শেড হুরবিজ কি আসলেও টাইম মেশিন আবিষ্কারের কাছাকাছি গিয়েছিলো?

সময়। সময় আসলে কি? বিজ্ঞানীদের মতে সময় এমন একটা জিনিস যা সব সময় সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং একটি নির্দিষ্ট গতিতে এগিয়ে চলেছে। সময়কে কখনো আটকানো বা বদলানো সম্ভব নয়। কিন্তু, যাকে আমরা সময় বলি সেটাকে অনুভব করা যতটা সহজ বলে আমরা মনে করি ততটা সহজ নয়। যদিও সময়ের গতিকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য এখন পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। সময়ের আগে এবং সময়ের পরে যাওয়ার জন্য অসংখ্য টাইম মেশিনের অনুমান করা হয়েছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত সময় যাত্রা আমাদের কাছে অনেক দূরের ব্যাপার মনে হয়। কিন্তু ১৯৭৭ সালে একজন কানাডিয়ান বিজ্ঞানী একদিন এক অবাক করা দাবি করেন। তিনি দাবি করেন যে তিনি এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যার দ্বারা সময়কে ফ্রিজ করা যায় অথবা সময়ের গতিকে ধীর করে দেয়া যায় তাই আজকের এই পোস্টে আমরা অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং আলোচিত একটি বিষয় সম্পর্কে জানব।

১৯১৮ সাল পর্যন্ত শেড হুরবিজ এক sweet appliance repair করার টেকনিশিয়ান ছিল। তিনি কানাডাতে থাকতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং appliance কে খুব ভালোবাসতেন। তিনি ছোটবেলায় ময়লার স্তুপ থেকে কোন না কোন জিনিস তুলে এনে সেগুলো ব্যবহার করে কোন ব্যবহারযোগ্য একটি মেশিন আবিষ্কার করতেন। তিনি যখন বড় হলেন তখন সেই শহরে তাঁর এই প্রতিভার জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন। বলা হতো যে সে যে কোন মেশিন রিপেয়ার করতে পারতেন তিনি এমন কিছু মেশিন ঠিক করতে পারতেন যে সব মেশিনকে তিনি জীবনে প্রথমবার দেখেছেন এবং তার এই প্রতিভায় মোহিত হয়ে কানাডার অনেক বড় একটি কোম্পানি তাকে জব দেন এবং সেই জবের মাধ্যমে সে তার নিজের প্রতিভাকে আরো বেশি প্রভাবিত করার সুযোগ পান।

তার কিছুদিন পর তিনি নিজেই একটি কোম্পানি স্থাপন করেন এবং সেখান থেকেই একটি নতুন গল্পের শুরু হয়। ৩৬ বছর বয়সে অবসর নেয়ার পরও তিনি নতুন নতুন আবিষ্কার করতে থাকেন এবং হঠাৎ করেই তিনি অদ্ভুত এবং আশ্চর্য মেশিনের আবিষ্কার করে ফেলেন যা সময়কে থামিয়ে দিতে পারতো বা ফ্রিজ করে দিতে পারত। ১৯৬৯ সালে সেই শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা সামনে আসতে থাকে এবং শেড হুরবিজ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বলেন যে সে ওই চোরদেরকে ধরতে তিনি তাকে সাহায্য করতে পারেন এবং তিনি বলেন যে তিনি যদি চান তাহলে ওই চোরকে আধঘণ্টার মধ্যেই ধরতে পারেন এবং এক পর্যায়ে সে ওই পুলিশ অফিসার দের কে নিজের বাড়িতে ডাকেন তার টাইম মেশিনটিকে পরীক্ষা করার জন্য। অফিসার অলটন এবং তার সাথিরা শেড হুরবিজের বাড়িতে যান এবং দেখেন যে ডাইনিং টেবিলের নিচে একটি মেশিন লাগানো রয়েছে।

শেড হুরবিজ ওই পুলিশ অফিসার কে তার বন্দুকটি এই টেবিলের উপর রাখতে বলেন। টেবিলে বন্দুকটি রাখার সময় পুলিশ অফিসার অনুভব করেন যে ঐ বন্দুকটিকে সে না টেবিল থেকে ওঠাতে পারছে আর না সে বন্দুকের ট্রিগার চাপতে পারছে। তারপর শেড হুরবিজ পুলিশ অফিসারকে ঘড়ির দিকে ইশারা করে বলেন সময় দেখতে। সেখানে পুলিশ অফিসারের কাছে মাত্র ১ মিনিট সময় অতিবাহিত হয়েছিল যেখানে কিনা অন্য সবার ঘড়িতে ২৫ মিনিট অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এখানে হুরবিজ পুলিশ অফিসারের time freeze করে দিয়েছিল। তাই, সেই পুলিশ অফিসারের মনে হয়েছিল যে মাত্র ১ মিনিটে হয়েছে কিন্তু বাস্তবে ২৫ মিনিট অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। এসব সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র ঐ সময়কে ফ্রিজ করে দেয়া মেশিনটার কারণে। পরে ওই মেশিনের নাম দেন time alternative machine এবং নিজেই এই মেশিনের এই নামটি দেন এবং এই পরীক্ষার পরে এটা বোঝা যায় শেড হুরবিজ সময়কে আটকে দেয়ার প্রক্রিয়া বের করে ফেলেছিলেন।

তিনি এই মেশিনটি সকলকে বোঝানোর ক্ষেত্রে বলেন যে এই মেশিনটি কোন বড় ধরনের আবিষ্কার নয় এবং এই মেশিনটিকে তৈরি করার জন্য সে সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে শুধু একটুখানি ভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে তৈরি করেছিলেন। তিনি আরও বলেন যে তার এ মেশিনটির রেঞ্জ খুব বেশি নয় এবং এই মেশিনটি শুধুমাত্র ওই সব জিনিসের উপরে কার্যকরী যা বিদ্যুৎ পরিবাহী ইলেকট্রনিক সৃষ্টি করে এবং এর কারণে মেশিনটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ন্যাচারাল কার্যক্রমকে বদলে দেয় এবং মেশিন জেনারেল ওয়েতে কাজ না করে একটা আলাদা ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে যার কারণে এই মেশিনের মধ্যে সেটার সময় ফ্রিজ হয়ে যায়।

এই ঘটনার পর পুলিশের ওই মেশিনের কি হয়েছিল তা কেউ জানে না তারপর ১৯৭৭ সালে লন্ডনের foreign  information নামের একটি পত্রিকা দাবি করেন যে হুরবিজের এই অদ্ভুত মেশিনটি ইসরাইলের মিলিটারির কাছে আছে এবং সেই আর্টিকেলে দাবি করা হয়েছে তার তার মেশিনটি israel মিলিটারিরা এয়ারপোর্টে একটি বিমান অপহরণের পর ওই বিমানের ১০৩ জন যাত্রীকে rescue করার জন্য শেড হুরবিজের এই মেশিনটির সাহায্য নিয়েছিল।

কানাডার একজন ইঞ্জিনিয়ার ডঃ হাওয়ার্ডের মতে যে কোন শক্তিশালি magnet যেকোনো ঘড়ি কে আটকে দিতে পারে। তিনি আরও বলেন যে তার মধ্যে শেড হুরবিজ এই ডিভাইসটিকে এমনভাবে তৈরি করেছে যা কিনা যেকোন electromagnetic field কে প্রটেক্ট করার ক্ষেত্রে সম্ভব ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক magnetic field কে জাম করে দেয়া যায়। কিন্তু এই মেশিনটি এত পাওয়ারফুল electromagnetic field কিভাবে তৈরি করে তা শুধুমাত্র সে ছাড়া আর কেউ জানতে পারেনি।

https://www.youtube.com/watch?v=7DJWEQ9DC2k

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>