১ম পর্বের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
আজ এই পর্বে ডলফিনদের আচার-আচরণ, সামাজিকতা, খাদ্য অভ্যাস, প্রজনন, মানুষের সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি যতদূর সম্ভব আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
ডলফিনের আচার-আচরণ
মানুষ সামাজিক জীব, এটা বিশ্বাস করানোর জন্য কাউকে আপাদত কোনো প্রকার প্রমাণ দেওয়া লাগবে না। ডলফিনরা মানুষদের মতো ১০০% সামাজিক বলে এখন পর্যন্ত সম্পূর্নরূপে কেউ বিশ্বাস করবে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু তাদের মাঝেও সামাজিকতা রয়েছে। ডলফিনগুলি অসাধারণ বুদ্ধিমান প্রাণী যা সংস্কৃতিও প্রদর্শন করে, এমন একটি বিষয় যা মানুষের পক্ষে হয়ত দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। তাদের আচার-আচরণ লক্ষ্য করলে বুঝা সম্ভব যে তাদের মধ্যেও কিছুটা সামাজিকতা রয়েছে। কেমন?

ডলফিনরা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। অর্থাৎ, তারা কথা বলতে পারে একে অন্যের সাথে। এক্ষেত্রে তারা তাদের ইকোলোকেশনের জন্য ব্যবহৃত সেন্সরগুলো ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে তারা অনেক দূরে অবস্থান করলেও একে অপরকে শুনতে পায়। ব্যাপারটা অনেকটা জাহাজে ব্যবহৃত ইকোসাউন্ডার (Echo-sounder) অথবা সোনারের (Sonar) মতো কাজ করে। তারা অন্যদের সতর্ক করতে পারে, নিজের অবস্থানের জানান দিতে পারে, এমনকি এক সাথে চলার সময়ও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে বলে বিজ্ঞানীদের মতামত। আমারও তাই মনে হয়। তাদের কাছে একটি “সিগনেচার হুইসেল” (Signature whistle) রয়েছে যা দিয়ে তারা একে অপরকে সনাক্ত করতে পারে। তাছাড়া তাদের মাঝে হাসি-কান্না, কোনো ডলফিন মারা যাওয়ার পর শোক প্রকাশ করতে পারে, কেউ যদি আহত হয় বা সমস্যায় পড়ে তখন তারা একে অন্যের জন্য এগিয়ে যায়। ডলফিনগুলি পরহিতব্রতী প্রাণী। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাদের পানির উপরে নিয়ে আসতে সাহায্য করে থেকে যাতে শ্বাস নিতে পারে। ডলফিনরা তাদের শাবকদের প্রতি যত্নশীল হয়ে থাকে।
ডলফিনের প্রজনন এবং পরিচর্যা
ডলফিনদের প্রজনন একটা নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে যা প্রজাতি ভেদে নির্ভর করে। প্রজননের জন্য পুরুষ এবং স্ত্রী ডলফিন কে একত্রিত হতে হয়। আবার কয়েকটা প্রজাতি প্রজননের জন্য “অভোভিভিপরাস” পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে।

কারণ তাদের নিকটবর্তী কোনো স্ত্রী ডলফিন না থাকলে এই পদ্ধতি ব্যতীত প্রজনন সম্ভব নয়। বিশাল মহাসমুদ্রে একে অন্যের দেখা পাওয়া কিছুটা দুঃসাধ্য ব্যাপারও বটে।
ডলফিনরা তাদের বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গীকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন নৃত্য প্রদর্শন করে থাকে। অন্যান্য পুরুষদের থেকে একটু আলাদা হওয়ার চেষ্টা করতে থাকে যাতে তার সঙ্গিনীকে পেয়ে যায়। তারপর তারা “ভিভিপোরাস” পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে প্রজননের জন্য। এতে ফিটাস মাতৃগর্ভেই বেড়ে উঠে।
ডলফিনদের প্রজাতি ভেদে মাতৃগর্ভ ধারণের সময় নির্ভর করে। যেমন ওরকা বা “ঘাতক তিমি” (Killer Whale) নামে পরিচিত ডলফিনদের ১১-১৭ মাস সময় নেয়। আবার “বোটলনোজ” ডলফিনদের ক্ষেত্রে সাধারনত ১২ মাস সময় নেয়।

ডলফিন মায়েরা সাধারণত তাদের সন্তানদের প্রসবের জন্য অগভীর জলে যায়, কখনো কখনো অন্য ডলফিনের সাহায্যে এটি মিডওয়াইফের ভূমিকাও গ্রহণ করে থাকে। মিডওয়াইফ হচ্ছে যারা অন্যের শাবক লালন পালন করে। সাধারনত ডলফিনরা একটি করে শাবকের জন্ম দিয়ে থাকে। মা ডলফিন তার শাবককে প্রায় ১৮ মাস ধরে লালন পালন করে এবং নিজের দুগ্ধ পান করায়। এর মাঝে ডলফিনরা ছোট মাছ গ্রহণ করতে পারে। জীবনের প্রথম প্রায় ৬ বছর তারা মা ডলফিনের কাছাকাছি অবস্থান করে। (তথ্যসূত্রঃ Reproduction of dolphins- Dolphin Academy)
ডলফিনের খাদ্য অভ্যাস
ডলফিনগুলি তাদের আশপাশের পরিবেশের উপর নির্ভর করে মাছ, ক্রাস্টেসিয়ান এবং স্কুইড সহ বিভিন্ন ধরণের সমুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে। খোলা জলের ডলফিনগুলি বেশিরভাগ স্কুইড এবং মাছ খেয়ে থাকে, উপকূলের পাশের যে ডলফিনগুলি অবস্থান করে তারা পানির নিচে বাসকারী প্রাণী এবং মাছ খায় (Bottom-dwellers)। ডলফিনদের দাঁত থাকা সত্তেও তারা তাদের শিকারকে সরাসরি খেয়ে থাকে। এদের মধ্যে ছোট মাছগুলি সম্পূর্ণ খেয়ে ফেলা হয়, তবে বড় আকারের মাছগুলি কে খাওয়ার জন্য ছিন্ন করতে কোন কিছুতে ঘষা দিয়ে তাদের মাংস ছিন্ন করে খেয়ে থাকে।

একটি পূর্ণবয়স্ক ডলফিন তার শরীরের ওজনের ৫ শতাংশ প্রতিদিন খেয়ে থাকে। এর মানে একটি ডলফিন (প্রায় ৩৮৫ পাউন্ড) দিনে প্রায় ২০ পাউন্ড মাছ, স্কুইড বা চিংড়ি খেতে পারে। একই আকারের একটি মা ডলফিন প্রায় ৩০ পাউন্ড খাবার গ্রহণ করে থাকে। বাকি ডলফিনদের থেকে আলাদা, ওরকারা কিছু স্তন্যপায়ী ও পাখি সেইসাথে মাছ, সীল, ওয়ালরাস, পেঙ্গুইন, তিমি এবং হাঙ্গরও খেয়ে থাকে। যদিও এই বিশাল ডলফিনগুলি বিপজ্জনক বলে মনে হচ্ছে, তারা সাধারণত সামুদ্রিক উদ্যানগুলিতে সবচেয়ে সুন্দর স্ট্যান্ট করে, অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং মানুষের সাথে মিলেও যায়। (তথ্যসূত্রঃ D.M. Gutierrez, 2019-Dolphins diet)
ডলফিনের ইকোলোকেশন পদ্ধতি ডলফিনগুলি ইকোলোকেশন ব্যবহার করার ক্ষমতা বিকাশ করেছে সেই মিলিয়ন বছর পূর্বে, যা “সোনার” (Sonar) হিসাবে পরিচিত, যা তাদেরকে পানির নিচে ভাল দেখতে সহায়তা করে।

বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই ক্ষমতা সম্ভবত সময়ের সাথে তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছিল। ইকোলোকেশন ডলফিনগুলিকে পানিতে তাদের কাছে বা আশপাশে থাকা বস্তুগুলি থেকে ফিরে আসা শব্দ তরঙ্গগুলির প্রতিধ্বনির মাধ্যমে তাদের অবস্থান দেখিয়ে দেয়।

এমনকি পানির নিচে চলাচলের জন্য যাতে সমস্যা না হয় সেই ক্ষেত্রেও তারা একই পদ্ধতি অবলম্বন করে। কাছাকাছি কোনো বস্তুকে খোজার জন্য তারা উচ্চ-কম্পাংকের শব্দ তৈরি করে তাদের “মেলোন” থেকে। “মেলোন” হচ্ছে ডলফিনদের কপালের দিকের ঘন চর্বিযুক্ত টিস্যু।

এখান থেকেই তারা শব্দ সৃষ্টি করে। উচ্চ-কম্পাংকের শব্দ তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয় এবং ঐ বস্তুতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আবার ডলফিনের নিকট ফিরে আসে। এর মাধ্যমে তারা তাদের শিকার ধরতে পারে, তার অবস্থান নির্ণয় করতে পারে, এমনকি শিকারির হাত থেকে বাঁচতেও সাহায্য করে। আবার দূরবর্তী কোনো কিছু খোঁজার জন্য বা অন্য কোনো কাজে তারা নিম্ন-কম্পাংকের শব্দ ব্যবহার করে। নিম্ন-কম্পাংকের শব্দ অনেক দূর পর্যন্ত পৌছাতে পারে এবং এতে করে ডলফিনরা দূরের কারোর সাথেও যোগাযোগ করতে পারে বা তাদের শিকারির হাত থেকে বাঁচতে পারে।
ডলফিনদের আওয়াজ শোনা যায় কিনা সেটা একটা প্রশ্ন হতেই পারে। হ্যা, তাদের আওয়াজও শোনা যেতে পারে যদি ঐরকম হাইড্রোফোন থাকে। পানির নিচে হাইড্রোফোন ব্যবহার করা হয় যাতে পানির নিচের শব্দ শোনা যায়। ইকোসাওন্ডারে একই প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। অনেক বিজ্ঞানী হাইড্রোফোন ব্যবহার করেছেন এবং ডলফিনদের আওয়াজও শুনেছেন। ইন্টারনেটে এমন অনেক ভিডিও দেখা যেতে পারে। কিন্তু এটা সত্যি। যদিও তাদের ভাষা বোঝার মতো ক্ষমতা মানুষের এখনো হইনি। হয়ত অদূর ভবিষ্যতে!
ডলফিনের বুদ্ধিমত্তা
ডলফিনরা শেখানো, শিখতে, সহযোগিতা করা, পরিকল্পনা করা এবং শোক জানাতে ইত্যাদি এসব কিছুতে পারদর্শী। কারণ এদের নিউরোকরটেক্স “হোমিনিডাই” গোত্রের প্রাণীর মতো লম্বা এবং উন্নত নিউরন কোষ যুক্ত। মানুষের মধ্যে এই কোষগুলির জন্য তাদের মাঝে সামাজিক আচরণ, আবেগ, বিচার এবং মনোতত্ত্বের বিষয়গুলো দেখা দেয়। আর সিটাসিয়ানদের মাঝে এই স্পিন্ডাল নিউরনগুলো তাদের মস্তিষ্ককে ঘিরে থাকে যা কিনা মানুষদের সাথে অনেকটাই মিলে যায়, যদিও তাতে অনেক ঘাটতি অবশ্যি আছে (তথ্যসূত্রঃ Structure of the cerebral cortex of the humpback whale, Hof, Patrick R, 2007)।

তাছাড়া তাদের মস্তিষ্কের আকারের উপরে কিছু ব্যাপার নির্ভর করেই। যেহেতু মস্তিষ্কের বেশিরভাগ অংশ শারীরিক কার্য সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়, সেহেতু বাকি অংশটুকু তারা তাদের বাকি কাজগুলো যেমন সেন্সর নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি শরীরের ভরের অনুপাতে ব্যবহার করে থাকে। ওরকা ডলফিনদের মস্তিষ্কের ভর অনুপাত পৃথিবীতে ২য় বৃহত্তম (তথ্যসূত্রঃ R. Douglas. “Are whales smarter than we are?” Scientific American, 2015) । কারো কারো আত্মসচেতনতা দেখা যায়, যা অবশ্যই পরবর্তী সময়গুলোতে অধিক বিকোশিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়। তাদের এই আত্মসচেতনতা সম্পূর্নভাবে বৈজ্ঞানিক যুক্তি সাপেক্ষে এখনো ব্যাখা করা হয়নি। তবে তাদের মাঝে যেকোনো বিষয় কে নিয়ে চিন্তা করা বা তাদের কোনো বস্তু সম্পর্কে অনুধাবন করার ক্ষমতা বিচার বিশ্লেষনে এই আত্মসচেতনতা কাজে আসে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। এমনকি তাদের মাঝে যে সামাজিক রীতিনীতি তারা গঠন করে বা মেনে চলে, এতে তাদের মস্তিষ্কের একটা প্রভাব আছে যা এখনো আবিষ্কার করা বাকি।
ডলফিনের প্রজাতি সমূহ
এই অংশটুকু শুধুমাত্র কিছু ডলফিনদের সাথে পরিচয় পর্ব হিসেবে রাখা হয়েছে। অবশ্য প্রত্যেকটি ডলফিন নিয়ে লিখতে গেলে নতুন অনেকগুলো আর্টিকেল লেখা যাবে। তাই এখানে শুধুমাত্র তাদের সাধার পরিচ্য দেয়া হলো। এখন পর্যন্ত ৪২ টি ডলফিন প্রজাতি এবং ৭ টি শুশুক প্রজাতি পৃথিবীতে বেচে আছে। আরো অনেক ছিল কিন্তু তারা বর্তমানে বিলীন হয়ে গিয়েছে। যাকে আমরা বলে থাকি “Extinction”।

১। “ঘাতক তিমি” বা ওরকাঃ বাস্তবে এরা তিমি না ডলফিন। এদের আকারের কারণে একসময় কেউ তিমি বলেই জানতো। যদিও তারা তিমি শিকার করে খায়। তাদের আটলান্টিক মহাসাগরে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে বেশি দেখা যায়।

২। স্পিনার ডলফিনঃ এরা মোটামোটি গ্রীষ্ম প্রধান এলাকাগুলোতে থাকে। ছোট মাছ শিকার করে খায়। এরা বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলাও করতে পারে। বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় এদের পাওয়া যায়।

৩। বোটলনোজ ডলফিনঃ বাকি সকল ডলফিনদের চেয়ে এদের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রায় সব এলাকাতে পাওয়া যায়।

৪। ইররাওয়াদি ডলফিনঃ এদের সমুদ্রে এবং নদীর মোহনাগুলোতেও পাওয়া যায়। তারা খাদ্যের সন্ধানে উপকূলের দিকে যায়। ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

৫। হেক্টর ডলফিনঃ সকল ডলফিন প্রজাতির মধ্যে এরাই সবচেয়ে ছোট ডলফিন। এদের খুবই কম দেখা যায়।

৬। আটলান্টিক হোয়াট সাইডেড ডলফিনঃ ছবি অবশ্যই বুঝা যাবে যে তাদের এই নামটা কেন দেওয়া হয়েছে। এরা কম তাপমাত্রার জলে থাকতে পছন্দ করে।

৭। ইন্দুস রিভার ডলফিনঃ এদের অনেকে শুশুক নামেও চিনে থাকে। এদের উত্তর ভারত মহাসাগরে বেশি দেখা যায়।

৮। ইন্দো-প্যাসিফিক হাম্পব্যাক ডলফিনঃ কিছুটা সাদা-গোলাপ রঙের এই ডলফিনগুলোকে ভারত মহাসাগরে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে সোয়াথ-অফ-নো-গ্রাউন্ড এ এদের আবাসস্থল হিসেবে দেখা হয়। প্রয়োজন সাপেক্ষে তারা নদীর মোহনায় প্রবেশ করে থাকে।
বর্তমান পরিস্থিতি
উপরের হেডলাইনের মানে হয়তো আমারা সকলেই বুঝে গিয়েছি? হ্যা, মানে আমি মানুষের কথায় আসতে চাচ্ছি। বর্তমানে যতগুলো ডলফিন বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণে মারা যায় তার চেয়ে ৪-৫ গুন বেশি মানুষের কারণে মারা যায়। শুধু মাত্র ভারত মহাসাগরেই প্রতি বছর প্রায় ২৮০ উপর ডলফিন মানুষের কারণে মারা যাচ্ছে (তথ্যসূত্রঃ ওশেনা, ২০১৯) ।

এটা কাগজে কলমে হিসেব বলছে। এছাড়াও আরো অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে যা আমরা জানি না। সারা পৃথিবীতে প্রায় ১০০,০০০+ ডলফিন শিকার করা হয়। শুধুমাত্র মাছ ধরতে গিয়ে প্রায় ৩ লক্ষের মতো ডলফিন মারা যায় (তথ্যসূত্রঃ The impact of by-catch: WWF, 2016)। তাছাড়া বিভিন্ন সার্কাসে বর্তমানে ডলফিনকে ব্যবহার করা হয় আনন্দ দেওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। এমন না যে শুধু খারাপ দিকগুলিই আছে। কিছু মানুষ আছেন যারা তাদের এসকল বিপদ থেকে রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বসবাসের জন্য বিভিন্ন পার্কের ব্যবস্থা করছে। তারা যাতে বিলুপ্ত না হয় সেটার প্রতিও নজর রাখছে। এসকল বিজ্ঞানীরা অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র। আপনি বলতেই পারেন তাদের জীবন কি মানুষ থেকে বেশি দরকারি নাকি? আমি বলবো, হয়ত না।
কিন্তু তারা একটা ব্যালেন্স তৈরি করে যেটা আমাদের ইকোসিস্টেম কে বাচিয়ে রেখেছে। আপনার আমার যে জীবন চক্র আছে, তার মধ্যে এদের পরোক্ষভাবে অবদান অবশ্যই আছে। তাই এদেরকে যতদূর সম্ভব দেখা শোনা করা আমাদের দায়িত্ব। এর জন্য একটু দূষণ কমাতে হবে। যেহেতু আমাদের বুদ্ধি বেশি, তাই কাজটা অবশ্যই আমাদের। নাহলে শুধুমাত্র প্লাস্টিক খেয়েই হাজার হাজার ডলফিন মারা যেতে থাকবে। সাথে অন্যান্য সামুদ্রিক জীবনগুলোও।
আল্লাহ হাফেজ।