আজ থেকে ২০ বছর আগে যখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যখন প্রথম এক্সোপ্লানেটকে খুঁজে বাহির করেন, তখন তারা সকলেই আনন্দিত হয়েছিলেন। 51 Pegasi b গ্রহটি বৃহস্পতির ভরের অর্ধেক হলেও এটি চারদিনে তার কক্ষপথকে প্রদক্ষিণ করে। NASA’s Kepler spacecraft উৎঘাটন এর পর এসব গ্রহ খোঁজার কাজের গতি তরান্বিত হয়েছে।কেপলার এর মতে মহাবিশ্বের বেশিরভাগ গ্রহের আয়তন পৃথিবীর এবং নেপচুন আয়তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
বর্তমানে শুধু মাত্র এক্সোপ্লানেট সরাসরি নির্ণয় করা হয় সেখান থেকে আসা আলোর মাধ্যমে। ইতোমধ্যে বৃহস্পতির মত বড় কিছু প্লানেট অ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা পূর্বে বাতিলকৃত গ্রহ গুলোকে নিয়ে পুনরায় গবেষণা শুরু করেছেন, এবং সেখানে লুকিয়ে থাকা রহস্য গুলোকে উতঘাটন করার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবথেকে বড় দুটি টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে দূর দুরান্তের গ্রহ থেকে আসা আলো গুলো দেখা সম্ভব এর সম্পর্কে জানা সম্ভব। Europe’s Spectro-Polarimetric High-contrast Exoplanet REsearch (SPHERE) and the U.S.-backed Gemini Planet Imager (GPI) নামক দুটি গবেষণা কেন্দ্র এই দুটি টেলিস্কোপ চিলিতে স্থাপন করেছেন।
“Nature is smarter than our theories”
Roman Rafikov, astrophysicist at the Institute for Advanced Study in Princeton, New Jersey
অর্থাৎ এসব গ্রহ নিয়ে আমরা যা কল্পনা করি, বাস্তবতা তার থেকে অনেক ভিন্ন হতে পারে, এসব টেলিস্কোপ এ ধারণকৃত ছবি থেকে তা ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু এসব ছবির জন্য অনেক সময় ধরে থাকতে হয়, তাই আগামী বছর NASA, Transiting Exoplanet Survey Satellite (TESS) এবং European Space Agency (ESA), Characterizing Exoplanets Satellite (CHEOPS) নামে দুটি স্যাটেলাইট উতঘাটন করে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই এসব গ্রহের ডাটা পাওয়া সম্ভব এবং যা আমাদের গবেষনার জন্য একটি মাইল ফলক হবে।