কি হবে যদি আপনি ১ বছর কথা না বলেন।
প্রতিদিন আমরা ঘরে বাইরে প্রচুর মানুষের সাথে কথা বলি। আমরা সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমানোর পর্যন্ত ৫০০০ এরও বেশি শব্দ বলতে থাকি। কেউ কেউ হয়তো রাতে ঘুমানোর মধ্যেও কথা বলে।
যদিও এ ব্যাপারে আমরা হয়তো পরে অন্য কোনো পোস্টে কথা বলব। কারন, ইদানীং ঘুমের মধ্যে মানুষের কথা বলাটা বিপুল পরিমাণে দেখা যাচ্ছে এবং এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানার জন্যও মানুষ ব্যাস্ত হয়ে পরেছে। কিন্তু হঠাৎ করে যদি কোন মানুষ ঠিক করে যে সে এক বছরের জন্য কোন কথাই বলবে না তাহলে কি হবে?
কমিউনিকেশন মানুষের একটি সাইকোলজিকাল লিড। তাই যদি কোন মানুষ তার ফ্যামিলি বা ফ্রেন্ডের সাথে কথা না বলে এক বছর থাকে তাহলে অসুবিধা খুব একটা হবে না কারণ কথা বলা কমিউনিকেশন এরই একটি অঙ্গ। কমিউনিকেশন শুধুমাত্র কথা বলা নয়। অর্থাৎ মানুষ কথা বলা ছাড়া নিজের কমিউনিকেশন চালিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন রকম ইশারার মাধ্যমে যেমনটা কিনা প্রাচীনকালের মানুষেরা করে থাকতো।
এবার হয়তো আপনারা ভাবতে পারেন যে যদি আমরা কথা না বলি তাহলে হয়তো অতিপ্রাচীন কালের মানুষের মত হয়ে যাব। মানে কথা বলাই ভুলে যাব। বা যে কিনা সম্পূর্ণ কথা বলা বন্ধ করে দিবে তার মুখের সকল মাসেল কিংবা জিহ্বা একদম অকেজো হয়ে পড়বে। এমনটা যদি মনে হয় তাহলে হয়ত আপনি ভুল কারণ কথা না বললেও সেই মানুষটি তার দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য সকল ধরনের কাজ ঠিক হয়ে চালিয়ে যেতে পারবে।
যেমন খাবার খাওয়া, পান করা, ইশারার মাধ্যমে কমিউনিকেশন করা যার ফলে লোকটির মুখের সকল টিস্যু গুলি সবসময় সচল থাকবে। তাই যারা বাকশক্তি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তারা কখনই কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই নিজেদের বাকশক্তি হারাবে না। কিন্তু দীর্ঘদিন কথা না বলার কারণে আগের মতো নিজের গলার স্বর ফিরে পেতে কিছুটা সময় লেগে যাবে।
সেসময় গলার স্বর প্রথম দিকে থাকবে একদম পাতলা, কিছুটা মেয়েদের গলার স্বরের মত। এবং কথা বলা শুরু করলে তার মুখে প্রচুর ফেনা জমতে শুরু হবে। যেরকম টা হয় New Born Baby কিংবা সদ্য জন্ম নেয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।
এছাড়াও হঠাৎ করেই কথা বলা শুরু করলে তার ভোকালকর্ডের উপর প্রচুর পরিমাণে প্রেশার সৃষ্টি হবে যার কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গলা ভেঙ্গে যেতে খুব একটা বেগ পেতে হবেনা।
এবং, আপনারা চাইলে একবার এরকম চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কিন্তু, গলা ভেঙ্গে যাওয়ার পর কিন্তু আমার দোষ দিতে পারবেন না।
Leave a Reply