু যেন ঠিক বদলে গেছে। ঐ মুহূর্তে আপনি ঠিক কি করবেন? অনেকেই হয়তো হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলবেন যে, “ এসব আবার সম্ভব নাকি, হাহা।“ কিন্তু আমি যদি বলি, হ্যাঁ, এটি  সম্ভব। এমন অজস্র ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে আমাদের এই পৃথিবীতে, এমনকি হয়তো আমাদের চারপাশে। কিন্তু আমরা সেগুলোকে নিছক ভ্রান্ত ধারণা ভেবে হেসে উড়িয়ে দেই। ঠিক এমনি একটি ঘটনা চমকে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে এবং বড় বড় বিজ্ঞানী মহলকেও। হ্যাঁ, আমি Lerina Garcia Gordo নামক স্প্যানিশ নারীর কথাই বলছি যার সাথে ঠিক এই ঘটনাই ঘটে এবং পুরো বিশ্বকে এবং বিজ্ঞানী মহলকে আতকে দিয়েছিলো এবং যেটি আজও রহস্য হয়েই আছে। ঘটনাতে যাওয়ার আগে জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই ঘটনাটি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে গিয়েছিলো। এই ঘটনাটির মূখ্য চরিত্রে থাকা স্প্যানিশ নারী Lerina Garcia ২০০৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করার পর মানুষজন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। অনলাইনে তাঁর পোস্টটি এমন ছিলোঃ

“ আমার নাম লুইজ। আমি একজন ৪১ বছর বয়সী নারী। আমার মনে হয় আমি প্যারালাল ইউনিভার্স চলে এসেছি। আমি সবাইকে এই ব্যাপারে বলে বিপদে পড়েছি কারণ তারা এই কথা শুনার পর থেকে আমাকে মানসিক রোগী ভাবা শুরু করেছে। কেউই আমাকে এবং আমার কথাকে বিশ্বাস করছেনা। দয়া করে কারও যদি এই একই অনুভূতি হয়ে থাকে তবে আমাকে নিচে দেয়া আমার মেইল ঠিকানায় আমাকে দয়া করে মেইল করবেন।“

আর ঠিক এই পোস্টটি দেয়ার পর পরই তা সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে যায়। সারা বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় সংস্থা, পত্রিকা এগিয়ে আসে তাঁর বক্তব্য শুনার জন্য। এরপর ঐ সংস্থাদেরকে তিনি তাঁর ঘটনা খুলে বলেন। চলুন তাহলে পুরো ঘটনাটি জেনে আসা যাকঃ

“১৬ই জুলাই ২০০৮ সালের একটি সুন্দর সকালে Lerina ঘুম থেকে উঠে দেখে তাঁর বিছানার চাদরের রং সেটা নয় যেটা সে গতকাল রাতে ঘুমানোর আগে দেখেছিলো। Lerina সেটিকে একটি নিছক কল্পনা ভেবেই উড়িয়ে দিলো। সে একটি কোম্পানীতে ২০ বছর যাবত চাকরি করেন। সে প্রতিদিনের মতো ঐদিনও তাঁর অফিসে যাওয়ার জন্য সে তৈরি হয় এবং গতকাল রাতেই পার্ক করা তাঁর গাড়িটি নিয়ে বের হয়ে যান অফিসের উদ্দেশ্যে। কিন্তু অফিসে পৌঁছে সে খুব অবাক হন। তিনি ভাবেন তিনি হয়তো ভুলে অন্য কোনো তলায় ঢুকে পড়েছেন। তাই সে তাঁর অফিসের ডানদিকের গেইট দিয়ে ঢুকেও সে একই দৃশ্য দেখতে পেয়ে সে আরও অবাক হন। এরপর সে তাঁর কেবিনের দিকে যাওয়া শুরু করেন এবং কেবিনের সামনে যেয়ে পুরো হতভম্ব হয়ে যান। সে বিগত ২০ বছর যাবত যেই কেবিনে বসে কাজ করেছেন সেখানে তাঁর নাম নেই এবং তাঁর কেবিনে বসে অন্য কেউ কাজ করছেন। অফিসের কোনো লোকজনই তাঁকে চিনতে পারছেনা। সে খুব রাগান্বিত হলেন এবং ভাবতে লাগলেন ২০ বছর যাবত এই অফিসে সৎভাবে কাজ করার পরও তাঁরা তাঁকে কিছু না জানিয়ে চাকরিচ্যূত করলো।

তারপর সে তৎক্ষণাৎ তাঁর ল্যাপটপটি বের করেন এবং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন এবং দেখলেন যে সে ভিন্ন ভিন্ন একটি ডিপার্টমেন্টে ভিন্ন একজন ম্যানেজারের অধীনে কাজ করেন যেটি আসলেই সে কোনোদিন করেননি। তারপর তিনি সাথে সাথে তাঁর Credit Card, Driving License এবং তাঁর অফিসের ID Card বের করে চেক করেন কিন্তু সেখানে তিনি সবকিছু ঠিকঠাকই দেখতে পান। একই নাম, একই ছবি এবং একই বাসার ঠিকানা ছিলো সবগুলো কার্ডে। তারপর সে ভাবতে শুরু করলো সব তথ্য ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও সবকিছু কেনো অপরিচিত লাগছিলো। তারপর সে ভাবলেন হয়তো সে সকালের ঘটনাটি নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর কারণে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন আর তাই তাঁর এসবকিছু এলোমেলো এবং অপরিচিত মনে হচ্ছে। তিনি পরেরদিন বিশ্রাম নিলেন  এবং ডাক্তারের কাছে গেলেন। তিনি তাঁর ডাক্তারকে সবকিছু খুলে বললেন এবং ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখলেন যে তিনি মাদকাসক্ত কিনা। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্টে Lerina এর মাদকাসক্ত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপর তিনি বাসায় ফিরে তাঁর পার্সোনাল ফাইল থেকে তাঁর সমস্ত Bank Statments, Personal Checks, Bills বের করে দুইবার করে চেক করেন। কিন্তু সবগুলো ডকুমেন্টে সঠিক তথ্য দেখতে পেলেন। তিনি তাতে আরও বেশি হতভম্ব হয়ে যান এবং ভাবেন যে এসব কি হচ্ছে তাঁর সাথে। তিনি ভাবেন যে তিনি হয়তো Amnesia রোগে ভুগছেন। তাই হয়তো তিনি তাঁর সমস্ত স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছেন। এরপর Lerina একজন মনবিজ্ঞানীর কাছে যান এবং পরীক্ষা করান যে তাঁর কোনো মানসিক রোগ হয়েছে কিনা। কিন্তু সেই পরীক্ষাতেও কোনো মানসিক রোগের লক্ষণ ধড়া পড়েনি এবং তিনি আবারো সুস্থ প্রমাণিত হলেন। ৪ মাস আগে Lerina তাঁর আগের বয়ফ্রেন্ডের সাথে ৭ বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটান। তিনি তাঁর এই ঘটনাটি তাঁর নতুন  বয়ফ্রেন্ড Augustin কে জানানোর কথা চিন্তা করেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। Lerina তাঁর নতুন বয়ফ্রেন্ড Augustin কে প্রতিদিনের মতো আজকেও ফোন দিলে তিনি পুরোদমে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ তিনি প্রতিদিনের মতো আজও যেই নাম্বারে ফোন দিয়েছেন সেখানে তাঁর বয়ফ্রেন্ড Augustin এর বদলে অন্য একজন অপরিচিত লোক ফোন ধরেছেন। তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে চাইলে লোকটি তাঁকে জানান যে এটা Augustin এর নাম্বার না এবং লোকটির বলা বাসার ঠিকানার সাথেও Lerina এর বয়ফ্রেন্ড Augustin এর বাসার ঠিকানার কোনো মিল পাচ্ছিলেন না তিনি। লোকটির বলা ঠিকানাটি ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি তাতে একদমক অবাক হয়ে যান কারণ Lerina অনেকবার এই নাম্বারে Augustin এর সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং বহুবার ঐ ঠিকানায় তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছেন। এরপর Lerina এসব ঝামেলা থেকে একটু রেহাই পাওয়ার জন্য তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তাঁর পরিবারকে তাঁর ছোটো বোনের কাঁধের অপারেশনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সবাই তাঁর দিকে বিস্ময়ভাবে তাকায়। পরিবারের সবাই তাঁকে জানায় যে, “আমাদের পরিবারেতো কারোর কাঁধের অপারেশন হয়নি, এসব কি বলছো তুমি Lerina?” ধীরে ধীরে তাঁর পরিবার তাঁকে পাগল ভাবা শুরু করে। এভাবে কয়েক মাস চলে যায় কিন্তু Lerina তাঁর উত্তর খুঁজে পাননি। একদিন তিনি ইন্টারনেটে তাঁর এই ব্যাপারে খুঁজতে গিয়ে প্যারালাল ইউনিভার্সের ব্যাপারে জানতে পারেন এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে তাঁর সাথে ঘটা সমস্ত ঘটনার সাথেই প্যারালাল ইউনিভার্সের সাথে মিলে যাচ্ছে এবং এরপর থেকে তিনি ভাবতে শুরু করেন যে তিনি হয়তো প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে চলে এসেছেন। ঠিক এরপরই তিনি তাঁর এই ব্যাপারে অনলাইনে একটি পোস্ট দেন যেটি সমগ্র বিশ্বে ভাইরাল হয়ে যায় এবং বড় বড় ওয়েবসাইট এবং পত্রিকায় ছাপানো হয়। অনলাইনে তাঁর পোস্টটি এমন ছিলোঃ

স্প্যানিশ ভাষা থেকে অনুবাদকৃত:

“ আমার নাম লুইজ। আমি একজন ৪১ বছর বয়সী নারী। আমার মনে হয় আমি প্যারালাল ইউনিভার্স চলে এসেছি। আমি সবাইকে এই ব্যাপারে বলে বিপদে পড়েছি কারণ তারা এই কথা শুনার পর থেকে আমাকে মানসিক রোগী ভাবা শুরু করেছে। কেউই আমাকে এবং আমার কথাকে বিশ্বাস করছেনা। দয়া করে কারও যদি এই একই অনুভূতি হয়ে থাকে তবে আমাকে নিচে দেয়া আমার মেইল ঠিকানায় আমাকে দয়া করে মেইল করবেন।

lerinagarciagordo@yahoo.es

ধন্যবাদ।“

Lerina’s Original Post:    http://www.tendencias21.net/La-realidad-estaria-compuesta-de-multiples-universos_a1701.html?start=50#comments

 

Lerina এর এই ঘটনার পর থেকে সবার মনেই একটি প্রশ্ন জেগেছে আর তাহলো “ আসলেই কি Lerina প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে এসেছিলেন?” আসলে তিনি কি আদৌ প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে এসেছিলেন কিনা তাঁর কোনো বাস্তবিক প্রমাণ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।  এটি বিজ্ঞানে আজও শুধু কল্পবিজ্ঞানই হয়ে আছে। তবে সমস্ত ঘটনা শোনার পর হয়তো আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে আর তাহলো এরপর Lerina এর কি হলো? আসলে এরপর থেকে Lerina সম্পূর্ণভাবে নিখোঁজ। তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।  তবে এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা ৩ টি অভিমত ব্যক্ত করেছেন আর তাহলোঃ

হয়তো Lerina তাঁর এসব ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নিজেই গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
হয়তো Lerina অন্য কোথাও কোনো ল্যাবরেটরিতে আজও বিজ্ঞানের সহযোগিতা নিয়ে তাঁর প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
হয়ত Lerina ফিরে গেছেন তাঁর নিজের জগতে।
তবে যদি Lerina তাঁর নিজের জগতে ফিরে যেয়ে থাকেন তাহলে এই পৃথিবীর Lerina কোথায় গেছে? এই প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্য হয়েই আছে।

এমনকি বিখ্যাত বিজ্ঞানী Brian Greene “The Hidden Reality” বইটিতে এই প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন এবং এমনকি Lerina Garcia এর কাহিনীটিও তিনি তাঁর এই বইটিতে তুলে ধরেছেন।

এই ঘটনাটি শোনার পর থেকে আপনাদের সকলের মনে হয়তো এই প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন জাগছে। হয়তো জানতে ইচ্ছে করছে কি এই প্যারালাল ইউনিভার্স ?

চলুন এবার একটু ধারণা নেয়া যাক এই প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কেঃ

প্যারালাল ইউনিভার্স হলো কল্পবিজ্ঞানের এমন একটি জগত যেখানে হয়তো আপনার মতোই অবিকল আরেকজন বসবাস করছে ঐ বিশ্বে। সে ঠিক আপনার মতোই কথা বলে, আপনার মতোই খাবার খায় এবং আপনার মতোই ঘুমায়। আর বিজ্ঞানীরা প্রমাণ হিসেবে Lerina এর কাহিনীটি তুলে ধরেন। এই প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে Hugh Everett III ( Nov 11, 1930 – July 19, 1982) সর্বপ্রথম ধারণা দেন।

চিত্রঃ Hugh Everett

২০১০ সালের কাছাকাছি বিজ্ঞানী Stephen M. Feeny “Wilkinson Microwave Anisotropy Probe (WMAP)” এর ডাটা এ্যানালাইসিস করে বলেন যে, “ আমাদের এই মহাবিশ্ব অন্য একটি মহাবিশ্বের সাথে অতীতে সংঘর্ষিত হয়েছিলো।“ এরপর WMAP এর চেয়েও

চিত্র: Wilkinson Microwave Anisotropy Probe (WMAP)

৩ গুণ শক্তিশালী “Planck Satellite” এর বিভিন্ন ডাটা পর্যবেক্ষণ করেও কোনো সঠিক প্রমাণ দেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি আমাদের ইউনিভার্সের প্রতি অন্য ইউনিভার্সের “Gravitational Pull” কেও সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই প্যারালাল ইউনিভার্সে গতির কোনো সূত্র খাটবেনা। এই প্যারালাল ইউনিভার্সের আরও নাম রয়েছে যেমনঃ MWI, The relative sate formulation, Multiverse Theory, The theory of the universal wavefunction, Many worlds ইত্যাদি। যেহেতু এই প্যারালাল ইউনিভার্স আজও প্রমাণিত হয়নি তাই বিজ্ঞানী মহলে রয়েছে একে নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক। কিছু বিজ্ঞানী একে সাপোর্ট করেন আবার কিছু বিজ্ঞানী এর বিরোধিতা করেন। তবে অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী এই প্যারালাল ইউনিভার্সকে সাপোর্ট করেন যেমনঃ

Hugh Everett
Stephen Hawking
Brian Greene
Max Tagmark
Alan Guth
Michio Kaku
Neil deGrasse Tyson
Andrei Linde
David Deutsch
এমনকি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী Stephen Hawking তাঁর মৃত্যুর ২ সপ্তাহ আগে এই প্যারালাল ইউনিভার্সের উপর তাঁর গবেষণা সম্পন্ন করেন এবং একটি গবেষণাপত্রও বের করেন কিন্তু তা এখনো কোনো বড় বড় জার্নালে প্রকাশ করা হয়নি। তাঁর এই গবেষণাপত্রে তিনি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে কিভাবে মানুষ প্যারালাল ইউনিভার্সকে সনাক্ত করতে পারবে। আপনারা নীচের দেয়া লিংকে “The Telegraph” ওয়েবসাইটে গেলেই তাঁর বিস্তারিত জানতে পারবেন:  telegraph.co.uk

 

চিত্রঃ কাল্পনিক প্যারালাল ইউনিভার্স

প্যারালাল ইউনিভার্স এমন একটি জগত যেখানে আপনার আমার মতোই একজন বসবাস করছে। আমাদের মহাবিশ্বের ঠিক অনুরূপই হলো এই প্যারালাল ইউনিভার্স। আমরা যখন কোনো আয়নার সামনে দাঁড়াই তখন যেমন ঠিক আমাদেরই অবিকল একজনকেই আয়নার অপর প্রান্তে দেখতে পাই ঠিক তেমনি আমাদের মহাবিশ্বের অবিকল আরেকটি মহাবিশ্বই হলো এই প্যারালাল ইউনিভার্স। আপনি যখন আপনার রুমে বসে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তখন হয়তো ঐ প্যারালাল ইউনিভার্সে আপনার মতোই অবিকল আরেকজন গান শুনছে। আজও হয়তো আমরা এই প্যারালাল ইউনিভার্সকে আবিষ্কার করতে পারিনি কিন্তু বিজ্ঞান যেই গতিতে উন্নতির পথে এগোচ্ছে হয়তো একদিন আমরা এই প্যারালাল ইউনিভার্সকে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবো। হয়তো দেখা করতে পারবো আমাদের অবিকল আরেকজনকে। আর ঠিক তখনি হয়তো Lerina Garcia এর কাহিনীর রহস্যকেও ভেদ করতে সক্ষম হবো এবং এই পৃথিবীর Lerina Garcia কেও খুঁজে পাবো। আর ঠিক সেই আশাতেই আজও বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তথ্যসূত্র: www.ghosttheory.com/2016/01/12/

Comments are closed.