রহস্যময় এরিয়া ফিফটি ওয়ান: প্রকৃত ইতিহাস এবং শুরুর গল্প [১ম পর্ব]

আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে নেভাডা মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন একটি বেইসের নাম “এরিয়া ফিফটি ওয়ান”। এই বেইসের মতো অনেক কম জায়গায়ই বিশ্বব্যাপী এতো জল্পনা কল্পনার জন্ম দিয়ে সাধারণ মানুষের আলোচনায় এসেছে। যদিও বাইরে থেকে দেখলে এটিকে মোটেই এমন আহামরি কিছু বলে মনে হয় না। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত এবং চব্বিশ ঘন্টা নিশ্ছিদ্র পাহারাদারীর মধ্যে থাকা একটি জায়গার নাম “এরিয়া ফিফটি ওয়ান”। আর্মড গার্ড বা নিরাপত্তা প্রহরীদের নজর এড়িয়ে এরিয়া ফিফটি ওয়ানের সীমানার ভেতর প্রবেশ করা রীতিমতো অসম্ভব একটি কাজ।

এরিয়া ফিফটি ওয়ানের ব্যাপারে অনেক ধরনের মিথ, তত্ত্ব এবং রহস্যময় খবর শোনা গেলেও  সবচেয়ে বেশি শোনা যায় যে নামটি তা হলো আন-আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা UFO। অনেকে বিশ্বাস করেন বিভিন্ন স্থানে ক্রাশ করা UFO থেকে এলিয়েন প্রযুক্তি সংগ্রহ করে এখানেই রীতিমতো গবেষণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু এসব খবরের প্রায় সবই হলো মিথ, রহস্য গল্প, ধারণা কিংবা কন্সপাইরেসি থিওরী। আজকের পর্বে আমরা এরিয়া ফিফটি ওয়ানের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। যা আমাদেরকে পরবর্তী পর্বের রহস্য গল্প গুলো বুঝতে দারুণ ভাবে সাহায্য করবে!

মজার বিষয় হলো, ২০১৩ সালের আগে আমেরিকান সরকারের পক্ষ থেকে এই বেইসের অস্তিত্বের কথা একেবারেই অস্বীকার করা হয়। এখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ভেতরে কী ধরনের গবেষণা চলছে তা কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়। অবশ্য সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এরিয়া ফিফটি ওয়ানের ইতিহাস নিয়ে নতুন নতুন তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। এডভান্সড স্পাই এয়ারক্রাফট থেকে শুরু করে শত্রু পক্ষের আটক করা ফাইটার বিমান নিয়ে গবেষণাসহ বিগত প্রায় ষাট বছর ধরে আমেরিকার শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রযুক্তি গত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এরিয়া ফিফটি ওয়ান।

গ্রুম লেক এয়ারপোর্ট, গ্রীম ল্যান্ড, প্যারাডাইজ রেঞ্জ বা এরিয়া ফিফটি ওয়ান- বিভিন্ন নামে পরিচিত এই জায়গাটি সল্ট ফ্ল্যাট বা লবণ সমভূমির ওপর গড়ে উঠেছে। ১৮৬৪ সালের দিকে এখানে সীসা এবং রূপার সন্ধান পাওয়া যায়। “গ্রুম লেক মাইনস কোম্পানী লিমিটেড” নামের একটি প্রতিষ্ঠান এখানে মাইনিং শুরু করে। ১৯৫০ এর গোড়ার দিক পর্যন্ত এই খনি থেকে সীসা এবং রূপা উত্তোলন করা হয়েছিলো। লবণ সমভূমিটি বিমান ওঠা নামার জন্য দারুণ উপযোগী হওয়ায় ১৯৪২ সালে যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি এয়ার বেইজ প্রতিষ্ঠা করে। “স্প্রিং এয়ার ফোর্স অক্সিলিয়ারি ফিল্ড” নামের ওই বেইজে দুটি ৫০০০ ফুট লম্বা কাঁচা রানওয়ে নির্মাণ করা হয়। এই এয়ার বেইজটি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিলো। এরপর গ্রুম লেকের খনির কাজ-কর্ম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে গ্রুম লেকও ফের বিরান অঞ্চলে পরিণত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনী জয় লাভ করে। কিন্তু দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে বেশি সময় নেয় নি। পরস্পরের প্রতি সন্দেহ এক পর্যায়ে স্নায়ু যুদ্ধে রূপ নেয়। এর জের ধরে দুটি দেশই তাদের সেনা বাহিনী এবং সামরিক সক্ষমতা জোরদার করতে উঠে পড়ে লাগে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধাস্ত্র কিংবা সামরিক সক্ষমতা কতটা উন্নত তা জানা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। কিন্তু স্পাই স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সে সময় আবিষ্কৃত হয় নি। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র “লকহিড এয়ারক্রাফট করপোরেশন” এর দারস্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্র চাইছিলো দূর পাল্লার এবং অনেক উঁচুতে উড়তে সক্ষম এমন একটি বিমান তৈরী করতে। যা দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো যাবে। নতুন ধরনের এ বিমান তৈরীর দায়িত্ব দেয়া হয় সে সময়ের বিখ্যাত উড়োজাহাজ নকশাকারী কেলী জনসন কে। তাঁকে এভিয়েশন ইতিহাসের একজন কিংবদন্তি হিসেবেই মনে করা হয়৷

লকহিডে কেলীর ডিপার্টমেন্টটি বেশি পরিচিত ছিলো “কানকোয়ার্ডস” নামে। তাঁর উদ্যোগে এমন একটি বিমান তৈরী করা হয় যা ৭০০০০ ফুট উঁচুতে উড়তে পারতো। এতোটা উঁচুতে উড়তে পারা তখনকার সোভিয়েত যুদ্ধ বিমান গুলোর ক্ষমতার বাইরে ছিল। গোয়েন্দা বিমান তৈরীর এ প্রজেক্টের নাম দেয়া হয় “প্রজেক্ট একুয়াটোন”। এর নথিপত্র “ম্যানহাটন প্রজেক্ট” (প্রথম এ্যাটম বোমা তৈরীর প্রজেক্ট) এর চেয়েও বেশি গোপনীয় ছিল। যদিও অতি সাবধানতার অংশ হিসেবে একুয়াটোন প্রজেক্টের নথিপত্রে টপ সিক্রেট সিলমোহর বসানো হয় নি। যাতে করে এগুলো কখনো হারিয়ে গেলেও তা মানুষকে কৌতুহলী করে তুলতে না পারে।

এছাড়া সাবধানতার অংশ হিসেবে নতুন তৈরী এ বিমানের নাম দেয়া হয় “U2”। সে সময় মার্কিন বিমান বহরে “U” নামাংকিত বিমানগুলো মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যাবহার করা হতো৷ ফলে এই বিমানকে আলাদা ভাবে গোয়েন্দা বিমান হিসাবে চিহ্নিত করার কোনো সুযোগ ছিলো না U2 বিমানের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো জন-সাধারণের কাছে গোপন রাখা বিশেষ প্রয়োজনীয় ছিল। যার ফলে এই বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের জায়গা নির্বাচন করতে নকশাকারী দলটির বেশ ধকল পোহাতে হয়েছিল। একে একে ৫০ টিরও বেশি টেস্ট সাইট বাতিল করেন প্রজেক্টের ডিরেক্টর রিচার্ড জুনিয়র। শেষ পর্যন্ত লাস ভেগাস থেকে ১৬০ কি.মি. উত্তরের বিরান অঞ্চল গ্রুম লেক সল্ট ফ্ল্যাটকে টেস্ট সাইট হিসেবে বেছে নেয়া হয়।

CIA এর নির্দেশে আমেরিকান এটমিক এনার্জি কমিশন জায়গাটিকে অধিগ্রহণ করে এবং “এরিয়া ফিফটি ওয়ান” নামকরণ করে। সেই সাথে জায়গাটিকে নেভাডা টেস্ট সাইটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে কেলি জনসনের U2 বিমানের পরীক্ষা নিরীক্ষায় বাদ সাধে নিকটবর্তী ‘নেভাডা টেস্ট গ্রাউন্ড’, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চলছিল। সেখানকার ফ্রেঞ্চ ম্যান ফ্ল্যাটে ১৯৫১ সাল থেকেই নিয়মিত পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছিলো। এসব পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে সৃষ্ট তেজষ্ক্রিয় ধোঁয়ার মেঘ সরে না যাওয়া পর্যন্ত কেলি জনসনের দলকে U2 বিমানের গবেষণা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তেজষ্ক্রিয়তার ঝুঁকির মধ্যেই কেলির দল U2 বিমানের পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অবশ্য ১৯৮০’র দশকের পর জানা যায়, ওই অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তেজষ্ক্রিয়তা রয়েছে৷ ফলে অনেকেই পারমাণবিক তেজষ্ক্রিয়তা জনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

যাই হোক, ১৯৫৫ সালের মে মাসে সল্ট ফ্ল্যাটের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে ৫০০০ ফুট লম্বা একটি রানওয়ে নির্মাণের পর জুলাই মাসের ২৪ তারিখে প্রথম একটি কার্গো বিমানে করে U2 বিমানকে এরিয়া ফিফটি ওয়ানে আনা হয় এবং পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়৷ আগস্টের ১ তারিখ লকহিডের চিফ টেস্ট পাইলট টনি লিভিয়ার প্রথম U2 বিমানটি নিয়ে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন। এবং পরবর্তী মাস গুলোতে চলে আরো বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা।

শেষ পর্যন্ত, পরের বছরেই সোভিয়েত ইউনিয়নের আকাশে গুপ্তচর বৃত্তির জন্য পাঠানো হয় এই অসাধারণ বিমানটিকে৷ U2 বিমান সফল ভাবে সোভিয়েত সামরিক বাহিনীর বহু তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছিল। অন্যদিকে অনেক উঁচুতে উড়তে সক্ষম এই বিমানের গতি-বিধি নজরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছিল সোভিয়েত বিমান বাহিনী। এমনকি বিমানটিকে ভূপাতিত করার কোনো উপায়ও ছিলো না তাদের। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র এই U2 বিমান দিয়ে ফরাসি, ব্রিটিশ এবং ইজিরায়েলি বাহিনীর উপরেও গুপ্তচর বৃত্তি পরিচালনা করেছে। দ্বিতীয় আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের সময় ১৯৫৬ সালে মিসরের উপরেও গোয়েন্দা নজরদারীর কাজে  U2 বিমান ব্যাবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে সিআইএ এবং ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের সমঝোতার ভিত্তিতে কয়েকজন ব্রিটিশ পাইলট এরিয়া ফিফটি ওয়ানে আসেন এই U2 বিমান চালনায় প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য। যদিও প্রথম দিকের অপারেশন গুলোতে এই বিমান দারুণ সাফল্য দেখিয়েছিলো, কিন্তু সবাই এটা বুঝতে পারছিলো যে, এই বিমানটিকে টেক্কা দেয়ার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ফলে “প্রজেক্ট রেইনবো” নামের নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু করা হয়। এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য ছিলো “রাডার এবজরভিং ম্যাটেরিয়াল বা র‍্যাম” প্রযুক্তির উন্নয়ন করা এবং বিমানে তা যুক্ত করার ব্যবস্থা করা। এতে করে রডার বীম বিমানের গায়ে ধাক্কা খেয়ে আবার গ্রাউন্ড স্টেশনে ফিরে যেতে পারবে না। ফলে বিমানের অবস্থানও প্রকাশ হয়ে পড়বে না৷ এক কথায়, এর সাহায্যে রাডারকে ফাঁকি দেয়া যাবে। কিন্তু U2 মডেলের বিমানটি রাডার ফাঁকি দেয়ায় পুরোপুরি সক্ষম ছিলো না৷ যেকারণে ১৯৬০ সালের ১ মে সোভিয়েত ইউনিয়ন গুলি করে একটি U2 বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। ১৯৬২ সালে কিউবায় মিসাইল সংকট চলা কালে আরেকটি U2 বিমান কিউবায় ভূপাতিত করা হয়৷ কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন বা এর মিত্র দেশ ভিয়েতনাম বা চীনের ওপর গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে যাবার জন্য বিকল্প কোনো ব্যাবস্থা না করলেই নয়। এজন্য নতুন ধরনের আরেক ধরণের বিমান তৈরী করা হয়, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি উঁচুতে এবং দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম।

এই বিমানের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হয় এরিয়া ফিফটি ওয়ানকে। প্রজেক্ট “অক্সকার্টে”র অধীনে এই বিমানটিরও নকশা করেন কেলী জনসন। এবং বিমানটির নাম দেয়া হয় “A-12″। এই বিমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এরিয়া ফিফটি ওয়ানে বড় পরিসরের নতুন ফ্যাসেলিটি এবং সাড়ে আট হাজার ফুট লম্বা নতুন রানওয়ে নির্মাণ করা হয়। ১৯৬১ সালের আগস্ট নাগাদ আরেক দফা নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। এবং গ্রুম লেকে ১০ হাজার ফুট লম্বা আরেকটি রানওয়ে যুক্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৬২ সালের ২৬ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হয় A-12 বিমান।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রথম ফ্লাইটে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ A-12 বিমানটি U2’র তুলনায় শুধুমাত্র অনেক উঁচুতে উড়তে সক্ষম ছিল এমনটি নয়। এটি শব্দের চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিতেও উড়তে সক্ষম ছিল। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র চাইছিল বেশকিছু A-12 বিমান তাদের ঝুলিতে রাখতে। কিন্তু ওড়ার সময়ে এ বিমানের ওপর যে পরিমাণ চাপ পড়ে তা সামাল দেয়ার একমাত্র উপায় ছিল টাইটেনিয়াম দিয়ে বিমানের বডি তৈরী করা।

১৯৬০ এর দশকে টাইটেনিয়ামের এক মাত্র উৎসই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। আর সোভিয়েত সরকারও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টাইটেনিয়াম বিক্রি করতে চাইছিল না। যে কারণে CIA বেশ কয়েকটি বিদেশী জাল কোম্পানি তৈরী করে। তাদের কাজ ছিল সোভিয়েত প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছ থেকে টাইটেনিয়াম কিনে গোপনে তা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করা। আর এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি A-12 মডেলের অসাধারণ বিমান তৈরী করতে সক্ষম হয়। সেই সাথে প্রথম একটি বিমান তৈরী করা সম্ভব হয়, যা পুরোপুরি ভাবে রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম। ফলে উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামের উপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর কাজে এই বিমান সফল ভাবে ব্যাবহার করা হয়েছিল। তবে এই বিমানটি ওড়ানোও ছিলো বেশ কঠিন। ১৯৬৭ সালের ৫ জানুয়ারি এরিয়া ফিফটি ওয়ানে ফেরার পথে একটি A-12 বিমান ক্র‍্যাশ করে এবং পাইলট নিহত হন।

শেষ পর্যন্ত ১৯৬৮ সালের জুনে A-12 বিমান ‘সার্ভিস’ থেকে তুলে নেয়া হয়।

[আজকের পর্বে এরিয়া ফিফটি ওয়ানের স্বীকৃত ইতিহাস এবং সেই সম্পর্কিত টুকরো গল্প গুলো বলার চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তী পর্বে এই অঞ্চলকে ঘিরে প্রচলিত কিছু মিথ এবং কন্সপাইরেসি থিওরী এবং রহস্যগল্প গুলো সংক্ষেপে বলা হবে]

রেফারেন্সঃ ১. https://www.amazon.com/Area-51-Uncensored-Americas-Military/dp/0316202304  ২. https://www.npr.org/sections/thetwo-way/2013/08/16/212549163/there-it-is-area-51-revealed-in-declassified-cia-report  ৩. https://www.businessinsider.com/area-51-american-conspiracy-theories-aliens-history-animation-video-2017-7   ৪. https://www.bbc.com/news/world-us-canada-49568127  ৫. https://www.vox.com/2019/9/18/20864480/area-51-secret-planes-aliens-jacobsen-interview

মরছে মানুষ, জীবন ফিরে পাচ্ছে পৃথিবী

3 Comments

Comments are closed.