বিজ্ঞানীর দুটি দল গবেষণা করে, দূরবর্তী একটি নক্ষত্রে জীবনের একক প্রোটিন খুঁজে বাহির করেছেন। মিথাইল আইসোসায়ানেট নামক যৌগটি যা পেপটাইড বন্ধনও ঘটন করতে পারে, যা প্রোটিন তৈরির মূল প্রক্রিয়া। এ থেকেই প্রমাণিত, সেখাইনে খুব সহজেই তৈরি হতে পারে প্রোটিন, যা থেকে সেখানেও আবির্ভাব ঘটতে পারে প্রানের।
উক্ত নক্ষত্রে মিথাইল আইসোসায়ানেট সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গেছে যখন থেকে European Space Agency এ যৌগটি আবিষ্কার করেছেন। এ যৌগটি 67P/Churyumov-Gerasimenko নামক কমেট এ পাওয়া গিয়েছে। কমেট হল ছোট নক্ষত্র ব্যবস্থা। এর পূর্বেই মিথাইল সিলিকেট দুটি নক্ষত্র Orion KL এবং Sagittarius B2(N) মেঘে পাওয়া গিয়েছে, যদিও সেখানের তাপমত্রা অনেক বেশি ছিল, যা জীবের জন্য অনুপযোগী। এখন বিজ্ঞানীদের ধারণা যে 67P/Churyumov-Gerasimenko পরিবেশ ততটাও প্রতিকুল নয়।
Astochemist লিগটারিক বলেছেন, “মহাকাশে আরো বিভিন্ন ধরণের যৌগ থাকতে পারে যেমন পানি, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনো অক্সাইড থাকতে পারে। এর জন্য আরো বেশি বেশি করে গবেষণা করা প্রয়োজন”
এখন পর্যন্ত মহাকাশে আবিষ্কৃত সব যৌগগুলোর মধ্যে মিথাইল আইসোসায়ানেট সবচেয়ে জটিল এবং এগুলো প্রোটিন এর খুবই কাছাকাছি ধর্ম প্রদর্শন করে। কিন্তু মিথাইল আইসোসায়ানেট সহ বিভিন্ন যৌগ সেখানে কিভাবে তৈরি হয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এখন বিজ্ঞানীরা মহাকাশে প্রোটিন এর একক Amino Acid এর খোঁজে ব্যস্ত রয়েছেন। যদি তা সম্ভব হয় সেখান থেকে আমরা সহজেই আমাদের প্ল্যানেটের প্রানের আবির্ভাবের রহস্য খুঁজে বাহির করতে সক্ষম হব।
তথ্যসূত্রঃ American Association for the Advancement of Science