‘রং আমার রং ওগো রং-এ ভুবন ভরা’…
এভাবে ও যদি লেখা হতো, তাহলে ও ভুলের কিছুই ছিল না। একই কথা। চিরচেনা রবীন্দ্র সুর সংগীতকে বিজ্ঞানী নিউটন প্রিজমে ফেলে সেটিই আবিষ্কার করেছেন! আলো কোন একক (সাদা) রং বলে কিছু নয়, বরং বেনীআসহকলা-র মতো সাতটি ভিন্ন দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তরঙ্গের সুষম (এর বিপরীতে বাংলায় আরেকটি শব্দ আছে, ঠিক এই মুহূর্তে মনে আসছে না) বিন্যাস…! অথবা আরো ভেতরে গিয়ে দেখলে বলা যায়…সরল কোন তরঙ্গ রেখার একটি রেখাংশ হচ্ছে দৃশ্যমান এ আলো।
আলো। আলো খুব ভালো। কত ভালো, সেটিই আমরা পর্যায়ক্রমে জানবো।
নিউটনের প্রিজম-আলো (OT- তে পোস্টমর্টেম) ঘটনার আগে ও পরে আলো নিয়ে নানা পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ হয়েছিল। কিন্তু এখানে আমরা আলোর ইতিহাসে যাবো না। আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় রং এবং রং কেন এতো রং!
আজব রং… রং রে, রং কেন এতো কথা বলে!’ কেন বলে? আসলে সেটি বিস্তীর্ণ পরিধিতে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করবো শেষ পর্বে। তবে কৌতূহল বাড়ানোর জন্যে দু একটা কথা বলে নিবো।
বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, নেতৃত্ব, ক্রোধ, শয়তান ইত্যাদির প্রকাশে লাল রং কে অনেকেই ব্যাবহার করেন। এবং তুলনামূলকভাবে এটি পাশ্চাত্যে বেশি। আবার দেখা যায়, লাল রংয়ের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যখন ৭৪০ ন্যানোমিটার ছেড়ে যায়। তখন আর দর্শনের অনুভূতি ‘মানুষের’ থাকে না। মজার ব্যাপার হলো লাল ও সায়ান রংয়ের দুটো আলাদা লেন্স দিয়ে তৈরিকৃত অ্যানাগ্লিফ থ্রিডি চশমায় ‘কালার ডুপ্লিকেট শ্যাডো ইমেজ’ টুডি হলে ও থ্রিডি দেখা যায়! রং সৃষ্টিজগৎ এ ‘বস্তু ও শক্তি তথা তরঙ্গের’ খেলা।
কয়েকটি পর্বে আমরা শুধু এ পৃথিবীতে ঘিরে রংয়ের নানা সুকুমার সমাহার নিয়ে আলোচনা করবো। বস্তু ও শক্তি। একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। মহামতি আইনস্টাইন সেটি E=mc2 সূত্রে ভালোভাবেই দেখিয়ে গিয়েছেন।
(….চলবে….)